কাস্টমার সাইকোলজি বলতে কি বুঝেন?

 - কাস্টমার সাইকোলজি বলতে কি বুঝেন? কাস্টমার সাইকোলজি বুঝতে পারা উদ্যোক্তাদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?


- কাস্টমার সাইকোলজি বুঝতে গেলে প্রথমে সেই পন্যের মার্কেট বা বাজারকে বুঝতে হবে। আপনার পন্য কেন কিনবে, কারা কিনবে সেটা প্রথমে বুঝতে হবে। কাসট্মারদের রুচি বা বায়িং হ্যাবিট নিয়ে জানতে পারলে আপনি সহজেই  পরিচালনা করতে পারবেন। তারপর পন্যের গুনগত মান বজায় রেখে প্যাকেজিং এর দিকেও খেয়াল রাখতে পারবেন।   ধরেন,গ্রামীনফোন  তারা মার্কেট রিসার্চ করে ২১- ৪১ বছরের লোকদের টার্গেট করেছে। তারপর, তাদের আয়ের সাথে সামাঞ্জ্যস্য রেখে তাদের কল রেইট ধার্য করেছে।   তারা প্রথম যখন বাজারে এসেছে তখন কোন প্রতিযোগিতা ছিল না। তাই তারা ইচ্ছেমতন মুনাফা করে নিয়েছে। পরে যখন একটেল বা সিটিসেল এসেছে তাদের কল রেইট কমালেও এখনো বাজারে ভালোভাবে টিকে আছে। এইখানে, একটা ব্যাপার আছে। গ্রামীনফোনের কিন্তু প্রথমে মার্কেট ছিল না, মার্কেটিং এর জন্য অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। কিন্তু পরে একটেল বা সিটিসেল আসলেও অনেকে গ্রামীণফোন ছেড়ে যায় নি। এখানে বায়িং হ্যাবিট বলে একটা কোথা আছে। অনেকে  অনেকদিন ধরে  গ্রামীনফোন ব্যবহার করায় একে ছেড়ে যায় নি। সেইম জিনিসটা হচ্ছে বিকাশ নগদের ক্ষেত্রে । বিকাশ এর প্রতিযোগী নগদ এর মতন ফিনেশিয়াল সার্ভিস থাকলেও ব্যবহারকারিদের অনেকেই বিকাশ ছেড়ে চলে যায় নি। আস্থা বা বিশ্বাসের মুল্যটা এখানেই। 

ডিজিটাল যুগের আশীর্বাদ প্রযুক্তি এর গুরুত্ব

 - ডিজিটাল যুগের আশীর্বাদ প্রযুক্তি এর গুরুত্ব।

ডিজিটাল এই যুগে মানুষকে কষ্ট করে বাড়তি কাজ করতে হয় না, ঘরে বসেই নিত্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাচ্ছে। মোবাইল বা স্মার্ট মোবাইল প্রযুক্তি দূরকে করেছে কাছের। নিজের ছবি এডিটিং এর জন্য তৃতীয় পক্ষের সহযোগিতার দরকার হয় না। MidJourney বা  Dalle এর মতন  আর্টিফিশায়াল ইন্টেলিজেন্স  প্রযুক্তির সাহয্যে ব্যবহারকারীর কাছে সহজেই প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে নিজের পছন্দমতন ছবি। ChatGpt এর সাহায্যে এক নিমিষেই প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে নিজের পছন্দমতন লেখা বা আর্টিকেল। মানুষ এখন কয়েক ক্লিকেই বানিয়ে ফেলতে পারে ব্লগ সাইট। এখন ছোট খাট ভিডিও এডিটিং এর জন্য আর  Adobe premiere PRo এর দরকার হয় না। আর্টিফিশায়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্যে কয়েক ক্লিকে ছবি এডিট করে ফেলছে। ছবির জন্য আছে Canva PRo। আগে পড়াশুনা স্কুল কেন্দ্রিক হলেও এখন পড়াশুনা ইন্টারনেট ভিত্তিক। বিদ্যার্থিরা সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়াশুনা করতে পারে। পড়াশুনার জন্য  জ্যামে বসে দূর দুরান্তে যেতে হয় না। বাড়তি কোচিং ফি ও এখন দিতে হয় না। Udemy, Coursera থেকে সহজেই  যে কোন ক্যাটাগরির লেসন শিখতে পারে। Search English থেকে নিতে পারে ইংরেজি শিক্ষার হাতে খড়ি। ঘরে বসেই Daraz থেকে  অর্ডার দিলেই ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে পচ্ছন্দের পন্য, কিংবা Food Panda তে অর্ডার দিলেই ডেলিভারি ম্যান দিয়ে যাচ্ছে পছন্দ সব খাবার। Fiver বা  Upwork থেকে ঘরে বসেই টাকা ইঙ্কাম করছে আমার দেশের সোনার ছেলেরা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এখন এমেরিকা সিঙ্গাপুরে থাকা  ডক্টরদের এর সাজেশন মিলে যাচ্ছে। ফেইসবুক, ম্যাসেঞ্জারের সাহায্যে দুরের কারোর সাথে সহজেই কানেক্ট করা যাচ্ছে। এচ্ছাড়া ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে সহজেই নিজদের পন্য পরিবেশন করা যাচ্ছে। স্বাবলম্বী হচ্ছে দেশের ছেলে মেয়েরা। এতে কর্মসংস্থান হচ্ছে বেকার মানুষদের। এখন  প্রযুক্তির কল্যাণে সহজেই পার্সোনাল ব্রান্ডিং এর সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ই-বুক প্রযুক্তির কারনে এখন মোটা মোটা বই কিনতে হয় না। ইবুক সাশ্রয়ী হওয়ায় এর  জনপ্রিয়তা বেড়ে যাচ্ছে। এই ডিজিটাল যুগে কাগজের নোট পকেটে নিয়ে ঘুরতে হয় না। বিকাশ, নগদের মাধ্যমে সহজেই লেনদেন করতে হয়। ট্রেনের বাসের টিকিট এখন অনলাইনে পাওয়া যায়, এর ফলে টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে  দাড়িয়ে থাকতে হয় না । গুগলের মাধ্যমে যে কোন তথ্য আমারা সহজেই পেয়ে যেতে পারি। 

