বিষয়ঃ ব্যবসায় সুনাম অর্জনে করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ক্রেতাদের কানেক্টিভিটি রক্ষা করলে করলে বিজনেস সুনাম ছড়িয়ে পরে।পেন্টাগন ক্লোদিং বিজনেসে ক্রেতার পুরোন জ্যাকেট সেলাই পর্যন্ত করে দেয়,এতে করে ক্রেতার সাথে লং রানে তাদের সম্পর্ক তৈরী হয়.
একজন ব্যবসায়ী কে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে।কারণ দক্ষতা ছাড়া প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেকে টিকিয়ে রাখা অনেক কঠিন।
ব্যবসা মানেই হলো ক্রেতার সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।একজন ক্রেতা শুধু পন্য কেনার জন্যই আসেন না,,পন্য কেনার সাথে সাথে তার সমস্যা সমাধানের জন্য ও আসেন।সুতরাং ক্রেতার সমস্যার সুন্দর সমাধান দিতে পারলে অবশ্যই আপনার ব্যবসার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।
সকল কাস্টমার কে সমান সুযোগ দিতে হবে।পন্যের প্রাইসিংয়ের ক্ষেত্রেও কারো সাথে পারসিয়ালিটি করা ঠিক নয়।কারো থাকে বেশি দামে প্রোডাক্ট সেল করলেন,,আবার সেইম প্রোডাক্ট অন্য কারো থেকে কম দামে সেল করলেন,,,এটা করা যাবে না।কারণ এতে ব্যবসার সুনাম নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।
ব্যবসার সুনাম অর্জন করা যতটা সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টকর,, তার থেকেও বেশি কষ্টকর অর্জিত সুনাম ধরে রাখা।সুতরাং আপনার ব্যবসার সুনাম ধরে রাখার জন্য আপনাকে আরো বেশি যত্নশীল হতে হবে।
পণ্যের প্যাকেজিং সব সময় কোয়ালিটি ধরে রাখতে হবে,,একটি ব্রান্ডের শপিং ব্যাগও অনেক ভ্যালু রাখে।
অনেক কোম্পানির ব্যাগ রিইউজ করার সুযোগ থাকে,,এতে করে কোম্পানির সুনাম সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় যা ক্রেতার মনে সেটিসফেকশ তৈরী করে।
আমরা অনেক সময় বলি ব্রান্ড দেখতে হবে না.
বিজনেসে দায়িত্বশীল আচরন সুনাম ধরে রাখতে সাহায্য করে।
একটি বিজনেস ইনভল কর্মী,অন্যান্য পক্ষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে তাঁতের মাধ্যমে বিজনেস প্রশংসীত হয়।
সুনাম অর্জনে উদ্যোক্তাকে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পন্যে ফিউশন, নতুননত্ব অানতে হবে,ক্রেতার একচুয়াল চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন অানতে পারলে সুনাম ধরে রাখা সম্ভব।
ব্যবসা একদিনের জন্য নয়,,এরজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন।ব্যবসার শুরুতেই কিছু পরিকল্পনা করা উচিত যাতে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া যায়।
কাস্টোমার ক্যাটাগড়ি অনুযায়ী পণ্যের সার্ভিস থাকতে হবে।একটি সমাজে সব পেশার লোক থাকে,,ম্যাক্সিমাম ক্রেতাদের চাহিদা পূরন করতে পারলে বিজনেসের সুনাম বৃদ্ধি পায়.
