মিস্‌ ওয়ার্ল্ড জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল নারীদের অনুপ্রেরনা উৎস | Miss World Jannatul Nayeem Avril inspiration to women

মিস্‌ ওয়ার্ল্ড ২০১৭ জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল  নারীদের অনুপ্রেরনা


এইবারের মিস ওয়ার্ল্ড থেকে দারুন একটা প্রতিভা আবিষ্কার হয়েছে , নাম বাইক লেডি প্রতিভা । এটা যেন তেন টম টম মার্কা বাইক না , ফুল স্পোর্টস বাইক । এইসব বাইক আল্গানোর জন্য আলাদা জিম করা লাগে ।  । সেই গ্রাম থেকে এসে শহরের রাস্তার মাঝখান দিয়ে   একটা বাইক চালানো ছোট খাট

ব্যাপার না । হুম , জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল ফেরদৌস এভ্রিলের কথা বলছি । প্রথমে  মিস ওয়ার্ল্ড মুকুট দিয়ে পরে কেড়ে নেয়া হয় । কারণ , তিনি নাকি বিয়ে করেছেন । তাঁকে নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে । চট্টগ্রামের এই মেয়ে বিয়ে করেছে ১৬ বছর বয়সে , তারপর বাড়ি ছেড়ে স্থানীয় এক ছেলের সাথে পালিয়ে শহরে আসেন । তারপর নাম লেখান মডেলিং দুনিয়ায় । ভাবতে অবাক লাগে , গ্রামের একটা মেয়ে শহরের টপ ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করছে । শহরের অনেক মেয়েই আছে সেই সুযোগ পান না । তারপর আরেকটা কথা । তিনি নাকি , মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে । মেয়েদের জন্য কাজ করে যাবেন । জানি না , উনার ভবিষ্যৎ কি , উনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি একটু কনফিউশন আছি , সেটা পরে বলছি । মেয়েদের জন্য কাজ করুক আর নাই ক্রুক , তিনি গ্রামের বা নির্যাতিত মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে সেটা নিঃসন্দেহে বলা চলে । এখন জোর করে কারোর বিয়ে হলে সে পালিয়ে যাবার সাহস পেতে পারে । একদম সোজা কথায় B2C মার্কেট থেকে B2B মার্কেট । অর্থাৎ , বিয়েতে তার মত ছিল না স্পষ্টই বুঝা যায় । বিয়ে করলে হয়তো ঘরে পড়ে থাকতে হতো ।  এখন সে পালিয়ে এসে যেভাবেই হোক নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে  , হয়তো পরে টাকা পয়সা বা প্ল্যান  থাকলে বিজনেসও করতে পারে ।  এবার আসি , তার ক্যারিয়ার নিয়ে কেন চিন্তিত । আগের বার লাক্স সুপারস্টার ছিলো , তা পলিটিক্যাল কারণে নাকি কি কারণে বন্ধ করে দিয়েছে । কিন্তু এবার নতুন মোড়কে হাজির করা হয়েছে মিস, ওয়ার্ল্ড ইভেন্টকে । মার্কেটিং এ ভাইরাল কৌশল নিয়ে একটা কথা আছে ।


বিজনেস ম্যানদের সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্ম চালগুলা বুঝাটা অনেক কষ্ট সাধ্য । আমি জানি না , মিস ওয়ার্ল্ডে এভ্রিলকে সিলেক্ট করার পিছনে আয়োজকদের কোন হাত আছে কিনা , তবে তাঁকে মিস ওয়ার্ল্ড নির্বাচিত করার পর বিয়ে প্রসঙ্গটা চলে আসে । বিয়ে প্রসঙ্গটা নিয়ে আলোচনার কারণে তার থেকে মুকট কেড়ে নেয়া হয় । কিন্তু এর পরের আলোচনার টপিকস টা আরও কঠিন হয়ে যায়। মিস ওয়ার্ল্ড মানেই কর্পোরেট জগতের যৌনদাসী । সেটা আজকে নতুন না , অনেক আগে থেকেই  নাটক , সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগের জন্য অভিনয় জগতে , নায়িকা , মডেলদের এই জায়গায় ব্যবহার হয়। ব্যতিক্রম থাকতে পারে ।  নায়িকাদের নিয়ে কেবল আলোচনা হয়  , কিন্তু কর্পোরেট জগতের উচ্চ পর্যায়ের লোকদের তো কিছুই হতে দেখি নি । বরং টাকার কাছে নায়িকারা ট্রাম্প কার্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানেও এই যৌনদাসী ট্রাম্পকার্ড ব্যবহার করার পিছনে অনেক সুক্ষ কারণ থাকতে পারে । হয়তো