আর এভাবেই আমাদের ব্যস্ত জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে,  আশীর্বাদ হয়ে আমাদের জীবনে ওতপ্রোত ভাবে মিশে যাচ্ছে। 

অনলাইন বিজনেসে কি কি ধরনের ঝুঁকি বা রিস্ক থাকতে পারে?

 - যে কোন অনলাইন বিজনেসে কি কি ধরনের ঝুঁকি বা রিস্ক থাকতে পারে? কিভাবে এসব ঝুঁকি এড়ানো যায় বা প্রতিরোধের উপায় কি?

অনলাইন বিজনেস এ অনেক বড় একটা রিস্ক হলো এক সঙ্গে বেশী পন্য স্টক করে রাখা। আমাদের কে অবশ্যই পন্য স্টকিং এ সাবধান থাকতে হবে। প্রয়োজনে অল্প পরিমান পন্য এনে সেল করে আবার পন্য স্টক করতে হবে কিন্তু কোন ভাবেই এক সঙ্গে বেশী পন্য স্টক করা যাবেনা। তাতে লস এ পরতে হবে। কারন সব পন্য সেল না হলে সেটা আমাদের বিজনেস এ ঝুঁকির মধ্যে পরে যাবে.

আমাদের মাঝে অনেকেই টাকা এডভান্স না নিয়ে বা ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পন্য না পাঠিয়ে সরাসরি পন্য পাঠিয়ে দেন। যেটা কোন ভাবেই করা যাবেনা। এতে সেলার হিসেবে আমরা অনেক বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেলি।কারন আমরা হয়তো অজানা কাউ কে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পাঠাতে পারি সেটা আমাদের জন্য নিরাপদ কিন্তু কোনরকম টাকা না নিয়ে বা ক্যাশ অন ডেলিভারিতে না দিয়ে এমনি এমনি পন্য পাঠানো যাবেনা। তাতে অনেকের টাকা লস হয়ে গিয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনা যেন আর নয় হয় সেই জন্য আমাদের কে সচেতন থাকতে হবে.

আমাদের কে অবশ্যই আমাদের পন্যের প্যাকেজিং এ গুরুত্ব দিতে হবে। পন্য যতই ভালো হোক না কেনো পন্যের প্যাকেজিং যদি ভালো না হয় তাহলে ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে পন্যের ক্ষতি হতে পারে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে এই ক্ষতির কোন রকম দায় ভার নিয়ে থাকেনা। ফলে আমাদের সেলারদের কে অবশ্যই আমাদের পন্যের প্যাকেজিং এ গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে আমাদের কে অন্য সকল ধরনের প্যাকেজিং উপাদান রাখার পাশাপাশি বাবল র ্যাপ ইউজ করতে হবে। এতে করে পন্যের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কম থাকবে।

