উদ্যোগ ব্যর্থ হবার কারণগুলি কোনগুলো

আড্ডা পোস্ট ২০ নভেম্বর ২০২০।

বিষয়ঃ একটি উদ্যোগ ব্যর্থ হবার কারণ গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করুন। সম্ভাব্য সমাধান গুলি নিয়েও আলোচনা করুন। 


আমাদের অনেকেরই উদ্যোগ আছে।কেউ নিজের উদ্যেগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।কেউ বা ব্যর্থ হচ্ছে।

ব্যর্থ হওয়ার প্রধান কারন হল:

১/কোন জিনিস সম্পর্কে ভালো ভাবে না জেনে তাডাহুডো করে কাজে নামা।

২/সঠিক পরিকল্পনার অভাব

৩/নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকা

৪/পরিশ্রমী না হওয়া

৫/সাহস ও মনোবল না থাকা

৬/সঠিকভাবে হিসাব রাখতে না পারা

৭/মেধাকে পরিশ্রমে রুপান্তর করতে ব্যর্থ হওয়া।

৮/কাস্টমারদের ডিমান্ড বুঝতে না পারা।

৯/হুঠ করে সিদ্ধান্ত নেয়া

১০/নিজের ভুল স্বীকার না করা।

১১/ধৈর্যশীলতা ও সহনশীলতার অভাব

১২/সৃজনশীলতা না থাকা।


এই ভুল গুলোর কারনে একজন সফল উদ্যেক্তারও ব্যর্থ হতে সময় লাগে না।


শতকরা ২৯% ক্ষেত্রে ক্যাশ ফ্লো বন্ধ হয়ে গেলে স্টার্ট আপ ব্যর্থ হয়ে যায়। শুরু থেকেই বাজেট আর টাকার হিসাব মেলাতে না পারলে এই পরিনতি হয়।


কম্পিটিটর সম্পর্কে ধারনা না রাখা আপনার বিজনেসের বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। নিত্যনতুন স্ট্র‍্যাটেজি নিয়ে আপনার কম্পিটিটররা আপনার থেকে এগিয়ে গেলে কাস্টমার হারানোর কারনে বিজনেস একসময় বন্ধ করে দিতে হয়।


ফোকাস না রাখাঃ আপনি মাছ নিয়ে ব্যবসা করছেন। দেখলেন আরেকজন হোমমেড ফুড নিয়ে খুব ভালো করছে। আপনিও সেদিকে লক্ষ্য করে বিজনেস ডাইভার্ট করার চেষ্টা করলেন। এতে  কোনটাই ঠিকমতো না হবার সম্ভাবনা প্রবল।


লোভ ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। আমরা অনেক সময়ই সুযোগ পেলে কাস্টমারের কাছে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করি যা কখনোই কাম্য নয়। কারণ পরবর্তীতে কাস্টমার যখন বুঝতে পারবেন তার কাছে বেশি দাম রাখা হয়েছে তখন তিনি আর কখনোই রিপিট কাস্টমার হতে চাইবেন না। এভাবে যদি কাস্টমারের আস্থা কমতে থাকে ব্যর্থতা অনিবার্য।


আবেগপ্রবণ মানুষ কখনো ব্যবসায় এগিয়ে যেতে পারে না। এটা বাস্তব কথা। ব্যবসা করতে হলে আপনাকে আবেগ ছেড়ে দিতে হবে। হ্যা কিছুক্ষেত্রে তার ব্যাতিক্রম হতেই পারে তবে ব্যাতিক্রম কখনো উদাহরণ হতে পারে না



সংযোগই উৎপাদনশীলতা বাড়ায়

"Connectivity is productivity." এই উক্তিটি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন বিশেষ করে চাকুরী ও বিজনেসে।

কানেক্টিভিটি এর অর্থ যুক্ত থাকা । কোনো ব্যাক্তির কানেক্টিভিটি বেশি থাকলে নেটওর্য়াক বাড়তে থাকবে,তখন প্রডাক্টিভিটি বাড়তে থাকবে, অর্থাৎ উৎপাদনশীলতা বাড়তে থাকবে। আপনার পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাবে।

উদাহরণ-১: নো কানেক্টিভিটি নো প্রডাক্টিভিটি


আব্দুর রহিম টাঙ্গাইলের একজন তাঁতি পরিবারের প্রায় সবাই এ কাজের সাথে যুক্ত। তারা দিনে বারোটি করে শাড়ি তৈরি করে এবং করোটিয়া সাপ্তাহিক শাড়ি হাটে তা বিক্রির জন্য নিয়ে যায় কখনো বিক্রি হয় আবার কখনো ফিরে আসতে হয় শাড়ি নিয়ে। এদিকে ঝড় বৃষ্টি যাই হোক হাটের দিন হাট মিস করা যাবে না কারণ শাড়ি বিক্রির উপর নির্ভর করছে পরবর্তী সপ্তাহের সংসারের খরচ এভাবেই চলছিল তাতির কষ্টের সংসার।


উদাহরণ-২: কানেক্টিভিট ইজ প্রডাক্টিভিটি


আব্দুর রহিমের ছেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিবে। স্মার্ট ফোন ফেসবুক এসবের প্রতি তার বেশ আগ্রহ। টাকা জমিয়ে সে একটি ফোন কিনে থাকে। ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করে তাদের তৈরিকৃত শাড়ি, সুতা কাটা, তাদের জীবনধারা সবকিছুই তুলে ধরে। এরপরে আসতে থাকে সারা দেশ থেকে শাড়ির অর্ডার এখন আর আব্দুর রহিম কে হাটে যেতে হয় না বাড়িতে বসেই শাড়ি তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছে। আরও দুটি তাঁত যন্ত্র বসিয়েছে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য।


সংযোগ থাকাটা শুধু মানুষের সাথে নয়। দুনিয়ার সবকিছুর সাথে। নতুন নতুন উদ্ভাবনের সাথে, নতুন গবেষণার সাথে তথা সমগ্র বিশ্বের সাথে। আর সেই জন্য বেশি করে নিয়মিত ইন্টারনেট দুনিয়ায় বিচরণ করতে হবে। শিক্ষণীয় সব গ্রুপে বিচরণ করতে হবে।





ই-কমার্সে স্টোরি টেলিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

স্টোরি টেলিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।  


স্টোরি টেলিং বর্তমান বিশ্বে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। স্টোরি টেলিং এর মাধ্যমে অডিয়েন্সদের কাছে পন্য সম্পর্কে জানানো যায়।  

ই-কমার্স বিজনেসে যাদের স্টোরি টেলিংয়ে দক্ষতা রয়েছে তারা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে।


স্টোরি টেলিং এ দক্ষ হলে পার্সোনাল ব্রান্ডিং সহজেই হয়ে যায়।

আজকের যুগে স্টোরিটেলিং এর তাৎপর্য একে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিভিন্ন উপায়ে স্টোরিটেলিং করা হয় এখন। যেমনঃ

১. ভিডিও প্রেজেন্টেশন 

২. ভিজ্যুয়াল লাইভ প্রেজেন্টেশন 

৩. অডিও রেকর্ড বা পডকাস্ট

৪. লাইভ অডিও প্রেজেন্টেশন 

৫.লেখালেখির মাধ্যমে।

স্টোরি টেলিং :স্টোরি টেলিং অনেক ধরনের হতে পারে।তবে ব্যবসায় উদ্যেগের জন্য স্টোরি টেলিং হল সুন্দর সুন্দর গল্পের মাধ্যমে নিজেকে পরিচিতি করানো,নিজের পন্যকে কাস্টমারের কাছে তুলে ধরা।

গল্পটা হবে-

-নিজের পন্যের উৎপত্তি

-পন্যেটা পরলে কেমন লাগতে পারে

-স্বাদ কেমন

-স্বাদের ভিন্নতা আনতে আপনি কি কি করেছেন

-পন্যটাকে ইউনিক করতে আপনি আপনার সৃজনশীলতা কিভাব৷ প্রয়োগ করেছেন

-কোন দিবসে কোন জিনিস বা কালারকে প্রাধান্য দেয়া হয়;

এসব বিষয় গুলো গল্প আকারে তুলে ধরাই হল স্টোরি টেলিং।

স্টোরি টেলিং কেনো গুরুত্বপূর্ণ -

১/বিজনেস গ্রোথের জন্য 

২/কম্পিটেটিভ মার্কেটে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা

৩/মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাটেজি

৪/কাস্টমারদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা যায়

৫/কাস্টসার আকৃষ্ট করার সুন্দর ও সহজতম মাধ্যম

৬/নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা স্টোরির মাধ্যমে তুলে ধরে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করা।

৭/কাস্টমারদের সাথে কনভারসেশন সুন্দর করে স্টোরির মাধ্যমে সবার সামনে প্রেজেন্ট করা 

৭/স্টোরি টেলিং যত স্ট্রং তত ই কমার্স বিজনেস স্ট্রংলি স্টে করতে পারবে।

২০০৭সালে স্টিভ জব বাজারে আইফোন নিয়ে আসে,সে তার পন্য গুলার সুযোগ সুবিধা নিয়ে গল্প আকারে সবার মাঝে তুলে ধরে।