অনেকে মনে করতেই পারে , মিস ওয়ার্ল্ড ইভেন্ট নিয়ে আলোচনার জন্য এই ধরণের টপিকস উঠানো হয়েছে  ।

 কিন্তু আয়োজকরা প্রত্যকেই বড় ধরণের  ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্টের সাথে জড়িত । ঢাকায় শাহরুখ খান , সালমান খান এর মতন বড় বড় ইভেন্টের আয়োজক তারা , এখন প্রশ্ন , এই এভ্রিলকে তো তারা এমনে এমনে সিলেক্ট করে নি । তাঁকে দিয়ে হয়তো সিনেমা বা শুটিং বা হোস্ট করানো হতে পারে । এখন কোন কারণে মতভেদ বা সমস্যা হলে সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসাটা তার জন্য কঠিন হবে । কারন, তাদের সাথে কাজ করলে হবে মিস ওয়ার্লড , আর না করলে হবে যৌনদাসী । এই এই ট্যাগ নিয়ে অন্য জায়গায় কাজ করবে কিভাবে ? অর্থাৎ , সে ইতিমধ্যে একটা ট্র্যাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছে । এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে , সেই    ট্র্যাপে পরুক আর নাই পরুক আপনার মাথা ব্যাথা হচ্ছে কেন ? বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিটা এখনো দাঁড়াতে পারে নি , তার আগেই এই ধরণের কৌশল সামগ্রিক দৃষ্টিতে দেখলে মোটেই সুবিধাজনক না । এক ব্যবসায়ী তাদেরকে কাজে লাগাচ্ছে , আরেক ব্যবসায়ী বলছে , আমরা কোর্ট প্যান্ট পড়ি কেন ? কোর্ট প্যান্ট পড়ে কোথায় কি করে সেটা সবারই জানা আছে ? রাতের বেলা সরকারি আবাসিক হোটেল গুলোতে সবগুলা  কোর্ট প্যান্ট পড়া লোকজনই থাকে । কোথায় নাই এগুলো , আপনি  ব্যবসা ক্ষেত্রের দিকে তাকান , কর্পোরেট হাউজ , বড় বড় ব্যাঙ্ক এই সব ঘটনা প্রায় ঘটে । কিন্তু সেই তুলনায়  নায়ক- নায়িকাদের এই আকাম কুকাম আরও বেশি করে করার কথা । কিত্নু তুলনার দিক থেকে এটি কিছুই নাই ।  এই কাজগুলো বেশি করে থাকে ,প্রযোজক , পরিচালকরা । এখন আরেকটু দুর থেকে দেখি । এই ধরণের ট্যাগের জন্য ধরলাম ,তারা   মিডিয়াতে কাজ করা ছেড়ে দিলো ।   অনেক নায়িকা , বিয়ের পর আর মিডিয়াতে আসেই নি । কিন্তু এই ধরনের ট্যাগ ব্যবহার করতে করতে পরবর্তীতে অনেক তরুণী এই লাইনে আসতে চাইবে না । না চাইলেও ক্ষতি নেই , এমনে আমাদের সিনেমায় দক্ষ লোকের অনেক সংকট , তার উপর এই ধরণের ট্যাগের কারণে পুরো বাজার হারাবে । পাশের দেশ এসে পুরো জায়গা দখল করে নিবে , ইতিমধ্যে তারা ঢুকেও গিয়েছে । পাকিস্তান নাকি অন্য কোন দেশ ;  আমার ঠিক মনে পড়ছে না , তখন ৯-১১ এর সময় । তালেবান নিয়ে আলোচনা চারিদিকে ।  ওইদেশে পন্য প্রদর্শনের জন্য নাকি কোন মডেল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না , এমনটিতেই পাকিস্তানে কোন মেয়ে সহজে খবর পড়তে পারে না । কিন্তু সিনেমা হল ভালোই টিকে আছে । আমার কোন অসুবিধা নেই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি না থাকলে । আর কেউ যদি ভালো ভাবে জীবন পার করে দিতে পারে , এর চেয়ে আর শান্তির কি আছ ।  আর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি না থাকলে আমি মনে করি না , একটা সুশীল সমাজ গড়া যাবে । সানি লিওন বাংলাদেশে না আসলেও , আমরা তাঁকে ভালো মতন চিনি , এটাই ফ্যাক্ট । আর সিনেমা জগত , বা নাট্য জগত সবাই আকাম করে বেরাই তা ঠিক না । বৃটিশ আন্দোলনের সময়  নীল দর্পণ নাটক টা যাত্রা মঞ্চে প্রদর্শিত হয়েছিল । যুদ্ধের সময় বেতারে গানগুলা এই দেশের শিল্পীরা গেয়েছিলো । হয়তো আপনার প্রয়োজন হলে বলবেন তারাও খারাপ ।


