ব্লগিংয়ের মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

  ব্লগিংয়ের মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন

ভিডিও ব্লগিং অনেক বেশি অার্কষনীয় হয়।

সহজ উদাহরণ যদি দেখি রান্না সবাই করুক বা না করুক রান্নার প্রায় সকল ব্লগিং সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে দেখে।

আমাদের দেশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা লেখা পড়তে পছন্দ করে কম কিংবা ব্যস্ত থাকার জন্য ,লেখা? পড়ার সময় পাই না , ঐ সকল মানুষ গুলো ভিডিও দেখতেই খুব বেশি পছন্দ করে ।তাদের জন্য ভিডিও কন্টেন্ট অনেক বেশি সহায়ক হয়,,,,,তাই ভিডাও কন্টেন্ট এর জন্য ও একজন উদ্যোক্তা নিজের ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে পারে ।

একটা পন্য কিভাবে যত্ন করতে হয় এই সকল বিষয় নিয়ে লিখতে পারে, তেমন হলো জামদানী শাড়ির যত্ন এক রকম তো খেজ শাড়ির অন্য রকম আবার বাটিক শাড়ির অন্যরকম । এই বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের বিভিন্ন ধরনের যত্ন নিয়ে একজন উদ্যোক্তা নিয়মিত লেখার মাধ্যমে তার ব্যব্যসাকে ছড়িয়ে দিতে পারে ।

বর্তমানে ব্লগিং অনেক বেশি জনপ্রিয় মাধ্যম ব্যবসার প্রচারে,,যে কোন পেশার লোকের জন্য নিজের পাবলিসিটির গ্রেট মাধ্যম।

বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়ে যারা কাজ করে ,,, বিশেষ করে হোম মেইড খাবার তেই গুলো তরকারি হয় বিভিন্ন ধরনের । তাদের খাবার এর রান্নার ধরন হয় এক রকম,,,,এক এক জন মানুষ এক এক ভাবে রান্না করে । তারা নিজেদের করা এই সকল রান্নার গল্প ,বা রান্নাতে কোন মশলার উপকারী বা ক্ষতি কর দিক কেমন তা নিয়েও লিখতে পারে নিয়মিত এইভাবে একজন উদ্যোক্তা তার ব্যবসা কে ছড়িয়ে দিতে পারে।

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে পন্য নিয়ে ছোট ছোট ভিডিও করে উপস্থাপন করতে পারি। কারণ কনটেন্ট পড়ার থেকে ক্রেতাদের মনে স্মৃতি বেশি গেঁথে যায়। আর বিজনেসের পণ্য প্রসারে ভিডিও ব্লগিং অনেক এগিয়ে নিয়ে যায়।

ব্লগিং করার জন্য বাংলা ভাষায় নিজের মত করে লিখার এবং গুছিয়ে উপস্থাপন করার মত দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কারণ যদি দক্ষতা অনেক বড় জিনিস এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সৃজনশীল কিছু নিয়ে লেখালেখি করা,,,, সৃজনশীল সব কিছু মানুষের খুব পছন্দের,,, একজন উদ্যোক্তা যদি নিয়মিত নিজের উদ্যোগে এর সৃষ্টিশীল পন্য গুলো নিয়ে লেখালেখি করে ,,,,তাইলে একজন ভিউয়ার তার প্রতি সহজেই মুগ্ধ হয়ে পড়ে । কারণ সৃজনশীল কোন কিছুর গল্পটাও হয় খুব মনোমুগ্ধকর।

ব্লগিং করার মাধ্যমে যে কেউ নিজের পছন্দের বিষয় নিয়েচর্চা করতে পারে

এতে করে নির্দিষ্ট কাজের এড়িয়া সম্পর্কে ব্যাক্তি দক্ষ হয়,এবং পরিচিতি মহলও তৈরী করতে পারে যা তার ক্যারিয়ারে বিশেষ সাহায্য করে।

বর্তমান ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে কম্পিটেশনে টিকে থাকার জন্য ব্লগিং সহায়ক।

নিজের পন্যের উপকারীতা নিয়ে নিয়মিত লিখা,,,তেমন একজন উদ্যোক্তা সরিষার তেল , ঘি বা মধু নিয়ে কাজ করে । এই প্রতিটি পন্যের ই নিজস্ব কিছু গুণাগুণ আছে যার কারণে বেশিরভাগ ক্রেতা এই পন্য গুলো এখন বেশি চাই । একজন উদ্যোক্তা নিয়মিত তার পন্যের উপকারী তা নিয়ে লিখেও তার ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে পারে । কারণ উপকারী দিক জেনেই একজন ক্রেতা একটি ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হয়।