আইফোন কেন ব্যবহার করবে মানুষ এর কি বৈশিষ্ট্য আছে,কি এমন আলাদা সুবিধা দিবে এটা।


এসব গল্প আকারে শোনার পর ক্রেতার আগ্রহ বাড়ে আইফোন কিনতে



কাস্টমার খাতিরের বিভিন্ন উপায় বা কৌশল সমূহ নিয়ে আলোচনা

কাস্টমার খাতিরের বিভিন্ন উপায় বা কৌশল সমূহ নিয়ে আলোচনা করুন।


কাস্টমার খাতিরের ক্ষেত্রে আমি কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করে থাকি। 


১/ কাস্টমার কে নিজে থেকে আগেই কল দিয়ে ডেলিভারি সংক্রান্ত ব্যাপারে কথা বলি। কোন বিষয় নিয়ে যদি উনি সংসয় প্রকাশ করেন তা দূর করি কথা বলে।

২/ অনেক কাস্টমার পন্যের মূল্য কম দিতে চায়। সেক্ষেত্রে আমি ডেলিভারি চার্জ টা বাদ দিয়ে দেই। রিপিড কাস্টমারের ক্ষেত্রে সবসময় চেষ্টা করি ১০% ছাড় দেয়ার।

৩/কাস্টমার প্রোডাক্ট পাবার পর ও তার সাথে যোগাযোগ রাখি। অনেক কাস্টমার আছে যারা নিজে থেকে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকে। তাদের সাথে টুকটাক কথা বলি।

৪/ কাস্টমার খাতির করতে গিয়ে একটা জিনিস আমি সর্বদা মাথায় রাখি তা হল বিনয়। 


৫/ প্রোডাক্টের আপডেট দেয়া ছাড়াও, গিফট হিসেবে কিছু এবং সাথে শুভেচ্ছাবার্তার চিরকুট দিতে কখনোই ভুলি না।

অনেকে মনে করে যে কাস্টমার খাতির করার ব্যাপারটি অনেক ব্যয়বহুল, বা সামর্থ্যর বাইরে । কিন্তু মোটেও নয়, একজন উদ্যোক্তা সুন্দর বুদ্ধি খাটিয়ে অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করে তার সামর্থ্য অনুযায়ী কাস্টমার খাতির করতে পারেন। এর জন্য কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই।

কাস্টমার খাতিরের সবচেয়ে ভালো উপায় গুলো হল:

১/ভালো ব্যবহার করা

২/তাদের প্রোয়জন বুঝে সার্ভিস দেয়া।

৩/মাঝে মাঝে তাদের খোঁজ নেয়া

৪/রিপিট কাস্টমারকে মাঝে মাঝে খোজ খবর নেয়া।

৫/ফোন করার আগে মেসেজ দিয়ে অনুমতি নেয়া।

৬/যতটা সম্ভব ডেলিভারি চার্জ কম রাখা বা ফ্রি করা।

৭/ডেলিভারি চার্জ ফ্রি করতে না পারলে বিকাশ চার্জ ছাড় দেয়া 

৮/ভালো আর্নিং মানি থাকলে,কাস্টমারদের নিয়ে বাহিরে আউটিং করা।

9/Razib Ahmed বলেছেন,কাস্টমারকে বাফেট লাঞ্চ বা ডিনার করানো।এটা বেষ্ট ওয়ে কাস্টমার খাতিরের।


১০/সর্বোপরি নিজের পন্যের মান ভালো রেখে এগুতো হবে।

আমি একটা জুয়েলারির দোকানে যায় সবসময় সেখানে তারা ঢুকার সাথে সাথেই আগে বলবে কি খাবেন - চা,কফি,কোল্ড ড্রিংকস।এবং তারা চা কফি কিছু না খেলে আসার সময় হাতে কোল্ড ড্রিংকস এর বোতল টা একটা প্যাকেটে দিয়ে দিবে। এটা কিন্তু তারা সম্ভাব্য কাস্টমার ভেবে করে।শুধু কাস্টমার দের না। এটা করে তাহলে বছরে অনেক টাকা লস হচ্ছে আপাত দৃষ্টিতে কিন্তু আসলেই কি তাই হচ্ছে। তবে তারা স্বনামধন্য একটা মার্কেটে স্পেস নিয়ে টিকে আছে কি করে?আসলে আমাদের জ্ঞানের অভাব অথবা বেশি চালাক তাই Razib Ahmed স্যারের কাস্টমার খাতির করাকে লস হিসেবে ঘোষণা করি।

কাস্টমারদের বিভিন্ন ভাবে খাতির করা যায়। এর মধ্যে কয়েকটি তুলে ধরার চেষ্টা করলামঃ

💥কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দেওয়া।

💥কাস্টমারদের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করা।

💥কাস্টমারদের মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে খবর নেওয়া যায়।

💥কোন ইভেন্টে দাওয়াত করা যায়। 

💥 কোন বিশেষ দিনে গিফট পাঠানো বা উইশ করা।

💥ডেলিভারি চার্জ ফ্রি করে দেওয়া। 

💥ডেলিভারি চার্য ফ্রি করতে না পারলে কোন গিফট দেওয়া।

💥বিকাশ চার্য মওকুফ করে দেওয়া।

💥কাস্টমারদের নিয়ে বুফেতে কেতে যাওয়া।

💥ভালো মানের পন্য দেওয়া।

💥পন্যের মূল্য যেনো সহনীয় হয়।

মালয়েশিয়াতে অনেক সাইট থেকে শপিং করলে উনারা একটা ফর্ম পূরণ করতে দেন‌। নানা ইনফরমেশন জানতে চান। জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী। তারপর তারা দেখে আপনি কত কেনাকাটা করছেন। বেশি হলে গিফট পাঠায় আর কম হলে উইশ করে মেসেজের মাধ্যমে। অনেকেই আবার কম্পানির বাৎসরিক ডিনারে আমন্ত্রিত করে থাকে।

কাষ্টমার খাতির বড় একটা বিষয়। কাষ্টমার সব সময়ই লক্ষী। কাষ্টমারদের বড় মনে কারনো তাদের সম্মান করা উচিৎ। তাদেরকে স্পেশাল ফিল করানো উচিৎ। তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে তাদের সাথে ভালো একটা বন্ডিং তৈরি করতে হবে। কাস্টমারদের ভালো ভালো পোস্ট লিখতে হবে। রেস্টুরেন্টে বসে এক সাথে খেতে হবে। পণ্যের পাশে উইশনোট দেওয়া, স্পেশাল দিনে উইশ করা গিফ্ট পাঠানো এইসব বিষয় গুলো কাস্টমা সেলারের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক তৈরি করে। ১০০ জন কাস্টমারকে ডেলিভারি চার্জ ফ্রী করে দিলে তারা রিভিউ দেওয়ার কথা চিন্তা করবে।রিপিট কাস্টমার যারা অনেক কাস্টমার এনে দেয় তাদের ডিসকাউন্ট দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

কিভাবে বুঝবেন যে আপনি বিজনেস করার জন্য প্রস্তুত?

কিভাবে বুঝবেন যে আপনি বিজনেস করার জন্য প্রস্তুত?
ব্যবসা আমাদের জীবনের এর অসাধারন অভিজ্ঞতা । চড়াই-উতরাই পার করে কষ্ট করে লেগে থাকলে বিনিময়ে বিজনেস আমাদের জীবনকে পাল্টে দেয়। তাই আমাদের অনেকেরই মনে স্বপ্ন থাকে একদিন আমিও ব্যবসা করবো।   

একজন নতুন উদ্যোক্তার সর্বপ্রথম কাজ হলো সে কি বিষয় নিয়ে কাজ করতে চায় সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া। একাধিক কাজ করতে চাইলে প্রাথমিক অবস্থায় হ য ব র ল অবস্থা হবে একজন নিদ্রিষ্ট কোন বিষয় কে ফোকাস করা।