আবার এভ্রিলের দিকে ঘুরে যায় , সে ভালো নাকি খারাপ , বা মিস ওয়ারড নিয়ে বিতর্ক যা শুনা গিয়েছে বেশিরভাগ পুরুষ সমাজ থেকে , তারা নাকি নারীদের বন্দি করে রাখে । যদি মিস ওয়ার্ল্ড এতই খারাপ হয় , তাহলে নারী প্রতিবাদী কর্মীদের উচিৎ ছিল সবার আগ রাস্তায় নামা । তার উপর এভ্রিলকে ষোল বছর বয়সে বিয়ে করিয়ে দেয়া । বাল্য বিবাহ আইনে তো তার স্বামীর বিরুদ্ধে কেইজ করা উচতি । তখন তারা নারী প্রতিবাদী সমাজ জানতে পারে নাই , তাই করে নাই । এখন জেনে বসে আছে কেন ? কি আর বলা যাবে , হয়তো তারা বিদেশ ট্যুর বা লোভনীয় কোন অফার পাই নি , তাই তারা নড়তে পারে নি । আর এটাই ফ্যাক্ট ।

জীবনে টাকার দরকার নেই !! jibone takar dorkar nei !!

হে হে , মানুষ বলে টাকার দরকার নেই । কিন্তু যারা এই কথা বলে , তাদেরকে আমি আরও বেশি টাকার পিছনে ছুটতে দেখি । আজ ফান্ডের পিছনে বা কাল না হয় ইনভেসটর বা স্পন্সরের  পিছনে  । হুম , টাকা পেলে আর টাকা আর কি দরকার !! যদি কেউ বলে টাকার দরকার নেই , তাহলে আমি বলতে চাই , তার এই পৃথিবীতে থাকারও দরকার নেই । কারণ , টাকা ছাড়া এই পৃথিবীতে কিছুই মেটে না । বেঁচে থাকার জন্য পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে কোনটায় বা আপনি টাকা ছাড়া মেটাতে পারেন । আরে , দার্শনিক কথা তো বাদই দিলাম । টাকা ছাড়া আপনার বাসার দারোয়ানও পাত্তা দিবে না ।

অনেকে মনে করে , প্রফাইল বড় দরকার , টাকার দরকার নেই । আমি মনে করি , পৃথিবীতে সব কিছুরই দরকার , কিন্তু পরিমাণমতন ।যার সব কিছু গড়ে আছে , আমি তাঁকে জীবনের দৌড়ে এগিয়ে রাখবো , কারণ তার মানসিক দিক দিয়ে অনেকটা সুস্থ থাকে । প্রোফাইলেরও দরকার , টাকা , ক্ষমতারও দরকার । যদি কেউ অস্বীকার করে , তাহলে আমি অনেক খুশি হবো , কারন তার জীবনে তিক্ততার স্বাদ পেতে হয় নি । আপনার পুলিশ , প্রশাসনকে কিনতে আপনার প্রতিপক্ষের কতটা সময় লাগে ? কারণ , তারাও টাকার গোলাম । তারা টাকার জন্যই কাজ করে । 