ফিউশন আনা নিয়ে লেখালেখি করা,,,,, অনেক ধরনের পন্য আছে যেই গুলোতে ফিউশন আনা জরুরি বা ফিউশন আনলে এর সৌন্দর্য অথবা সহজলভ্যতা বেড়ে যাবে । কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারে না কিভাবে এবং কখন কিভাবে একজন উদ্যোক্তা নিজের পন্যে ফিউশন আনবে,,,, একজন উদ্যোক্তা যদি নিয়মিত কোন একটি পন্যের এবং এক এক জন এক একটি পন্যের ফিউশন আনা নিয়ে লিখে ,তাইলে অনেক গুলো নতুন আইডিয়া তৈরি হবে, এবং অনেকেই এই গুলো নিয়ে জানতে পারবে ।

ব্যবসাতে চলার পথে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা ,,,,একটি ব্যবসাতে চলার পথে একজন মানুষ কে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। কখনো তার অভিজ্ঞতা গুলো হয় ভালো কোনটা হয় কষ্টের । কিন্তু সব অভিজ্ঞতা ই একজন উদ্যোক্তার জন্য কাজে লাগে,,, তাই একজন উদ্যোক্তা নিয়মিত নিজের অভিজ্ঞতা ও নিজের চিন্তা নিয়ে লিখতে পারে । বিভিন্ন ধরনের ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেও একজন উদ্যোক্তা নিজের ব্যবসাকে ছড়িয়ে দিতে পারে । কারণ এই অভিজ্ঞতা গুলো অন্য কারো জন্য অনুপ্রেরণা হয়।

একজন ব্লগার এর কন্টেন্ট যদগ সুন্দর হয় , ভিডিও কোয়ালিটি ,লেখার কোয়ালিটি যদি ভালো হয় । তার প্রেজেন্টেশন যদি সহজ, সাবলীল , ও প্রাণবন্ত হয় তাইলে সহজেই তার ব্লগে মানুষ আকৃষ্ট হয়। তখন সে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সে মানুষ কে জানাতে পারে।

বর্তমান সময়ে ব্লগিং খুব জনপ্রিয় একটি সাইট,,এই সাইটে ব্লগার এবং পাঠক এর কোন অভাব নেই । অনেক অনেক ব্লগার যেমন তৈরি হয়েছে তেমনি অনেক অনেক পাঠক ও রয়েছে । কিন্তু একজন পাঠক তখনি একজন লেখক এর পোস্ট পড়বে যখন তার লেখার মান ভালো হবে আর লেখার মান হলে একজন পাঠক তার কাস্টমার হতেও বেশি সময় লাগে না । তাই একজন উদ্যোক্তা নিয়মিত সুন্দর সুন্দর লেখার দ্বারা তার পাঠকদের ই তার কাস্টমার বানাতে পারে, এবং এইভাবে নিজের ব্যবসা ও ছড়িয়ে পরবে ।

এমন অনেকে উদ্যোক্তা আছে যারা বিভিন্ন ধরনের শুকনো জিনিস নিয়ে কাজ করে ,,,এর মধ্যে প্রধান হলো মশলা এক একটা মশলার উপকারী দিক এক এক রকম এবং শরীরের জন্য এক একভাবে কাজ করে । ঐ উদ্যোক্তারা নিজের তৈরি এই সকল মশলা নিয়ে লিখতে পারে নিয়মিত এবং এই সকল মশলা কোনটা কতটা উপকার করে, কিভাবে ব্যবহার করলে এর আসল বেনিফিট পাওয়া যাবে সেই সকল বিষয় নিয়ে লিখতে পারে ব্লগের মাধ্যমে এইভাবে ও একজন উদ্যোক্তা নিজের উদ্যোগে বা ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে পারে।

ব্লগিং উদ্যোক্তা নিজের মত করে পণ্য নিয়ে গল্প করতে পারে,ভিডিও কন্টেন্ট করতে পারে। এতে করে পণ্যের পরিচিতি তুলে ধরা সহজ হয়।

আবার যারা ক্রেতা নান তারাও আগ্রহ নিয়ে দেখে।

ব্লগিং এ টু দ্যি পয়েন্ট কন্টেন্ট হতে হবে,,ভিডিও কন্টেন্ট খুব লম্বা হলে দর্শক আগ্রহ হারাবে,,

পণ্যের কন্টেন্ট এ যত্নশীল হতে হবে। পণ্য নিয়ে ভিডিও করলে ক্রেতা আহ্রহী হবে।

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতারা পণ্যে কিভাবে ব্যবহার করবে বা যত্ন করবে তা লেখালেখির মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারি।কারণ পন্যের সম্পর্কে লেখা লেখির পাশাপাশি পন্যের ব্যবহার বিধি নিয়ে লিখলে নিজের বিজনেসকে সাফল্য সুনিশ্চিত করা যায়।