আপনার আইডিয়া বা প্রোডাক্টের মার্কেটঃ মার্কেট রিসার্চ করেছেন তো? বাস্তবে আপনার বিজনেস মার্কেটে কোন ভ্যালু ক্রিয়েট করবে কিনা তা যাচাই করেছেন কিনা?
ব্যর্থ হবার রিস্ক কতটুকু? আজকে এলাম আর কালকে জয় করলাম এমনটা খুব কম হয়। শতকরা ৮০% ক্ষেত্রে এর উল্টোটা হয়। ৫ বছর পর্যন্ত টিকে থাকে মাত্র ১০ শতাংশ বিজনেস। বাস্তবতা বিবেচনা করে আপনার বিজনেস প্ল্যান সেট করুন।
সফল হলে কি প্রবলেম হতে পারে?ঃ  আপনার প্রচুর কাজের চাপ আসবে, ফ্যামিলি টাইম, বিজনেস পার্টনারদের সাথে সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। এবিষয়ে আমাদের জানা বা প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন।
আপনার বিজনেস প্ল্যান আছে ঃ আপনি কিভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাবেন, এ ব্যাপারে আপনার পুরোপুরি ধারনা আছে। কাগজ কলমে সব হিসাব করেছেন তো? ব্যবসা করার আসল উদ্যেশ্য কিন্তু মুনাফা অর্জন, এ ব্যপারে আপনার প্ল্যান কি?
আপনার বিজনেস প্ল্যান আছে ঃ আপনি কিভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাবেন, এ ব্যাপারে আপনার পুরোপুরি ধারনা আছে। কাগজ কলমে সব হিসাব করেছেন তো? ব্যবসা করার আসল উদ্যেশ্য কিন্তু মুনাফা অর্জন, এ ব্যপারে আপনার প্ল্যান কি?
ফাইন্যন্সিয়াল রিস্কঃ কত টাকা লাগবে আপনার বিজনেস শুরু করতে? কত টাকা আপনার সেভিংস আছে? ঘাটতি কিভাবে মেটাবেন? - প্রাইমারি ইনভেস্টের টাকার প্ল্যান না করে বিজনেসে নামা অনেক বড় রিস্ক।
পরামর্শ নিয়েছেন কারো?ঃ  উই, বা ডিএসবিতে রাজিব স্যারের অনেক পরামর্শ আর অভিজ্ঞতার কথা আছে। আরো অজস্র বিজনের রিলেটেড ইনফরমেশন দেয়া আছে। স্যারের কথাগুলো পড়ে দেখেছেন তো? আপনি যেকোনো ভালো মেন্টরের পরামর্শ মেনে চলেন তো? 
একজন নতুন উদ্যোক্তা হতে হলে যা জানা জরুরি
1. ই কমার্স সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে।আজকাল বেশির ভাগ বিজনেস ই কমার্স বা এফ কমার্স এর মাধ্যমে হয়। ই কমার্সের জন্য একটা ওয়েবসাইট খুলতে হবে। 
2. এফ কমার্স : ফেইসবুক পেইজ ওপেন করতে হলে কি কি লাগবে তা সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। প্রোফাইল,কভার ফটো,ডেস্ক্রিপশন,ফোন নাম্বার,এড্রেস,ইমেইল সব রেডি করে ফেসবুক পেইজ ওপেন করতে হবে
3. কি নিয়ে বিজনেস করতে চায় সে সম্পর্কে পুরো ধারণা থাকতে হবে।
4. ভাল ছবি তোলার ধারণা নিতে হবে।
5. পেইজে প্রতিদিন নিজের পণ্য সম্পর্কে জানাতে হবে।
6।অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে।
7.কাস্টমার কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় সেটা জানতে হবে।
8.পণ্য ডেলিভারি সম্পর্কে জানতে হবে।
9. প্যাকেজিং সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
10.স্মার্ট ফোন ব্যবহার জানতে হবে।
11.ডোমেইন,হোস্টিং,পডকাস্ট সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
 সবকাজের দক্ষতা ঃ প্রোডাক্ট সোর্সিং, মার্কেটিং, ফাইন্যান্স, ডেলিভারি, কাস্টমার সার্ভিস নিয়ে আপনার পূর্ণ দক্ষতা থাকতে হবে।

ফেসবুক পেজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা

 ফেসবুক পেজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা।


ফেসবুক পেজ হচ্ছে আপনার বিজনেসের ডিজিটাল হোম। আপনার বিজনেস পেজ মানুষকে আপনার ব্যবসা চিনতে সাহায্য করে, আপনার কি কি অফার আছে তা জানতে পারে, কি ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস দিচ্ছেন তা সম্পর্কে ধারণা দেয়। আপনার সাথে কাস্টমারের এ সংক্রান্ত ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারে।

ফেসবুক পেজ কেমন হতে হবে এটা একজন ডিজিটাল মার্কেটারের জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেমন হতে হবে আপনার পেজ?

১. মানুষের যেন উপকারে আসে এমন করে তথ্যসাজাতে হবে।


২. কি কি নিয়ে কাজ করছেন তা যেন সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। 


৩. ভ্যালুয়েবল কন্টেন্ট থাকতে হবে। 


৪. সাজানো গোছানো ইনফরমেশন থাকতে হবে।


ফেজবুক পেজ ব্যবস্থাপনায় কিছু দিক বিবেচনায় রাখতে হবে:


১/প্রথমেই পেজের নামটা ইউনিক হতে হবে।

২/পেজের কভার পিক আকর্ষণীয় হতে হবে।

৩/বর্গ আকৃতির প্রফাইল ছবিটাও সুন্দর হতে হবে।

৪/পেজের প্রতিটি পোস্টের ছবি মানসম্মত হতে হবে।

৫/পোস্ট অবশ্যই গঠনমুলক ও পাঠকের মন ছুয়ে যায়,এমন কন্টেন্ট যুক্ত হতে হবে।

৬/পেজের এভাউট সেকসনটা তথ্যবহুল হবে।

৭/নিজের প্রফাইল সিকিউরড তথা এডমিন সেকসন সেফ রাখতে হবে।

৮/পেজ মেন্টেনের জন্য বিশ্বাসযোগ্য কাউকে মডারেটর করা যেতে পারে।


কাস্টমার এনগেজমেন্ট বা ম্যানেজ এর জন্য ফেসবুক পেজ এ বিভিন্ন রকমের ফ্রি ফিচার আছে। আপনি পোস্ট আপডেট দিতে পারবেন, ছবি,  ভিডিও বা লাইভ শেয়ার করতে পারবেন আপনার অডিয়েন্সের কাছে। সরাসরি ম্যাসেজিং এর অপশন ও পাওয়া যাবে

ফেসবুক পেজে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যায়

👉 অগণিত বন্ধু রাখা যায় এবং এর ফলে ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব পড়ে না।

👉 পেজটি চালানোর জন্য এডমিন মডারেটর রাখা যায়

👉 সার্চ করার সুবিধা পাওয়া যায়

👉 নিউজ ফিড মার্কেটিং করা যায়

👉 বিজ্ঞাপন দেয়া সুবিধা পাওয়া যায়

👉 মনিটরিং এর সুবিধা পাওয়া যায়

ইত্যাদি

আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে, পেইজের কোন পোস্টে কমেন্ট আসলে সুন্দরভাবে এবং সম্ভব হলে সাথে সাথে রিপ্লাই দেয়া। এবং রিপ্লাই এমন হতে হবে যাতে কমেন্টদাতা নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানিত ফিল করে অর্থাৎ সে কিনুক বা না কিনুক একটা ভালো এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে যায়।  তাহলে এই পেইজের ব্যাপারে তার মনে একটা পজিটিভ ফিলিংস তৈরী হবে এবং এতে করে সে এখন কিনুক আর না কিনুক ভবিষ্যতে কেনার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। আবার সে অন্যদেরকেও পেইজ সম্পর্কে ইনফরমেশন দিবে এবং তাতে করে পেইজে ভিউয়ার বাড়বে আবার সেলও বাড়তে পারে


পেজ ক্রিয়েট করার সময় ফেসবুক যেসব ইনফরমেশন চাইবে তা শুরুতেই যথাসম্ভব পূরন করে নেয়া উত্তম। বিশেষত ফোন নাম্বার, ইমেইল এবং এড্রেস যেন আপনার সঠিক হয় সেটা লক্ষ্য রাখা উচিত।

1.আপনি কিন্তু আপনার পেজের মাধ্যমে টার্গেট 2.কাস্টমার চিহ্নিত করতে পারবেন। ক্রেতা কি চায় সেটা আপনি প্রকাশ করতে পারবেন। 

3.একটা সুন্দর লোগো দরকার।

4.পেজে ডোমেইন-হোষ্টিং থাকা দরকার।

5.সুন্দর কনসেপ্টে লেখা দরকার।

6.কন্টেন্ট ঠিক রাখা দরকার

.আনরিড আনসিন মেসেজগুলো সিন করার দরকার

স্প্যামবক্সে অনেক মেসেজ জমে যায় যেগুলো কিনা পেজে আসেনা সেগুলো নিয়মিত চেক করা দরকার।

7.পণ্যের উপর ফোকাস করে পণ্য সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে লেখা দরকার।

8.রিকমেন্ডেশন থাকা দরকার পেজে এর মাধ্যমে ক্রেতাদের আস্থা আপনি অর্জন করতে পারবেন।

9.আপনার সার্ভিস কেমন আপনার প্রোডাক্ট সবকিছু আপনার পেজ উল্লেখ করতে হবে।

10.টার্গেট কাস্টমার বের করতে পারবেন আপনি আপনার পেইজের মাধ্যমে।


6 মাস পরপর আপনার পণ্যকে নতুন ভাবে উপস্থাপনা করা দরকার এতে ক্রেতা আকৃষ্ট হয়।

এইবার যদি ফেসবুকের পাসওয়ার্ডে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করা থাকে আপনার ফেসবুক নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। 

**পুরো প্রসেসটা একান্ত গোপনীয়ভাবে সম্পন্ন করবেন।

ফেসবুক পেইজে মেম্বার/লাইক  বাড়ানোর জন্য আপনি একচেটিয়া সবাইকে ইনভাইট করা শুরু করলেন এটা কখনোই আপনার জন্য ফলপ্রসূ হবে না। আপনার টার্গেটেড কাস্টমার পর্যন্ত আপনাকে পৌঁছাতে হবে। সবাই নিঃসন্দেহে আপনার ক্রেতা শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত নয়। তাহলে কিভাবে বুঝবেন কারা আপনার জন্য টার্গেটেড কাস্টমার? 