অনেকে হাসপাতালে নাকি শুধু কান্নার আওয়াজ শুনে , কিন্তু কারন শুনতে চায় না । বড় বড় ভিআইপিরা যাবে , ফটো তুলবে , প্রোফাইলের দর উঠবে । ফেইসবুকে পোস্ট করলে কয়েকটা লাইক , কমেন্টের জোয়ার উঠবে । কে চায়, কারন শুনে ,এই সুযোগটা মিস করতে । কারণ , কারন জানতে গেলে টাকার প্রসঙ্গ আসবে , আর এতে লজ্জা বাড়তে পারে । হম , জিজ্ঞেস করে , যারা টাকা দিবে না তারা , কৌতুহলী জনগণ , সাংবাদিক ভাই বোনেরা । টাকা দরকার ? সহানুভুতি প্রকাশ করে । সব দোষ পড়ে গিয়ে সরকারের উপর । তাও পেতো না যদি জনগনের ট্যাক্সের টাকায় যদি ফানড না থাকতো ।

আসলে টাকা ছাড়া একু বাঁচতে পারে না । টাকা হচ্ছে মুবিলের মতন , যা স্মুথ রাখে । অনেকে বলে  টাকার দরকার নেই , বেশি টাকা হলে খারাপ হয়ে যায় মানুষ । হ্যাঁ , হতে পারে । কাজে কর্মে আর ফোকাস বসে না । আমার ক্ষেত্রেও প্রায় একই ঘটতে পারে । যদিও এখনো সেই সৌভাগ্য হয় নি । তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তা উল্টাটা দেখি । যেমন , জ্যাক মা , নিজের কোম্পানিতে কাজ করে সব মিলিয়ে কয়েক লাখ মানুষ , তার উপর ,  বিজনেস মডেলের মাধ্যমে আরও কয়েক কোটি মানুষ , এখন আরও কয়েক কোটি মানুষ জবের সুযোগ পেতে পারে । কই , তাকে তো ,টাকার অঙ্ক ছাড়া থাকতে দেখি নি ।

 চাওয়া ব্যাপারটা যদি আপেক্ষিক হয় , তাহলে পৃথিবীর কেউ এর  বাইরে না । আপনি হয়তো সাধারন মানুষ , আপনি চাচ্ছেন সরকারের কাছে , সরকার চাইবে জনগনের কাছে । নয়তো জাতিসংঘের কাছে । জাতিসংঘ চাইবে আবার অন্য় সব দেশের সরকারের কাছে । এখানেও কিন্তু আছে , সরকার ইচ্ছে করলে যেমন আপনার দিকে সদয় না হতেও পারে , আবার  জাতিসংঘের কাছে সবদেশ রেজিস্ট্রেশন করলেও সেই সাহায্য না দিতেও পারে । পার্ট নেবার খেলাটা এখানেই ঘটে । এই পৃথিবীর দুইটা প্রান্ত , এক উত্তর মেরু , দক্ষিন মেরু । তেমনি , এক শ্রেণীর মানুষের সব আছে , আর এক শ্রেণীর মানুষের কাছে কিছুই নাই । আর কিছু মানুষের সবকিছু পরিমাণ মতন থাকে , আবার কিছু কিছু মানুষের কিছু থেকেও নেই । তবে একটা কথা ঠিক , যারা বলে টাকার দরকার নেই , তাদের আশে পাশে টাকার গাছ থাকে , ঝাকি দিকে টাকা পড়ে । আজ এখানে টাকা দরকার তো ডাকলেই টাকা চলে আসে । টাকার জন্য ঠেকতে হয় না কোনদিন । আর যাদের টাকা টাকা করে , তাদের ঘাসও থাকে , গাছের কথা তো দুরের কথা ।