প্রতিটা জেলার মধ্যেই কিছু ঐতিহ্য বাহী খাবার আছে, পোশাক আছে, দর্শনীয় স্থান আছে । কিছু সম্ভবনা আছে । একজন উদ্যোক্তা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে লিখতে পারে , সে যেই পন্যের ই উদ্যোক্তা ই হোক না কেনো সে দেশের সব জেলার ঐতিহ্য নিয়ে লিখতে পারে । এইভাবে ও একজন উদ্যোক্তা নিজের পন্য ছড়িয়ে দিতে পারে ।

একজন উদ্যোক্তা যদি নিয়মিত দেশের সব জেলার দর্শনীয় স্থান গুলো নিয়ে‌ লিখে তাইলে একজন যারা ভ্রমণ পিপাসু আছে তারাই সবাই তার লেখার ভক্ত হয়ে যাবে, কারণ তারা দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরতে পছন্দ করে । এইভাবেই মানুষের কাজে একজন উদ্যোক্তা নিজেদের ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে পারে ।

ভিডিও কন্টেন্ট দিয়ে,,,,,,একটি পন্যের লেখা পড়ে মানুষ যতটা বুঝতে পারে এর চাইতে বেশি আরো বুঝতে পারে ও আগ্রহী হয় যখন মানুষ এর ভিডিও দেখে । একজন উদ্যোক্তা নিয়মিত ভিডিও ব্লগের মাধ্যমে ও তার ব্যবসাকে নিয়মিত ছড়িয়ে দিতে পারে ।

ব্লগিং এক কথায় ফ্রি বিজ্ঞাপন প্রচার করার সুযোগ দিচ্ছে।

টিভি,রেডিওতে অর্থের বিনিয়মে পণ্যের প্রচার করতে হত, কিন্তু এখন উদ্যোক্তা নিজেই ইউটিউব চ্যানেল,বিজনেস পেইজ থেকে পণ্যের ভিডিও কন্টেন্ট করতে পারছে।

ব্লগিং এর মাধ্যমে একজন মানুষ যেমন দেশ বিদেশের বিভিন্ন তথ্য, খাবার, জায়গা এইসব কিছু সম্পর্কে জানাতে পারে । নিজের বিভিন্ন আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পারে । বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, বিজ্ঞান, ব্যবসা এইসব নিয়ে জানাতে পারে । তেমনি পারে নিজের ব্যবসা নিয়েও জানাতে পারে । এতে সে নিজে যেমন অনেক কিছু শিখতে পারে তেমনি অন্যদের ও তার ব্যবসা সম্পর্কে ও অনেক তথ্য জানাতে পারে এতে একজন উদ্যোক্তার ব্যবসার অনেক প্রচার ও ঘটে ।

মোটিভেশনাল লেখা,,,, মানুষের উপকার হয় এমন লেখা গুলো একজন উদ্যোক্তার জন্য অনেক বেশি দরকারি । একজন উদ্যোক্তা যদি নিয়মিত মোটিভেশনলা লেখালিখি করে মানুষের উপকার করে এমন লেখালেখি করে তা‌ইলে সহজেই মানুষ তার লেখার ভক্ত হয়ে যায় । এইভাবে ও একজন উদ্যোক্তা নিজের উদ্যোগ কে ছড়িয়ে দিতে পারে,,

সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করে তার মাধ্যমে ব্লগিং করলে,,, একজন উদ্যোক্তা তার পন্য সরাসরি ভিডিওর মাধ্যমে তার ক্রেতাদের জানাতে পারে তাদের, পন্য সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য কিভাবে যত্ন করবে, কিভাবে সংরক্ষণ করবে বুঝিয়ে বলতে পারে । কোন সমস্যা হলে কিভাবে তা থেকে বের হবে বা সমাধান কিভাবে করবে তাও দেখিয়ে দিতে পারে এতে একজন উদ্যোক্তা তার উদ্যোগ এর মার্কেটিং অনেক সহজেই করতে পারে,,,ভিডিও ব্লগের মাধ্যমে।

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বিজনেস নিয়ে নিজের অভিব্যক্তি ও চিন্তাভাবনা প্রকাশ করা যায় সহজেই। এতে বিজনেসের পণ্য নিয়ে আলাদা চিন্তা করে প্রকাশ করা যায়। আর বিজনেসের পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো যায় ব্লগিংয়ের মাধ্যমে। যা বিজনেসের সাফল্য লাভে সহায়তা করে।