এটা বুঝার জন্য আপনাকে নিয়মিত আপনার পেইজে পোস্ট করে যেতে হবে, যেগুলো আপনার বিজনেস প্রোডাক্টের বর্ননা করবে এবং নানাবিধ প্রয়োজনীয় দিক তুলে ধরবে। এতে করে যাদের প্রয়োজন তারা নিজেই আপনাকে খুঁজে নিবে।


📌 টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, বিভিন্ন সাইজের ব্যানার, ফেসটুন, লিফলেট,  ইত্যাদির মাধ্যমে পন্য প্রচার হলো ট্রাডিশনাল মার্কেটিং। অন্যদিকে ই কমার্স বিজনেসে পণ্যের বিজ্ঞাপন যেমন- ফেসবুক, ইউটিউব, ইনষ্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে পন্যের প্রচারনাকে ই কমার্স বিজনেস বলে ।


📌 ট্রাডিশনাল বিজনেসে  এ টাকার  পরিমান অনেক বেশী লাগে। ট্রাডিশনাল বিজনেসে দোকানের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা, কর্মী, বিভিন্ন ধরনের ডেকোরেশনের জন্য সরঞ্জাম লাগে। বিভিন্ন লাইটিং এর জন্য মোটা অংকের ইলেকট্রিসিটি বিল দিতে হয়।পন্যের পরিমানও অনেক লাগে।ক্রেতা অনেচ গুলো দেখে সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও অনেক কথা বলতে হয়। পক্ষান্তরে  ই কমার্স বিজনেসে টাকার পরিমান তুলনামূলক অনেক কম লাগে।


 📌ট্রাডিশনাল বিজনেসের  মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের এর ফলাফল হিসেবে এর কোন পরিপূর্ণ ডাটা পাওয়া যায় না। যা কিনা ই কমার্স বিজনেসে  ক্ষেত্রে এ সকল ডাটা পাওয়া সম্ভব।


📌 ট্রাডিশনাল বিজনেস এর দ্বারা টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে বিজ্ঞাপন প্রচার সম্ভব হয় না।নির্দিষ্ট এরিয়ার মানুষজন শুধু কিনতে পারে। কিন্তু  ই কমার্স বিজনেসের মাধ্যমে টার্গেটেড কাস্টমারের নিকট বিজ্ঞাপন প্রচার সম্ভব।ঘরে বসেই বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক সংখ্যক কাষ্টমার সৃষ্টি করা যায়।

 

📌ট্র্যাডিশনাল বিজনেসে নির্দিষ্ট সময়ে যেতে হয় এর বাহিরে কাজ করার সুযোগ থাকে না।আর ই কমার্স বিজনেসে ২৪ ঘন্টা কাজ করা যায় ঘরে বসেই। one man army হিসেবে কাজ করতে হয়।


📌ট্রাডিশনাল বিজনেসে প্রোডাক্ট মার্কেটিংশুধু একটা এরিয়াতে হয় আর ক ই কমার্স বিজনেসে প্রোডাক্টখুবসহজেই রিচ হয়।


🍀কোন উদ্যোক্তা হতে চাইলে সহজেই  ই-কমার্স বিজিনেসের মাধ্যমে পন্য প্রচার  করা যায়। যা বিজনেস প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।


 🍀আবার ট্রাডিশনাল বিজনেসের তুলনায় ই কমার্স বিজনেসে  সহজেই   টারগেটেড কাস্টমারদের কাছে নির্ধারিত পন্য বা সেবার প্রচার প্রচারনা করা যায়।


🍀মূলত ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে দিন দিন ট্রাডিশনাল বিজনেস এর চেয়ে ইকমার্স বিজনেস অনেক  বেশি কার্যকরী হয়ে উঠছে।


দেশী পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির কন্টেন্ট নিয়ে আলোচনা

দেশী পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির কন্টেন্ট নিয়ে আলোচনা করেন। 


কনটেন্ট মানে হলো বিষয়বস্তু । দেশী পন্যের ই কমার্স কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু হলো এমন কিছু মাধ্যম যা দিয়ে কোনো আমরা আমাদের ই কমার্স সেক্টরে নিজের উদ্যেগকে  প্রকাশ করেছি বা করছি। কোনো কিছুর অবস্থা হতে পারে কোনো ছবি ও শব্দও হতে পারে । এগুলো সরাসরি প্রকাশ করা যায় আবার সংরক্ষিত রেখে সরবরাহ ও বিতরণ করা যায় ।

কেমন হতে পারে আপনার উদ্যেগের  কন্টেন্ট??


১/পন‍্যের পরিচিতি 

২/ গুনাগুন 

৩/ উৎপত্তি

৪/ ব‍্যবহার

৫/ রক্ষনাবেক্ষন

৬/পন্যের বন্টন প্রনালী

৭/বিপনন কৌশল

৮/স্টোরি টেলিং এর মাধ্যমে পন্যকে উপাস্থাপন

৯/পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং ও হতে পারে কন্টেন্ট


উপরোক্ত বিষয় গুলো  থাকতে পারে আপনার পন্যের কন্টেন্টে।

ঐতিহ্যবাহী ও সংস্কৃতিক বাংলাদেশ আমাদের এখানে অনেক ব্যবসায়িক সামগ্রী গুলো রয়েছে যা দিয়ে আমরা সহজে ই-কমার্স এর মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি বিরাট বাণিজ্যিক প্রসার ঘটাতে পারি ও বড় একটি মার্কেট প্লেস তৈরি করতে পারি দেশ ও দেশের বাইরে। এবং এর মাধ্যমে অনেক বেকারত্বের হার কমিয়ে আত্মকর্মসংস্থান বাড়িয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ঘটাতে পারি

ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনাে তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা উভয়ই ডিজিটাল কনটেন্ট। কাজেই নানাভাবে ডিজিটাল কনটেন্টকে ভাগ করা যায়। তবে, ডিজিটাল কনটেন্টকে প্রধান চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।

১/টেক্সট অথবা লিখিত কনটেন্ট

২/ ছবি। 

৩/শব্দ বা অডিও। 

৪/ ভিডিও এবং এনিমেশন।

বাংলাদেশের যেহেতু অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যদি একটু উদাহরণ হিসেবে  ই ক্যাব কথা চিন্তা করি তাহলে আরও সহজ হয়ে যাবে বিষয়টি, যেমন ই ক্যাব এর মাধ্যমে এখন ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির অনেকগুলো সম্ভাবনাময় দ্বার খুলে গিয়েছে,  যেমন ভাবে ই ক্যাব  দেশের পণ্য নিয়ে কাজ করে সবার দ্বারে দ্বারে পৌছে দেয়ার প্রচেষ্টা করছে

বিল গেটস বলেছিল কন্টেন্ট রাইটিং ইজ কিং,

কন্টেন্ট দ্বারা একটা পন্যকে খুব সহজেই উপস্থাপন করা যায়।

তা বিভিন্ন মাধ্যমে হতে পারে।

লিখা,ছবি দিয়ে,পডকাস্টিং করে বিভিন্নভাবেই কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা যায়।


শাহজাদপুর হাটঃ সিরাজগঞ্জের একটি বড় হাট শাহজাদপুর হাট। এ হাটে মূলত পাইকারি বিক্রি হয় তাঁতের শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, থ্রি-পিস, রং ও সুতা। সপ্তাহে চার দিন হাট বসে—শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার

পাঠক যেন বোর ফিল না করে সে কারণে কন্টেন্ট এর সাইজ এর উপর আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। নরমালি ৫০০ বা ১০০০ শব্দের মাঝে হলে তা পড়তে বিরক্ত আসেনা। তবে হ্যা ছোট ও হতে পারে তবে তা এমন হবে যেন পাঠক বা ক্রেতা, যাদের টার্গেট করে লেখা তাদের মন ছুয়ে যায়।


প্রতিটি জেলায় এমন কিছু পন্য রয়েছে যা সেসব জেলাকে ব্রান্ডিং করে,ই কমার্স ব্যবহার করে ভালো কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে সেগুলাকে সারাদেশের কাছেই পরিচিত করা গেছে।


এখন যেহেতু অনেক উদ্যোক্তা স্যারের গাইডলাইন ফলো করে কাজ করছে, এখন প্রচুর তথ্যবহুল কন্টেন্ট এভেলেবল হবে অনলাইনে ইনশাল্লাহ।  যা সবসময় সবার কাজে লাগবে। একসময় ইউনিভার্সিটিতে কোর্স চালু হলে এই কন্টেন্টগুলো অনেক বেশী গুরুত্ব পাবে। আমরা যেমন ইউনিভার্সিটিতে এসাইনমেন্ট করার সময় একটা টপিকের উপর প্রচুর সার্চ করতাম তেমনি যখন ইউনিভার্সিটিগুলোতে ই কমার্সের কোর্স চালু হবে তখন আমাদের আপুদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট রিলেটেড কন্টেন্টগুলো সার্চ করে পড়বে স্টুডেন্টরা।


বাজিতপুর হাটঃ আদি টাইংগাইলের বাজিতপুর বটতলায় শুক্র ও সোমবার বসে বাজিতপুর শাড়ির হাট। ভোরে শুরু হয়ে সকাল নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এই হাটের মূল পণ্য তাঁতের শাড়ি। বাজিতপুর হাটে মূলত টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি বিক্রি হয়। এছাড়া শাড়ি তৈরির সুতা, তাঁতের বিভিন্ন উপকরণও বিক্রি হয়।


রাঙ্গামাটির শালগুলো বিভিন্ন আদিবাসী জাতিসত্তা দ্বারা তৈরি হওয়ায়  এর বুননশৈলি ও সৌন্দর্যে আছে ঐতিহ্যের ছোঁয়া।