একজন উদ্যোক্তা যখন ব্যবসার জ্ঞানার্জন না করে উদ্যোগ শুরু করে তখন সমস্যা হয়ে থাকে বিজনেস শুরু করার প্রাথমিক ধাপে, সঠিকভাবে পণ্যের উপস্থাপনায় ভুল, কাস্টমার কেয়ারিংয়ে ভুল, সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে না পারা, পণ্য ডেলিভারিতে সমস্যা তৈরি করা, সার্ভিস পরবর্তীতে কেয়ারিংয়ে গ্যাপ, ক্রেতাকে সঠিক সময়ে রেসপন্স করতে না পারা।

যেকোনো অনলাইন বিজনেসে পন্যের কোয়ালিটি শতভাগ খাঁটি নিশ্চিত করতে হবে।

এতে ঝুঁকি এড়ানো যায়। ক্রেতারা পন্যের কোয়ালিটিকে সবার আগে গুরুত্ব দেয় পন্য ক্রয়ের আগে।

পন্যের গুনগত মান শতভাগ খাঁটি নিশ্চিত করতে হয় ক্রেতাদের।

এতে ক্রেতা নিজে থেকে বারবার রিপিট হয়।যা ক্রেতাদের সন্তুষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অনলাইন বিজনেস অনেক প্রতিযোগিতামূলক। এই প্রতিযোগিতামূলক অনলাইন বিজনেসের জন্য অন্যতম সেরা ঝুকি৷

এই ঝুকিকে মোকাবেলা করার জন্য উদ্যোক্তাকে অনেক কৌশলী হতে হয় এবং

বাজার যাচাই করে কাজ করতে হয়।

অনলাইন বিজনেসে এক ক্রেতাকে নিয়ে অন্য ক্রেতার কাছে সমালোচনা করা যাবে না।

ক্রেতাদের নিয়ে কোনোরকম সমালোচনা বা ক্রেতা অসন্তোষ হয় এমন আচরণ করা যাবে না।

ক্রেতা অলওয়েজ বস এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।ক্রেতাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক রাখতে হবে।এবং নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতে হবে।

এতে ক্রেতার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকবে এবং ঝুঁকি এড়ানো যাবে।

অনলাইনে বিজনেসে পন্য উপস্থাপন বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন স্কিলড না হওয়ার কারনে ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।

উদ্যোক্তাদের প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা জানি যে উদ্যোক্তার বিজনেসকে প্রসারিত করতে হলে বিনিয়োগ আনা দরকার।

উদ্যোক্তা যদি দক্ষতার সাথে তার বিজনেসের প্রেজেন্টেশন করে,

বিনিয়োগীকারীদের সন্তুষ্ট করতে চান তাহলে তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে।

যেকোনো অনলাইন বিজনেসে অল্পতে হতাশ হাওয়ার কারনে বিজনেস সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যেতে পারে না।

অনলাইন বিজনেস সুষ্ঠু ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার হতাশা থেকে বের হতে উদ্যোক্তাদের।এতে উদ্যোক্তারা ভালো করতে পারে।

আর বিজনেসকেও সহজে সাফল্য অর্জন করা যায়।

পারসোনাল ব্রান্ডিং বিজনেসের জগতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন পারসোনাল ব্রান্ডিং কে পুজি করে একজন উদ্যোক্তা যে কোন বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করলে তা সফল হবেই৷ তার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকবে অন্যরকম। বিজনসেকে যদি কেউ বিনা পয়সায় মার্কেটিং করার কাজ করতে চায় তাহলে তার নিজের পারসোনাল ব্রান্ডিং কে শক্তিশালী করতে হবে। লেগে থাকার মাধ্যমে তা করা সম্ভব হবে।

আর অনলাইন বিজনেসের জন্য পারসোনাল ব্রান্ডিং তৈরী করতে পারলে ঝুঁকি এড়ানো যায়।

যে কোন অনলাইন বিজনেসে কি কি ধরনের ঝুঁকি বা রিস্ক থাকতে পারে?

- যে কোন অনলাইন বিজনেসে কি কি ধরনের ঝুঁকি বা রিস্ক থাকতে পারে? কিভাবে এসব ঝুঁকি এড়ানো যায় বা প্রতিরোধের উপায় কি?

অনলাইন বিজনেস এ অনেক বড় একটা রিস্ক হলো এক সঙ্গে বেশী পন্য স্টক করে রাখা। আমাদের কে অবশ্যই পন্য স্টকিং এ সাবধান থাকতে হবে। প্রয়োজনে অল্প পরিমান পন্য এনে সেল করে আবার পন্য স্টক করতে হবে কিন্তু কোন ভাবেই এক সঙ্গে বেশী পন্য স্টক করা যাবেনা। তাতে লস এ পরতে হবে। কারন সব পন্য সেল না হলে সেটা আমাদের বিজনেস এ ঝুঁকির মধ্যে পরে যাবে.