টেক্সটাইল খাতে উন্নয়নের সাথে সাথে তাঁত শিল্প হারাতে বসেছিল। ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্যোক্তারা মেশিনে তৈরি কাপড় ও তাঁতিদের হাতে তৈরি কাপড় এরমধ্যে পার্থক্য তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন ফলে তাঁত কাপড়ের চাহিদা আবার বাড়ছে। এতে করে তাঁত শিল্পে ফিরে আসতে শুরু করেছে সুদিন।

উইতে আমরা কি করি কনটেন্ট লিখি। সাথে পণ্যের ছবি দেই।  উইতে সেল পোস্ট এলাউ না।  তারপর ও উইতে লাখপতি উদ্যোক্তার অভাব নাই। সবার ই নির্দিষ্ট ক্রেতা আছে। কারণ উইতে আমাদের পারসোনাল ব্র‍্যান্ডিং এর উপর জোর দেওয়া হয়। আর পারসোনাল ব্র‍্যান্ডিং হয় কনটেন্ট এর কারণে।  যার কনটেন্ট যতো ভালো তার পরিচিতি ততই বেশি।  আর যার পরিচিতি বেশি তার বিক্রিও বেশি।  কারণ আমরা তার থেকেই কিনি, যাকে আমরা চিনি। আর এই চেনা বা চেনানোর মাধ্যম ই কনটেন্ট।

আজকের লাস্ট কমেন্ট করবো একটু লম্বা হবে। দেখেন ভাল কনটেন্ট লিখার জন্য আপনাকে রবীন্দ্রনাথ শেক্সপিয়ার, হুমায়ূন আহমেদ নজরুল আনিসুল হক  হতে হবে না। দেখেন একজন মানুষ যে ভাষায় কনটেন্ট লিখবে সেই ভাষার ব্যাকরণ টা খুবই ভাল করে  জানতে হবে। সে জানে কোথায় কোন সমাসের ব্যবহার কোন কারক কোন প্রত্যয় যোগ করে কিভাবে একটি ভাষাকে কত মোহনীয় করে তুলতে হবে কিন্তু তার রবীন্দ্রনাথের মত একটি বই নেই, হুমায়ূন আহমেদের মত একটি ভালো উপন্যাস নেই। তার মানে এই না যে সে একটি ভাল কনটেন্ট লিখতে পারবে না। সে কিন্তু জানে কোন শব্দ টা লাইনের কোথায় বসলে ওই লাইনটা আসলে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে কোন লাইন এর পরে কোন লাইনটা ডেলিভারি দেয়া উচিত এ বিষয়ে তার ব্যাপক জ্ঞান আছে এটুকুই যথেষ্ট তার জন্য বলছি না। কিন্তু এই টুকু থাকলে সে মোটামুটি একটি কনটেন্ট লেখার জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। তাই কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে আমি মনে করি প্রথম ভাষার অগাধ জ্ঞান থাকতে হবে। দেখেন প্রাক্টিক্যালি একটা সাবজেক্ট সম্পর্কে মানুষকে বোঝানো এবং থিওরিটিক্যাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে একটা সাবজেক্টকে মানুষকে বোঝানো সেটা ভিন্ন ব্যাপার। তাই কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে ভাষার সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান  হচ্ছে অন্যতম একটি গুণ।

করোটিয়া বাজারঃ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শাড়ি কাপড় বিক্রির হাট টাঙ্গাইলের করোটিয়ার।এই হাট টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ীর জন্য প্রসিদ্ধ। এই হাটকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের দক্ষ কারিগররা দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন প্রকারের পোশাক প্রস্তুত করে আসছে। প্রতি মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত এখানে হাট বসে।


দেশের বাজারে লনের কাপড়ের এই বিশাল চাহিদার প্রেক্ষিতে দেশিয় নিটিং ফ্যাক্টরিগুলো আধুনিক টেকনলোজি ও উন্নত সুতা ব্যাবহার করে লন ফ্যাব্রিক উৎপাদনের কাজ শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় প্রিন্টিং কোয়ালিটির উপর ও গুরুত্ব দিয়ে আমদানি করা হয় ডিজিটাল টেক্সটাইল প্রিন্টিং ম্যাশিন, যার ফলে আমরা পাচ্ছি আমাদের বর্তমান ট্রেন্ড ডিজিটাল প্রিন্টেড কটন লন। বাংলাদেশের তৈরি লনের কাপড় পাকিস্তানি লনের তুলনায় একটু কম পাতলা হয়। এতে ১০০% কটন সুতা ইউজ করা হয়।


বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের কাপড়ের বাজারে পাকিস্তানি লনের একচেটিয়া আধিপাত্য ছিল, আর সেসব লনের মূল্য ও ছিলো ক্রেতাদের হাতের নাগালে। আনুমানিক ২০১৫ সাল থেকে পাকিস্তান থেকে আমদানিকৃত কাপড়ের উপর আমদানি শুল্ক সর্বাধিক করায় রাতারাতি পাকিস্তানি লনের মুল্য প্রায় দ্বিগুন বৃদ্ধি পায়।


বাবুরহাটঃ বাবুরহাট  বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ কাপড়ের বাজার। এটি নরসিংদী জেলার সদর থানায় শেখেরচরে অবস্থিত। এ অঞ্চলটি বহুকাল থেকেই তাঁত বস্ত্রের জন্য প্রসিদ্ধ। এক সময় কেবল রবিবারে হাট বসত। এখন সপ্তাহে তিনদিন অর্থাৎ শনি, রবি ও সোমবার হাট বসে


সোহাগপুর হাটঃ  সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোহাগপুর হাট প্রায় প্রায় ৬৫ বছরের পুরোনো। হাটটি বর্তমানে সোম, মঙ্গল ও বুধবারে বসে। সোম ও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বয়নশিল্পীদের তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা বিক্রি হয়। বুধবার সুতা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয়।

ইন্টারনেট দুনিয়ার প্রাণই বলা যায় কনটেন্ট। কনটেন্ট ছাড়া কোন ওয়েবসাইটের ভ্যালু নাই। কনটেন্ট না থাকলেও তেমন ইউজার ইন্টারনেটে আসার প্রয়োজন মনে করতো না। দেশি পণ্যের ক্ষেত্রেও অনুরুপ। 


দিন দিন দেশি পণ্যের যত কনটেন্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে তত প্রচার ও বিক্রি বেড়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন উইজার এনে দেয় কনটেন্ট। আমরা যখন কোন কনটেন্ট কোন ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি এবং অপরিচিত কোন ইউজার রিলেটেড কিওয়ার্ড সার্চ করে তাহলে সে পেয়ে যায় পণ্য গুলো। তাই ইন্টারনেটে যত বেশি কনটেন্ট আপলোড হবে তত বেশি ইউজার বাড়বে, প্রচার বাড়বে। আমরা সাধারণত আর্টিকেল, ছবি, ভিডিও ব্যবহার করি। তাছাড়াও পিডিএফ, পডকাস্ট ইত্যাদি রয়েছে।


দেশি পণ্যের প্রসারে কনটেন্টের বিকল্প নাই।



পার্সোনাল ব্র‍্যান্ডিং এর প্রয়োজনীয়তা এবং তা অর্জনের উপায়সমূহ


বিষয়ঃ পার্সোনাল ব্র‍্যান্ডিং ও এর প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব ও তা অর্জনের বিভিন্ন উপায়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন। 

পার্সোনাল ব্রান্ডিং আমরা সবাই চাই কিন্তু এজন্য কষ্ট করতে চাই না। বিজনেসে এর দরকার খুব বেশি। ধরেন আপনি জামদানি শাড়ি কিনতে চান। আপনি কেন কাকলি আপুকে নক দেন? 
পার্সোনাল মানে নিজের ,বা আপনি। ব্র্যান্ডিং মানে চিহ্ন,বা এক নাম।পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং মানে আপনার নিজের একটি চিহ্ন,তা দিয়ে সবাই আপনাকে চিনবে।
পারসোনাল ব্র‍্যান্ডিং শব্দটা একজন আদর্শ উদ্যোক্তার সাথে যায়।
খাঁটি বাংলায় বলতে গেলে যদি কোনো উদ্যোক্তা নিজের পণ্য এবং স্মার্টলি আধুনিকভাবে উপস্থাপন করে তাকে পারসোনাল ব্র‍্যান্ডিং বলে।
ধরুন আপনি শাড়ি বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে আপনার পণ্য এর গুণগত মান শৈলীভাবে উপস্থাপন করে নিজের মেধা পরিশ্রম উদ্যম একাগ্রতা দিয়ে নিজেকের পণ্যকে জনপ্রিয় করে তুলেন নিজের পণ্যের মার্কেট তৈরি করেন তখন তাকে পারসোনাল ব্র‍্যান্ডিং বলে।
ধরুন আপনি খুব জনপ্রিয় বাট আমি না
কিন্ত কেন?
হ্যা আপনার পারসোনাল ব্র‍্যান্ডিং মজবুত এবং আকর্ষণীয়।
ই-কমার্সের যুগে এখন অনলাইনে ব্যবসা করছে লাখো লাখো উদ্যোক্তা, এবং এখন প্রতিষ্ঠানগুলো বা বিভিন্ন কোম্পানিগুলো তাদের ব্র্যান্ড বা কোম্পানির বিজ্ঞাপন করছে অনলাইনের মাধ্যমে, তাই এক্ষেত্রে পার্সোনাল ব্রান্ডিং তো করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নিজেকে যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে শক্তিশালী বা প্রভাবশালী হিসেবে দেখতে চায় যে কেউ তবে তার অবশ্যই পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করতে হবে
লিংকড–ইন, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের অনন্য মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
আমরা বিভিন্ন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিংয়ের কথা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং বা নিজের ব্র্যান্ডিংয়ের কথা আমরা অনেকেই ভাবি না। একবারও ভেবে দেখেছেন কি, বিভিন্ন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের ভালো দিকগুলোর কথা যখন আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনি, তখনই কিন্তু আমরা পণ্যটি কিনি বা ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো সেবা গ্রহণ করে থাকি। সর্বোপরি ওই পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু আমাদের কাছে বাড়ে।
নিজেকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইলে অ্যাকাউন্টে নিজের সম্পর্কের পর্যাপ্ত নির্ভুল তথ্য থাকতে হবে। যেন আপনার প্রোফাইলে কেউ প্রবেশ করলে আপনার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন। আর একাধিক প্ল্যাটফর্মে তৈরি করা প্রোফাইলগুলোতেও যেন সামঞ্জস্য থাকে। যেমন ফেসবুক, টুইটার, লিংকড–ইনসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সার্টিফিকেটের নামে ও একই নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা, প্রোফাইল ছবিটি একই রাখা, যেন সবাই সহজে চিনতে পারে, নিজের সম্পর্কে একই রকম তথ্য দেওয়া ইত্যাদি।
বর্তমানে ব্যাঙের ছাতার মত উদ্যাক্তা হচ্ছে এবং হারিয়ে যাচ্ছে
কিন্ত কেন জানেন?
হ্যা পারসোনাল ব্র‍্যান্ডিং এর অভাব।
জ্ঞানের অভাব পড়াশোনার অভাব
অনেকে পারসোনাল অবকাঠামো উন্নতি না করেই চাই ফেমাস হতে রাতারাতি
কিন্ত দিন শেষে যে লাউ সে কদু
অল্পতেই হাল ছেড়ে দেওয়া।
পারসোনাল ব্র‍্যান্ডিং আপনাকে শিখাবে কিভাবে লেগে থাকতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে
কিভাবে নিজের পণ্যের প্রচার ও আকর্ষণীয় করতে হবে
কিভাবে নিজেকে ধৈর্যশীল হয়ে বিভিন্ন রকম কাস্টমার হ্যান্ডেল করতে হয়।
একাগ্রতা নিয়ে কিভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়।
পার্সোনাল ব্রান্ডিং এর মাধ্যমেই মানুষ অাপনার পন্য সম্পর্কে জানবে,বুঝবে,চিনবে। রাজিব স্যার সব সময় বলেছেন__ "পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং হয়ে গেলে আপনার ছাইও বিক্রি হবে।"
পার্সোনাল ব্রান্ডিং ভালো না হলে বিজনেস নিয়ে বেশিদূর এগিয়ে যাওয়া যায়না। উদাহরন স্বরূপ বলা যায় আমাদের কাকলি আপুর পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং কিন্তু দারুণ স্ট্রং।
যেমন ধরুন লিংকড–ইন পেশাজীবীদের জন্য একটি চমৎকার জায়গা। এখানে একজন ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্মপ্রতিষ্ঠানের নাম, কাজের বিবরণ, বিশেষ স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন তথ্য দেওয়া থাকে। লিংকড–ইন থেকেই অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের যোগ্য কর্মী খুঁজে নেয়। তাই ভালোভাবে একটি লিংকড–ইন প্রোফাইল তৈরি করে অন্যদের সঙ্গে যুক্ত হলে ক্যারিয়ারে নতুন সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা থাকে। তা ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী নিয়োগের আগে কর্মীর ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ঘেঁটে তাঁর কার্যকলাপ, আচরণ ও চালচলন সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করে। আর এখন তো যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করলেও আবেদনকারীর সোশ্যাল মিডিয়া দেখা হয়।
পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে একজন ব্যাক্তির যদি নাম সার্চ করার মাধ্যমে তার সোশ্যাল মিডিয়াতে ও তার বিভিন্ন ওয়েবসাইট গুলো ও তার বিভিন্ন ম্যাগাজিন বা কোন নিউজ তথ্য তার সম্পর্কে আর্টিকেল গুলো পাওয়া যায় তবে সেটাই তার একটি শক্তিশালী পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং ‌ এর পরিচয় বহন করে
ফেসবুক বুস্ট করার মাধ্যমে পণ্য সেল করা যায় এমন একটি ভ্রান্ত ধারণা একটা সময় মানুষের ছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই এই ধারণার পরিবর্তন হচ্ছে।হয়তোবা ফেসবুক বুস্ট এর মাধ্যমে অর্গানিক কিছু লাইক বাড়ে কিন্তু সেল বাড়ানোর জন্য অবশ্যই পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর দরকার হয়।
পার্সোনাল ব্যান্ডিং করতে যেয়ে আপনাকে খেয়াল করতে হবে আপনার অডিয়েন্স করা, কারা আপনার লিখা পড়ে, তাদের রুচি অনুযায়ী আপনি লিখলে আপ্নার গ্রহন যোগ্যতা বেশী পাবে ফলে খুব জলদি পার্সোনাল ব্রান্ডিং টা মজবুত হবে
শুরুতেই পারফেকশনিস্ট হবার দিকে মনোযোগ না দিয়ে মূল লক্ষ্য থাকতে হবে আপনার ফলোয়ার বা অডিয়েন্সের কাছে ভ্যালু এড করার দিকে। অর্থাৎ আপনার কাজ, লেখা বা সার্ভিস মানুষের কাজে আসে, তাদের প্রবলেম সলভ হয়।

খেশ শাড়ির পরিচিতির ক্ষেত্রে সবার আগে আমার মাথায় চলে আসে নিগার আপুর কথা। কারণ নিগার আপু তার পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে খেশ শাড়ি কে একটা ব্যান্ড এ গিয়ে দাঁড় করিয়েছেন।
আমরা যখন কোন চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাই তখন প্রথম কোশ্চেনটা কি করে ? প্রথম কিন্তু জানতে চায় নিজের সম্পর্কে ।আমি যদি আমার নিজের সম্পর্কে খুব ভালো বর্ণনা দিতে পারি এবং নিজের গুরুত্ব তুলে ধরতে পারি। তাহলে কিন্তু আমার সামনের দিকটা খুব সহজ হয়ে যায়।
চাকরিদাতা সেই পাঁচ মিনিট কথা বলেই বুঝতে পারে যে আমি তার প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য কিনা।সুতরাং প্রথমে নিজেকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে এবং পার্সোনাল ব্লেন্ডিং করার জন্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
আমার কাছে পার্সোনাল ব্রান্ডিং বলতে বুঝায় খাস বাংলায় নিজের ঢোল নিজে পিটানো। এই কথাটা আমরা একটু আর চোখেই বলে থাকি। কিন্তু আসলে কিন্তু তা না। যেমন ধরুন আমরা লাক্স সাবান প্রায় বেশির ভাগ মানুষ ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি কারন লাক্স এই ব্র্যান্ডটি আমাদের মধ্যে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পেরেছে। আর তা নিশ্চয়ই এক দিনে হয় নি। নিজেদের পন্য নিয়ে অনেক বিজ্ঞাপন করেছে। এমনকি অভিনয় জগতের শিল্পীদের নিজেদের ব্র্যান্ড এ্যমব্যেসেডর করেছে কারণ সেই সব শিল্পীদের আমরা খুব পচ্ছন্দ করি এবং তাদের কথা খুব সহজে বিশ্বাস করি। তাই নিজের পরিচিতি বাড়াতে,  নিজেকে বিশ্বস্ত হিসেবে অন্যের কাছে তুলে ধরতে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর কোন বিকল্প নেই।
পার্সোনাল ব্যান্ডিং তৈরির আরেক টা উপায় হলো আপনি যে পন্য নিয়ে কাজ করছেন সেটা সম্পুর্ন বিশ্লেষণ করা, যেন আপনার অডিয়েন্স আপ্নার লেখার অপেক্ষায় থাকে নতুন তথ্য জানার জন্য।
পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর জন্য যে সব থেকে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
👉 নিজের আসল নাম ব্যবহার করতে হবে
👉 নিজের সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়া যাবে না
👉 বিভ্রান্তিকর উস্কানিমূলক মিথ্যা ও অশ্লীল পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
👉 সারাদিন অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অাজেবাজে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
👉 ব্যক্তিগত কথোপকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
নেটওয়ার্ক তৈরি মাধ্যমে  পার্সোনাল বান্ডিং :
পারস্পারিক যোগাযোগ ব্র্যান্ডিংয়ে খুব দরকার। ক্রেতা বিক্রেতা, শুভাকাঙ্ক্ষী, প্রতিবেশী, বন্ধু, আত্মীয় সবার সাথে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করা। অনেকে আছেন যারা ব্যবসা শুরু করার পর বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন ওপ্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেন। এটা এক ধরণের বোকামি। এই পারস্পরিক সম্পর্কগুলো খুব সহজেই আপনার প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের ব্রান্ডিংয়ে কাজে লাগতে পারে।

পেশা হিসেবে ব্লগিং ও কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

Partho Pratim Mazumder
বিষয়ঃ পেশা হিসেবে ব্লগিং ও কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা -  

ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করার জন্য সবাই অস্থির কিন্তু ব্লগিং নিয়ে আয় করতে হলে একদিকে দক্ষ লেখক হতে হয়, কিছু নিয়মিত পাঠক লাগে এবং ইন্টারনেটে আপনার লেখার মার্কেটিং এর স্কিল থাকতে হয়। এগুলো হতে অনেক সময় লাগে। 
আর দরকার পড়ার অভ্যাস। গ্রুপে বাংলা ভাষায় মাত্র ১০০ পোস্ট পড়তে তেমন কেউ আগ্রহী না কিন্তু তারা ডলারের জন্য অস্থির। 
ব্লগিংকে টাকার জন্য না নিয়ে নিজেকে এক্সপার্ট করার জন্য নিলে ভাল হবে। 
ব্লগ শব্দটির তাত্তিক অর্থ অনলাইন ব্যক্তিগত ডায়েরি বা ব্যক্তিগত সামাজিক ওয়েবসাইট। ইংরেজি শব্দ Weblog হচ্ছে Blog এর পূর্ণরূপ। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলার হয়। ব্লগাররা তাদের ওয়েবপেজে নিত্যনতুন কনটেন্ট পোস্ট করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখান থেকে পড়াশোনা করেন, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন ত এবং সেখানে তাদের মন্তব্য বা অভিবাক্তি প্রকাশ করতে পারেন।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগ হতে পারে। যেমনঃ
১. ফ্যাশন ব্লগ
২. ফুড ব্লগ
৩. ট্রাভেল ব্লগ 
৪. মিউজিক ব্লগ
৫. লাইফস্টাইল ব্লগ
৬. ফিটনেস ব্লগ 
৭. DIY ব্লগ
৮. স্পোর্টস ব্লগ
৯. ফাইন্যান্স ব্লগ
১০. পলিটিক্যাল ব্লগ 
১১. প্যারেন্টিং ব্লগ 
১২. বিজনেস ব্লগ
১৩. পারসোনাল ব্লগ
১৪. নিউজ ব্লগ
১৫. কার ব্লগ
১৬. মুভি ব্লগ 
১৭. গেমিং ব্লগ 
১৮. পোষাপ্রাণীর ব্লগ
৫০০ থেকে ১০০০ শব্দ এজন্য লিখতে হয়, দুই লাইন লিখে কিন্তু একটা কন্টেন্ট কে কখনো ক্লিয়ার করা যায় না।তবে লেখাটাকে অতিরিক্ত বড় ও করা যাবে না রিচার্স করে যা পাওয়া যাবে তাকে পরিপূর্ণ ভাবে সাজিয়ে ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের মধ্যে শেষ করতে হবে।
ভালো ব্লগ তৈরি করতে গেলে আপনার কনটেন্ট মেকিং এর ওপর যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা থাকতে হবে।  কনটেন্ট মেকিং এর জন্য প্রচুর পরিমাণে একদিকে যেমন পড়াশোনা করা দরকার তেমনি ভাবে বেসিক কিছু টেকনিক্যাল স্কিল ও জানা দরকার।
অনেকেই আছেন যারা বাইরে গিয়ে কাজ করতে চান না
বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেকের ফ্যামিলি রেস্ট্রিকশন বা ঘরে কাজের চাপ থাকায় আলাদাভাবে বাইরে গিয়ে কাজ করার সময় বা সুযোগ হয়ে ওঠে না তাদের জন্য ব্লগিং এবং কন্টেন্ট রাইটিং অনেক ভাল একটি পেশা
কন্টেন্ট রাইটার মূলত কি করবে??? 
-- কন্টেন্ট রাইটার এর মূল কাজই হলো লেখালেখি। লেখা নিজের মতো করে। অবশ্যই তথ্যবহুল লেখা হবে। তবে সেটা সম্পূর্ণ নিজস্ব ধরণে। অর্থাৎ একজন ভালো রাইটারের পরিচয় বা স্বকীয়তা হলো তার নিজস্ব লেখার প্যাটার্ন।
ফুল টাইম ছাড়াও ব্লগিং করা যায়।  ধরেন আপনি ১২ ঘন্টা চাকরি করেন। তাহলে প্রতিদিন আপনি ৩০ মিনিট লিখেও ভাল কিছু করতে পারবেন যদি ৬ থেকে ১ বছর টানা লিখে যেতে পারেন।
জাস্টিন  হলকে ইতিহাসের  সবচেয়ে  পুরান ব্লগার বলা যায়
আরেক ধরনের ব্লক হচ্ছে সহযোগী ব্লগ বা গ্রুপ ব্লগ, মাইক্রোব্লগিং,  কর্পোরেট বা সংগঠনির ব্লগ ,  একত্রিত ব্লগ,
একজন কনটেন্ট রাইটার যেসকল দক্ষতা বা জ্ঞান থাকতে হয়-
1.বাংলায় যদি লিখে থাকে তাহলে বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণ এর উপরে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে
2.যদি ইংরেজিতে কনটেন্ট রাইটিং দেখতে চায় তাহলে ইংরেজি ভাষা ও ব্যাকরণ এর উপরে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে
3.যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে লিখতে চায় তাহলে অবশ্যই সে বিষয়ে গবেষণা করতে হবে এবং পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে
4. যে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার দক্ষতা থাকতে হবে
টপিক টা খুব ভালো লাগলো।  
চাকরির ভীষণ অপ্রুলতা আমাদের দেশে। কিন্তু কর্মসংস্থান সত্যি বলতে নিজে নিজে সৃষ্টি করা যায় এখন। তার মধ্যে কন্টেন্ট রাইটিং, ব্লগিং অন্যতম মাধ্যম। এডসেন্স একাউন্ট খুলে গুগল থেকে সহজেই আয় করা যায়।  সেক্ষেত্রে ইউটিউব ও হতে পারে অন্যতম মাধ্যম। তবে হ্যা, অবশ্যই লেগে থাকতে হবে। লেগে থাকা ছাড়া কোনো কাজ সম্ভব না। ইউটিউব এ ক্লাস টেন পড়া একটা ছেলেকে দেখলাম, টেকনোলজি রিলেটেড ভিডিও বানিয়ে অলরেডি সে লাখপতি, হয়তো বা কোটিপতি ও হবে ভবিষ্যতে।  যদি লেগে থাকতে পারে। ভালোই জনপ্রিয় সে। সবচেয়ে বড় কথা কন্টেন্ট গুলো ভালো হয় যার কারনে সবাই দেখে এবং উপকৃত হয়! আর কাজের প্রতি প্যাশন আছে বলেই পারছে। একটা কাজের প্রতি প্যাশন এবং ডেডিকেশন এর সম্মিলন থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব। 
১৯৯৮ সালে ব্রুস আবেলসন ওপেন ডায়রি নামান, এতে করে হাজারো অনলাইন দিনপত্রী জন্ম নেয়। ওপেন ডায়রির আবিষ্কার হচ্ছে পাঠক মন্তব্য, এটাই ছিলো প্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে পাঠকেরা অন্য লেখকের ব্লগ অন্তর্ভুক্তিতে মন্তব্য করতে পারতেন।

অনলাইনে কাজ করার জন্য কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যেমন ওয়ার্ডপ্রেস সাইট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এস ই ও নিউ ভালো ধারণা থাকতে হবে তাহলেই নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যাবে

লোকাল রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে সেগুলো নিয়ে রিভিউ হতে পারে ফুড ব্লগ। কাস্টমার টার্গেট করে ফুড বিজনেসম্যানরাও ব্লগ তৈরি করেন। এটাও আমরা যারা ব্লগ লেখালেখি করি তাদের জন্য আকর্ষণীয় একটি মার্কেট হতে পারে।
 wordpress.org ব্লগিং এর কাজ শুরু করা যায়।
বাংলাদেশে অনেকগুলো ফ্রি ব্লগিং সাইট রয়েছে যেখানে তে একাউন্ট তৈরির মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করা যায়।
২০০৫ সালের প্রথম মাস থেকে শুরু হয় বাংলা ব্লগিং এর ইতিহাস। বাংলা ভাষার প্রথম ব্লগ সামহোয়্যার ইন ব্লগ।
কন্টেন্ট লিখতে গেলে খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই সেই লেখা যেন ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের ব্যবহার করে করা যায়।আমরা যখন কোন পণ্য সম্পর্কে রিচার্স করতে যায় যদি সে রিসার্সের হুবহু লেখা হয় তাহলে কিন্তু লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে। এমনকি ১০--২০ হাজার সংখ্যা ও হতে পারে কিন্তু এত বড় না করে নির্দিষ্ট কথাটা ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের মধ্যে শেষ করতে পারাটাই কিন্তু কনটেন্ট এর সার্থকতা।
আরিয়ানা হাফিংটন এর সাকসেসফুল একটি ব্লগ হলো হাফিংটন পোস্ট। এই ব্লগ টি 1 বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছে। তাদের আয়ের এর মূল উৎস ছিল বিজ্ঞাপন।
হাফিংটন পোস্ট-এর ব্লগিং এর মূল বিষয় ছিল পলিটিক্স এবং লাইফস্টাইল।
2005 সালে হাফিংটন পোস্ট ব্লগটি শুরু হয় আরিয়ানা হাফিংটন এর হাত ধরে।