আমাদের মাঝে অনেকেই টাকা এডভান্স না নিয়ে বা ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পন্য না পাঠিয়ে সরাসরি পন্য পাঠিয়ে দেন। যেটা কোন ভাবেই করা যাবেনা। এতে সেলার হিসেবে আমরা অনেক বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেলি।কারন আমরা হয়তো অজানা কাউ কে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পাঠাতে পারি সেটা আমাদের জন্য নিরাপদ কিন্তু কোনরকম টাকা না নিয়ে বা ক্যাশ অন ডেলিভারিতে না দিয়ে এমনি এমনি পন্য পাঠানো যাবেনা। তাতে অনেকের টাকা লস হয়ে গিয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনা যেন আর নয় হয় সেই জন্য আমাদের কে সচেতন থাকতে হবে.

একটি অনলাইন সেরা সুবিধার এক ব্যবসায় এটি আপনাকে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের পরিবেশন করতে দেয়। তবে আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের সাথে তুলনা করতে আপনাকে আপনার পণ্যগুলি আপগ্রেড করতে এবং তৈরি করতে হবে।

যদিও গ্রাহকরা তাদের পণ্যগুলি ফিরিয়ে দেয় এটি কোনও ব্যবসায়ের জন্য আনন্দদায়ক পরিস্থিতি না হলেও এটি অনলাইন ব্যবসায়গুলির জন্য একটি সাধারণ সমস্যা। যখন গ্রাহকরা বিতরণ করা আইটেমটির সাথে সন্তুষ্ট হয় না, তারা পণ্য ফিরে প্রতিস্থাপন বা ফেরতের জন্য বিক্রেতার কাছে ইন্টারনেট উদ্যোক্তা হিসাবে আপনার পক্ষে যেমন দাবি ও অনুরোধগুলি সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা.

আমাদের কে অবশ্যই আমাদের পন্যের প্যাকেজিং এ গুরুত্ব দিতে হবে। পন্য যতই ভালো হোক না কেনো পন্যের প্যাকেজিং যদি ভালো না হয় তাহলে ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে পন্যের ক্ষতি হতে পারে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে এই ক্ষতির কোন রকম দায় ভার নিয়ে থাকেনা। ফলে আমাদের সেলারদের কে অবশ্যই আমাদের পন্যের প্যাকেজিং এ গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে আমাদের কে অন্য সকল ধরনের প্যাকেজিং উপাদান রাখার পাশাপাশি বাবল র ্যাপ ইউজ করতে হবে। এতে করে পন্যের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কম থাকবে.

একজন উদ্যোক্তা যখন ব্যবসার জ্ঞানার্জন না করে উদ্যোগ শুরু করে তখন সমস্যা হয়ে থাকে বিজনেস শুরু করার প্রাথমিক ধাপে, সঠিকভাবে পণ্যের উপস্থাপনায় ভুল, কাস্টমার কেয়ারিংয়ে ভুল, সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে না পারা, পণ্য ডেলিভারিতে সমস্যা তৈরি করা, সার্ভিস পরবর্তীতে কেয়ারিংয়ে গ্যাপ, ক্রেতাকে সঠিক সময়ে রেসপন্স করতে না পারা,

ব্যবসায়ে আথিক লেনদেনের নিরাপত্তার অভাব আছে।

ক্রেতা বা বিক্রেতা অনেক সময় ই-কমার্সের কার্যক্রমের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে না।

ব্যবসায়ে আইন প্রণয়নকারী এবং প্রয়োগকারী উভয়পক্ষের জন্য আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ অত্যন্ত জটিল এবং কষ্টসাধ্য বিষয়।

যেকোনো অনলাইন বিজনেসে পন্যের কোয়ালিটি শতভাগ খাঁটি নিশ্চিত করতে হবে।

এতে ঝুঁকি এড়ানো যায়। ক্রেতারা পন্যের কোয়ালিটিকে সবার আগে গুরুত্ব দেয় পন্য ক্রয়ের আগে।

পন্যের গুনগত মান শতভাগ খাঁটি নিশ্চিত করতে হয় ক্রেতাদের।

এতে ক্রেতা নিজে থেকে বারবার রিপিট হয়।যা ক্রেতাদের সন্তুষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সবাই শুধু পণ্যের গুনগান করে। কিন্তু এর ব্যবহারবিধি বা সাবধানতা সম্পর্কে খুব কম উদ্দোক্তাই ক্রেতাকে জানায়।

ধরুন আমার থেকে একটা জামদানি শাড়ি কেউ নিল। এর ব্যবহারবিধি যদি তাকে না বলি তাহলে সে এটা সাধারণ পোশাকের মত পানিতে ওয়াশ করতে পারে। এতে শাড়িটা নষ্ট হলে ক্রেতা ভাববে আমি তাকে খারাপ শাড়ি দিয়েছি এবং আশেপাশের সবাইকে তা জানাবে।

এতে বিজনেসের রেপুটেশন তো নষ্ট হবেই ক্রেতা হারানোর ঝুকিও তৈরি হবে।

অনলাইন বিজনেসে বাজার সঠিকভাবে এনালাইসিস করতে হয়।

বিজনেসে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। পাশাপাশি হাল ফ্যাশানের সাথে তাল মিলিয়ে পণ্যের সংযোজন করতে হয়।

পণ্যের সংযোজন মার্কেটের উপর অনেক বেশি রিসার্চ করতে হয় ।

এতে আমাদের বিজনেসের ঝুঁকি এড়ানো যায়।

অনলাইন বিজনেসে এক ক্রেতাকে নিয়ে অন্য ক্রেতার কাছে সমালোচনা করা যাবে না।

ক্রেতাদের নিয়ে কোনোরকম সমালোচনা বা ক্রেতা অসন্তোষ হয় এমন আচরণ করা যাবে না।

ক্রেতা অলওয়েজ বস এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।ক্রেতাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক রাখতে হবে।এবং নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতে হবে।

এতে ক্রেতার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকবে এবং ঝুঁকি এড়ানো যাবে।

অফলাইন জগতের মতো, অনলাইন ব্যবসায়ের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হল সফল উদ্যোগ হওয়ার জন্য গ্রাহকের আনুগত্য বজায় রাখা। একটি ইকমার্স ব্যবসায়, একজন ক্রেতা এবং বিক্রেতা একে অপরকে চেনে না, সুতরাং লেনদেন বিশুদ্ধরূপে এবং সরবরাহিত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটে। চমৎকার গ্রাহক সমর্থন এবং পরিষেবা সরবরাহ করে এই বিশ্বাস তৈরি করা অপরিহার্য।

অনলাইন বিজনেসের ঝুকি থাকে যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করা সঠিকভাবে না শিখে।

অনেকে আছে যারা অনেক কিছুআ ছানে ইন্টারনেট সম্পর্কে। অনেক সময় বিজনেস

পেইজ হ্যাক হয় যায়। বিছনেস আইডি হ্যাক হয়ে যায় না বুঝার কারনে। এজন্য অবশ্যই

ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে কি করলে কি হতে পারে এই সাধারণ জ্ঞান অর্জন ঈরতে হবে।

তাহলে অনলাইন বিজনেসের ঝুকি গুলোকে সহজেই এ ড়িয়ে চলা সহজ হবে।

অনলাইনে বিজনেসে পন্য উপস্থাপন বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন স্কিলড না হওয়ার কারনে ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।

উদ্যোক্তাদের প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা জানি যে উদ্যোক্তার বিজনেসকে প্রসারিত করতে হলে বিনিয়োগ আনা দরকার।

উদ্যোক্তা যদি দক্ষতার সাথে তার বিজনেসের প্রেজেন্টেশন করে,

বিনিয়োগীকারীদের সন্তুষ্ট করতে চান তাহলে তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে।

যে কোন অনলাইন বিজনপসে ঝুকি একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।

এই চ্যালেঞ্জ কে মোকাবলা করার জন্য উদ্যোক্তাকে কৌশলী হতে হয় এবং অতি সাধানতার সাথে ডিল করতে হয়।

কেননা এটা করতে না পারলে অনলাইন বিজনেসে ভালো করা যায় না.

পারসোনাল ব্রান্ডিং বিজনেসের জগতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন পারসোনাল ব্রান্ডিং কে পুজি করে একজন উদ্যোক্তা যে কোন বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করলে তা সফল হবেই৷ তার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকবে অন্যরকম। বিজনসেকে যদি কেউ বিনা পয়সায় মার্কেটিং করার কাজ করতে চায় তাহলে তার নিজের পারসোনাল ব্রান্ডিং কে শক্তিশালী করতে হবে। লেগে থাকার মাধ্যমে তা করা সম্ভব হবে।

আর অনলাইন বিজনেসের জন্য পারসোনাল ব্রান্ডিং তৈরী করতে পারলে ঝুঁকি এড়ানো যায়।


বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী বিভিন্ন খাত

 টপিকঃ বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী বিভিন্ন খাত সম্পর্কে লিখুন, এবং বাংলাদেশের আর কোন কোন পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়?


বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য হলো টালি। এই টালি সাধারণত ঘরের টিনের বদলে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই শিল্প যশোর এলাকায় অনেক বেশি পাওয়া যায়।

স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে ইতালি ও ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের টালির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য হলো কৃষিজাত পণ্য বা সবজি।

বাংলাদেশের সবজির মান ভালো হওয়াতে এই সবজি ফ্রিজিং করে প্যাকেটজাত করে বিশ্ব এর অনেক দেশে পাঠানো হয়ে থাকে।

সবজি ও সবজিজাত পণ্যের চাহিদা ইউরোপ প্রধান দেশ গুলোতে রয়েছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে মৃৎশিল্প খাত থেকে। কারন মাটির

তৈরী জিনিস গুলো হলো গ্রিন প্রডাক্ট এই মাটির তৈরী জিনিস গুলো বাইরের দেশেও

রপ্তানিতে ভূমিকা পালন করতে পারে। এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আমাদের দেশের এই খাতকে জিআই পণ্য হিসেবে অর্জন করতে পারলে রপ্তানিতে ভূমিকা রাখতে পারবে। এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে পারবে।

আমরা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রথম যে খাত টাকে জানি তা হলো আমাদের পোশাক শিল্প।আমাদের দেশের সিংহ ভাগ মুদ্রা এই খাত থেকে অর্জিত হয়।

কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না এই শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে আমাদের অনেক অংশ এই খাতে চলে যায়।আমাদের এখন যেই খাত এই শিল্পের পরেই রয়েছে সেটা হলো রেমিট্যান্স। মানে প্রবাসী যারা আছেন তাদের পাঠানো অর্থ দিয়েই বেশি রিজার্ভ এর কাজ চলে।

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ সুপারি উৎপাদন হয়। সুপারির মাধ্যমে আমরা জানি যে বিভিন্ন ধরনের রং প্রস্তুত করার জন্য এবং বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উৎপাদন করার জন্য তা ব্যবহার করা হয়।

আমাদের দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে আমরা প্রচুর পরিমাণে সুপারি বিদেশে রপ্তানি করি যার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকি।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম খাত হলো শুঁটকি।

আমাদের দেশের কক্সবাজার, দুবলার চরে প্রচুর পরিমাণ শুটকি উৎপাদন করা হয়। যা আমরা দেশের বাইরে বেশি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি।

আর শুটকি মাছ,দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করা যায় বলে এই শিল্পকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম খাত হলো পাটজাত পণ্য তৈরী করে তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হচ্ছে। পাট হলো আমাদের দেশের প্রধান অর্থকারী ফসল।

পাটজাত বিভিন্ন ধরনের পন্য তৈরী,করে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হচ্ছে। পাটের তৈরী শাড়ি,থ্রিপিস দিয়েও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হচ্ছে। যা দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আমাদের দেশে থেকে তৈরি পোশাক ছাড়াও আমরা পোশাক খাত থেকে প্রাপ্ত ঝুট উৎপাদন করা হয় সেগুলোর রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা হয়। আমাদের দেশ থেকে যে সকল দেশের ঝুট রপ্তানি করা হয় সেগুলোর মধ্যে ভারতে হল অন্যতম প্রদান দেশ। যেখানে আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঝুট রপ্তানি করে থাকি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আহরন করে থাকি

আমাদের দেশ থেকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সফটওয়্যার রপ্তানি করা হয় । আমরা জানি যে আমাদের দেশ আইটি সেক্টর দিন দিন অনেক ভালো করছে এবং বিভিন্ন ধরনের এর আইটি পার্ক এবং হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে সফটওয়্যার নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে । আমাদের দেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সফটওয়ার বিদেশের রপ্তানি করে থাকে। বিশেষ করে ভারত তার সবচেয়ে বড় ক্রেতা।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য হলো গ্যাস। এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে গেছে। লাইনের গ্যাস না হলেও এখন সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করার হার দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এখন ভারতের সেভেন সিস্ট্রার্স খ্যাত সাতটি রাজ্যতে গ্যাসের সাপ্লাই করে থাকে।

গ্যাসের রপ্তানি করে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারছে, যা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম খাত হলো লিচু।আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলাতে প্রচুর লিচু উৎপাদিত হয়।

একেক জেলার লিচুর,স্বাদ একেক রকম। লিচু থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায় সহজেই।যেমন, দিনাজপুর জেলার বেদানা লিচু।

এছাড়া রাজশাহী,সাতক্ষীরা জেলাতে প্রচুর লিচু উৎপাদিত হয়। যা থেকে সহজেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায়।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম খাত হলো ঔষধশিল্প।

বাংলাদেশে তৈরী কৃত বিভিন্ন কোম্পানি ঔষধ দেশের বাইরে রপ্তানি করা হচ্ছে। যা থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হচ্ছে।