ব্লগে নাম-ঠিকানা নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু করতে হবে ব্লগ শুরু করার আগে ডোমেইন নাম নির্বাচন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আকৃষ্ট করার জন্য ওয়েবসাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম আপনার নাম হবে আপনার ওয়েবসাইটের ইউ আর এল এর ওয়েবসাইট নির্বাচন করতে হবে যাতে সহজেই আমরা মনে রাখতে পারি।
মাইক্রোব্লগিং-ও আরেক ধরনের ব্লগিং, যেখানে পোস্টের আকার তূলনামূলক ছোট থাকে। জুন, ২০১৭-এর হিসেবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন টেকনোরাট্টি প্রায় বাইশ মিলিওনেরও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে।

তথ্যবহুল ব্লগপোস্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। আর এজন্য অনলাইন বা অফলাইনে গবেষণা চালিয়ে আপনাকে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক বই এবং মানসম্পন্ন ব্লগপোস্টগুলো পড়তে হবে।
আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ব্লগিং সেকশন দিয়ে ভাল ফল আনতে পারবেন।
 দুনিয়ার বড় বড় কোম্পানি রা ব্লগার নিয়োগ দেয় তাদের ব্লগে প্রতিদিন কন্টেন্ট পাব্লিশ করার জন্য। 
ডোমেইন,হোস্টিং, কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম,গিগল এডসেন্স,স্পন্সর কি ভাবে কাজ করে এসব সম্পর্কে জানতে হবে

বিজনেসে মেধা, অর্থ ও পরিশ্রম নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা


Razib Ahmed

আড্ডা পোস্ট ৫ নভেম্বর ২০২০। 

বিষয়ঃ বিজনেসে মেধা, অর্থ ও পরিশ্রম এই তিনটার মধ্যে কোনটা বেশি জরুরি তা নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেন।। 


ডিএসবির আজকের আড্ডায় সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম।  


Razib Ahmed S M Mehdi Hassan Biplob Kishore Deb


Arif

জিম প্যাটিনসন গ্রুপের চেয়ারম্যান জিম এ প্রসঙ্গে বলেনঃ আমি কাজের ব্যাপারে কোনো আপস করি না। সিবীচে আনন্দ বিলাসিতস্র চেয়ে ফ্যাক্টরির কাজ আর মানুষেরাই আমাকে বেশি আনন্দ দেয়।

Nomar

দেশের শীর্ষ স্থানীয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নোমার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম,যিনি উদ্যোগ শুরু করেছিলেন মাত্র ৬৭টাকা পকেটে নিয়ে এখন তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ।


উনি এখন বৃদ্ধ তাও উনি বলেন দিনে ১৬থেকে ১৮ঘন্টা সময় দেন তার ব্যবসার পেছনে।


পরিশ্রম ছাড়া বিজনেসে আগানো সম্ভব নয় এতেই প্রমান হয়।

Shimu

একজন সফলব্যবসায়ী হতে প্রথমে ইচ্ছে শক্তির প্রয়োজন।কারন ইচ্ছা মানুষকে সফল ব্যবসায়ী হতে সাহায্য করে।ইচ্ছা না থাকলে উপায় কখনো বের হয় না।দ্বিতীয় হচ্ছে মেধা যা ব্যবসায়ী কাজে লাগালে ব্যবসায় সফল হওয়া যায়।নতুত নতুন আইডিয়া বের করা।তৃতীয় পরিশ্রম।আমরা সবাই জানি পরিশ্রম সৌভাগ্যর প্রসূতি।

Prea

আমি খুব অল্প দিনে আমার বুটিকস টা জনপ্রিয় করে গড়ে তুলতে সক্ষম হই। আমি যে কাজ টি করেছি, প্রচুর পরিশ্রম করেছি আর আমার বুটিকসের এমন সব কালেকশন রেখেছি যা আমার আশেপাশের মার্কেট বা বুটিকসের কালেকশন এর চেয়ে আলাদা ছিলো।

Arif

আসসালামু আলাইকুম, একজন ব্যাবসায়ীর  শুরুটা টাকা খুব বেশি না হলেও চলবে ,তবে শ্রম আর মেধা টা লাগবেই। আর সব রকম পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সাহসিকতার সাথে মোকাবিলা করতে জানতে হবে। আমি বলবো যেটাই শুরু করবো হুট করে করতে হবে ,অনেক চিন্তা করে আয়োজন করে করবার চিন্তা করলে দেখা যাবে আর শুরুই করতে পারলাম না। ধন্যবাদ।

Sathi

আপনি চাইলেই অন্যের থেকে অর্থের যোগান পাবেন, ব্যাংক ঋণ পাবেন। কিন্তু অন্যের থেকে মেধা বা পরিশ্রম ঋণ নিতে পারবেন ন

Shomrita

সামর্থ্যের বাইরে স্বপ্ন দেখাটা আমার চোখে একপ্রকার অপরাধই। যার শাস্তিস্বরূপ আসে হতাশা। প্রতিদান দিতে হয় নিজেকে, পরিবারকে। অথচ যে সমাজ আমাদের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নটা দেখিয়েছিল তারা এখন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

Sathi

একজন উদ্যোক্তা যে পরিকল্পনা করে মাঠে নেমেছে, তার চাহিদা হয়তো  কিছুদিন পর নাও থাকতে পারে। তাহলে সে কি লস গুণবে? হ্যাঁ সে লস ই গুণবে।  কেননা তার মেধা খাটিয়ে অন্য ব্যবসায় যাওয়া সম্ভব নয়। 


তাই

লস না গুনতে হলে উদ্যোক্তা কে বিনিয়োগের পাশাপাশি বুভিন্ন রকম মেধ খাটানোর শক্তি থাকতে হবে

ব্যবসা স্বল্পমেয়াদী কিছু নয় যে বিনিয়োগ করলাম কাজটা শেষ করলাম মুনাফা করলাম শেষ।

Jasmin

ব্যবসা হল একটি দীর্ঘমেয়াদি কাজ যার কোন শেষ নাই এটা চলতেই থাকবে যেখানে মেধা ও অর্থ  কে দক্ষতার সাথে কাজে লাগিয়ে সাফল্য অর্জন করতে হবে এবং তা ধরে রাখতে হবে। আর এ সবকিছু সম্ভব হবে কঠোর পরিশ্রম দিয়ে ব্যবসার সাথে লেগে থাকলে।

Irin

বন্দুক কিনার আগে কি গুলি কিনবেন নাকি বন্দুক কিনে গুলি কিনবেন।ঠিক তেমনি বিজনেস করার আগে আপনাকে জানতে হবে আমি কি নিয়ে কাজ করবো এবং কিভাবে কাজ করবো।

Arif

আমার স্টান্ড আপ কমেডিয়ান কেভিন হার্টের একটি কথা খুব ভালো লেগেছে।- আমরা সবাই বিখ্যাত হতে চাই, কেউ সহজে পরিশ্রম করতে চাই না। বাস্তবতা হচ্ছে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে, ভালো ফল একসময় পেয়ে যাবেন। রেজাল্ট পেতে আপনার ১ বছর লাগতে পারে আবার ৩০ বছরও লাগতে পারে৷ কিন্তু প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করলে আপনি অবশ্যই ফলাফল ভালো পাবেন।

Lyla

হাসবেন্ড প্রাইভেট ব্যাংকের SEO কিন্তু আমি লোন নেওয়ার কথা চিন্তাই করি না, কারন আমি কিছুই জানি না ব্যবসা সম্পর্কে কিভাবে ইনভেস্ট করবো আমার ঝুকি ১০০%.লোনের সুবিধা নিতে আমার হাত কাঁপে তার মানে আমি বুঝি এক বছর দেখি না নিজের সামান্য অর্থ দিয়ে চালানো উদ্যোগ আমি কতটুকু এগিয়ে নিতে পারি।তারমানে আবার আগে চলে এলো মেধা ও শ্রমের গুরুত্ব।

Kanika

কেউ ব্লক বাটিকের কাজ জানেন।আসলে যে যেটিতে দক্ষ সেটি কে কেন্দ্র করে এখন ছোট বড় বিজনেস গড়ে উঠছে ।

Arif

সফল বিজনেস ম্যাগনেট মার্থা স্টুয়ার্ট এ প্রসংগে বলেনঃ "আসলে বিজনেসের পুরো ব্যাপারটার মধ্যে পরিশ্রমই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবসময় কাজ আর কাজ আর কাজ করে যাই। আমি নিজেকে ব্যবসায়ীর চেয়েও বেশি একজন পরিশ্রমী মানুষ বলে পরিচয় দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি

Bipasa

যে কোন ব্যবসায় কি কাজ,কখন, কিভাবে, কার দ্বারা, কত সময়ে, কোন কাজ, কিভাবে করবে, এসব বিষয়ে পরিকল্পনা করে রাখতে হবে।

Keya

স্যার বলেছিলেন ৩মাসের ব্র্যান্ডিং এ ছাই বিক্রি করলে তাও বিক্রি হবে।


এই ব্র্যান্ডিং কি টাকা দিয়ে করা যাবে। আপনাকে কঠোর পরিশ্রম আর মেধার জোরে এমন শক্তিশালী ব্র্যান্ডিং করতে হবে যেন মানুষ আপনার ছাইটাও কিনতে আগ্রহী হয়

Nipa

অনলাইন  অফলাইন যেখানেই বিজনেস করতে হয় তাকে অবশ্যই তার পণ্য সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা চাই। যে বিজনেস করবে তিনি যদি তার পণ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না রাখতে পারেন তাহলে ক্রেতারা তার পণ্য কিনবে কেন? তাই পণ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা চাই