আর ঔষধ তৈরী করে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। যা থেকে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়,করতে পারছি।

এছাড়া আমাদের মৎস্য সম্পদ থেকেও প্রচুর সম্ভবনা রয়েছে।শুধু চিংড়ি বা ইলিশ ই নয় আমাদের দেশের আরো অনেক সুস্বাদু মিষ্টি পানির মাছ রয়েছে যা আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারি।

আমাদের সমুদ্রের বিশাল একটা ভান্ডার রয়েছে তাকেও আমাদের যত্নের আওতায় আনা উচিত বলে মনে হয়।

বিজনেস গ্রোথ বৃদ্ধির কৌশল।

 টপিকঃ বিজনেস গ্রোথ বৃদ্ধির কৌশল।


বিজনেসে গ্রোথ বৃদ্ধি করার বিভিন্ন কৌশল আছে। অন্যতম কৌশল হলো বিজনেসে গতানুগতিক চিন্তা ভাবনা থেকে বের হতে হবে।

কাজের প্রতি সৃজনশীলতা প্রকাশ করার জন্য নতুন কাজ করতে হয়।এতে সবার কাছে নিজেকে অনন্য করে তুলা যায়।

কাজের প্রতি ইউনিক হলে সহজে সাফল্য লাভ করা যায়।

বিজনেসে গ্রোথ বৃদ্ধির অন্যতম কৌশল হলো ফটোগ্রাফির দিকে ফোকাস করতে হবে।

আসলে ই-কমার্সের মাধ্যমে এখন ব্যবসাতে ফটোগ্রাফির দিকে আলাদা গুরুত্ব দিতে হয়।

যার কারনে সময়ের সাথে কাজে ফোকাস করে টিকে থাকা সহজ হয়।

ব্যবসাতে ভালো করার জন্য সুন্দর ফটোগ্রাফিতে খেয়াল রাখতে হবে।

বিজনেস গ্রোথ বৃদ্ধির কৌশল আজকের টপিকের নাম, আজকের সবার কমেন্ট থেকে অনেক আইডিয়া পাওয়া যাবে, যারা যারা বিজনেস করবেন তারা আজকের আড্ডা পোস্ট থেকে অনেক উপকৃত হবেন।

আমাদের অনলাইন উদ্যোক্তাদের প্রথম যে বিষয় টি তে অবশ্যই কৌশলী হতে হয় সেটা হলো কাস্টমার ডিলিং প্রসেস টা। আমরা আসলে কতোটা পজিটিভ ওয়েতে ক্রেতা হ্যান্ডেল করতে পারছি বা তাদের কে আমাদের কাজ নিয়ে পজিটিভ একটা বিষয় বোঝাতে পারছি এটা ভিশন গুরুত্বপূর্ণ। একজন সেলার যখন ক্রেতা ডিলিং এর এই বিষয় টা তে অনেক বেশী ফোকাসড থাকে এবং অবশ্যই যতোটা সম্ভব হাল ছেড়ে না দিয়ে একজ্ন হবু ক্রেতা কে সম্ভাব্য ক্রেতাতে পরিনত করার মানসিকতা এবং দৃঢ়তা রাখতে হবে। এবং এটি ও এক ধরনের কৌশল যেটাতে করে একজন ক্রেতা অবশ্যই আমাদের ডিলিং এ মুগ্ধ হবেন এবং আমাদের আন্তরিকতায় ক্রেতা হবার কথা চিন্তা করবেন.

বিজনেস গ্রোথ বাড়ানোর জন্য আপনাকে আগে সবচেয়ে আপনার কাজকে নিয়মিত করতে হবে।

আপনি যদি কোনো ফার্মেসি দোকান দেন তাহলে সেই দোকান প্রতিদিন খুলতে হবে আবার দোকান বসতে হবে নিয়মিত না হলে কাস্টমার পাওয়া যাবে না।

তাই সকল বিজনেসের ক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত হতে হবে।

হোক সেটা অনলাইন বিজনেস আবার হোক সেটা অফলাইনে বিজনেস ।

বিজনেসের গ্রোথ বৃদ্ধি করার জন্য উদ্যোক্তা তার নেটওয়ার্কিং চ্যানেলকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করতে হবে।

একজন উদ্যোক্তা যদি তার নেটওয়ার্কিং চ্যানেলকে অনেক বেশি প্রসারতা ঘটাতে পারেন তাহলে তার বিজনেসের সমৃদ্ধ হবে । এবং সেই বিজনেসে কলেবর বৃদ্ধি পাবে যা ।

প্রকারান্তরে সেই বিজনেসের গ্রোথ বৃদ্ধি করে দিবে।

বিজনেসের গ্রোথিং এর জন্য ডেলিভারী সমস্যা গুলোকে বের করে সমাধান করা উচিত।

অনেক সময় দেখা যায় ডেলিভারী সমস্যা থাকতে পারে পণ্য ডেলিভারী।তে দেরি হয়।

এজন্য কাষ্টমারের সাথে ভালো বিল্ড আপ করতে পারলে বিজনেসের গ্রোথিং পসিবল।

বিজনেসের জন্য ঐটি অনেঈ গুরুত্ব একটা অংশ।

আমাদের মার্কেটিং জনক ফিলিপ কটলারের মার্কেটিং বই থেকে আমরা জেনেছি যে আমাদের বিজনেস গ্রোথ টা মূলত আমাদের কাজের মার্কেটিং ওরিয়েন্টটেড হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে আমাদের কে ক্রেতাদের কে এনগেজড করার পাশাপাশি অবশ্যই ক্রেতাদের চাহিদা পূরনে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ আমাদের কৌশল থাকবে ক্রেতা কে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বেস্ট পন্য দিয়ে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন। এতে করে একটি বিজনেসের গ্রোথ অবশ্যই পজিটিভলি হবে.

বিজনেসের গ্রোথ বৃদ্ধি করার অন্যতম কৌশল হলো নিয়মিত পন্য নিয়ে তথ্যবহুল লেখা।যা আমরা স্টোরি টেলিংয়ের মাধ্যমে সহজে করতে পারি। স্টোরি টেলিংয়ের মাধ্যমে কনটেন্ট লিখে উপস্থাপন করা যায়।

স্টোরি টেলিংয়ের মাধ্যমে পন্য উপস্থাপন করলে সহজে ক্রেতাদের স্মৃতিতে গেঁথে যায়। নিয়মিত কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে পন্যকে সৃজনশীলভাবে উপস্থাপন করা যায়।

বিজনেস গ্রোথ বৃদ্ধির অন্যতম কৌশল হলো ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপগুলোতে নিয়মিত থাকা। বর্তমান সময়ে আরিফা মডেল ফলো করা ছোট ছোট গ্রুপগুলোতে সময় দিয়ে অনেকেই ব্যবসাতে ভালো ফলাফল করতে পারছেন।

নিয়মিত সময় দিয়ে নিজের পরিচিতির পাশাপাশি ব্যবসাতে ভালো করার সুযোগ পাচ্ছেন।

একমাত্র পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতার বলে ই-কমার্স বিজনেসের গ্রোথ বাড়ানো সম্ভব। সবার আগে পড়াশোনার মাধ্যমে অনেক ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। রিডিং, রাইটিং, সার্চ করে পড়ার দক্ষতা ও অভ্যাস গঠন করতে হবে। আর অল্প সময়ে উদ্যোক্তাদের জন্য এগুলো অর্জন করতে ডিজিটাল স্কিলস্ গ্রুপের প্রণীত আরিফা মডেল সবচেয়ে বেশি উপযোগী। বর্তমান যুগে এটি স্কিল ডেভেলাপমেন্টের সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি।

বিজনেসের গ্রোথ বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অফলাইন অনলাইন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। যার মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের মিথস্ক্রিয়া সম্পর্ক তৈরি হবে ।

যা সেই বিজনেসের প্রতি ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি নতুন ক্রেতাদের গ্রাব করতে পারবে এবং এভাবে ধীরে ধীরে একটি বিজনেস বৃদ্ধি করতে পারবে।

লেখাপড়া কি বিজনেসে প্রয়োজন আছে?

অবশ্যই আছে।স্যার বলেন আমাদের সবার উচিত নিজে যেই ফিল্ডে কাজ করিনা কেনো হোক চাকরি কিংবা বিজনেস আমাদের ঐ বিষয়ে পড়াশোনা করা উচিত। এবং পাশাপাশি বেসিক বৃদ্ধি জন্য আমাদের দরকার আরিফা মডেল অনুসরণ করা। এতে করে আমাদের বেসিক যেমন বাড়ে তেমনি কাজের গতিশীলতা বাড়বে.

বিজনেসের গ্রোথিং এর জন্য পণ্যের ক্রিয়েশন অবশ্যই একটু ইউনিক হতে হবে।

সৃজনশীল দক্ষতা কে কাজে লাগাতে পারলে বিজনেসের ভালো ডেভেলপমেন্ট করা সহজ হয়।

এজন্য ফিউশনে অনেকটা ভিন্নতা আপতে পারলে

বিছনেসের জন্য অনেক বেশি রেপুটেশন বাড়বে।