ব্যবসায় সুনাম অর্জন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
ব্যবসাতে সুনাম অর্জনের জন্য স্থায়ীভাবে লাভবান ও টিকে থাকার সুযোগ হয়।
একজন ব্যবসায়ী যদি দীর্ঘমেয়াদি টিকে থাকতে চাই তাহলে তাকে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
এতে করে সাফল্য এর সাথে তার এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে,
ঝকঝকে প্যাকেজিং আর ঠনঠনে প্রোডাক্ট দিলেন তো সেটা হিতে বিপরীত হতে পারে। আপনার ব্যবসায় এর অত্যন্ত বাজে প্রভাব পড়বে।অনেকেই লো কোয়ালিটির প্রোডাক্ট দিবেন,,অথচ চমৎকার প্যাকেজিং করেন,,এতে কিন্তু কোন লাভই হিয়না আসলে।প্যাকেজিং অবশ্যই ভালো ভাবে করতে হবে,,তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে কাস্টমার প্যাকেট নয়,,প্যাকেটের ভিতরের প্রোডাক্ট টায় কিনেছেন।প্যাকেজিং কিছুটা খারাপ হলেও প্রোডাক্ট যদি ভালো হয় তবে কাস্টমার সেটা সাধরে গ্রহণ করে থাকেন।সুতরাং প্রোডাক্ট কোয়ালিটি তে কখনো আপোষ করা যাবেনা।
একটা সময় যেখানে ক্রেতা সেখানেই বিক্রেতা জড়ো হত,,বর্তমানে ঠিক উল্টো অবস্থা।
যেখানে ক্রেতা সমাগম সেখানেই বিক্রেতার আগমন।
বর্তমানে সুনাম অর্জনে ক্রেতার সাথে কানেক্টিভিটি বাড়াতে ডিজিটাল মাধ্যমে এক্টিভ থাকতে হবে.
কাস্টমারের কথা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।কাস্টমার কেমন পন্য চাচ্ছেন,,কি ধরনের সেবা চাচ্ছেন,,সেটা বুঝেই কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্ট দিতে হবে।
সুনাম একটি কোম্পানির আলাদা আইডেন্টিটি ক্রিয়েট করে,,,কোম্পানির সকল প্রডাক্টের নাম না জানলেও কোম্পানির নাম সবার মুখে থাকে। যেমন ইউনিলিভার, H&MM তাদের নিত্য নতু প্রডাক্ট সুনামের জন্যই দ্রুত মার্কেট ক্যাপচার করতে পারে.
আমাদের মাইজদীতে বিশ্বনাথ কর্মকার নামে একটি গোল্ডের দোকান রয়েছে।ঐ এরিয়ার অনেক গুলো গোল্ডের দোকান একই জায়গায় থাকলেও তাদের কাস্টমার সবসময় বেশি থাকে।দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও তাদের কাস্টমার আসে।নোয়াখালীর যেসব লোক বাইরের জেলায় থাকে,,তারাও এখান থেকেই গোল্ডের জিনিস কেনাকাটা করে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।তাদের কাস্টমস সার্ভিস যথেষ্ট ভালো এবং তারা কাস্টমার কে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দেওয়ার চেষ্টা করেন।একমাত্র সুনামের জন্যই তারা বছরের পর বছর ধরে নিজেদের ব্যবসা ধরে রাখতে পারছে।
একজন ব্যবসায়ী কে কৌশলী হতে হয়।কাস্টমারের সাইকোলজি বুঝে কাজ করতে হয়।সকল কাস্টমারের মানসিকতা এক হয়না।সুতরাং কাস্টমারের মানসিকতা বুঝে কাস্টমার হ্যান্ডেল করার দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ব্যবসায় সুনাম অর্জন করা যায় সহজে।
অামরা অনেক পণ্যের ক্রেতা না হয়েও সেই কোম্পানির ব্যাপারে পজেটিভ ধারনা রাখি,নিজ থেকে সেই কোম্পানি অন্যদের রিকমেন্ড করি ।
পণ্য কেনাবেচার বাইরে গিয়েও যে সব কোম্পানি সচেতন মূলক কাজ করে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পরে.
যদিও আড়ং এর ফেব্রিক এর সাথে অন্যান্য অনেক আইটেম অাছে।
লিপা আক্তার বলেন, আমি সবসময় ফিক্সড প্রাইসের দোকান থেকেই কেনাকাটা করি।মাইজদী তে শখ নামের একটা ফিক্সড প্রাইসের দোকান আছে।প্রায় ১০ বছর ধরে আমি তাদের রেগুলার কাস্টমার।ফিক্সড প্রাইসের দোকান হওয়া স্বত্তেও ঐ দোকান থেকে যাই কিনি,প্রত্যেক আইটেমে তারা আমাকে ডিসকাউন্ট দেয়।এমনকি তাদের শপে কাস্টমার কে ফ্রী তে কফি সার্ভ করার ব্যবস্থা রয়েছে।ওদের প্রোডাক্ট কোয়ালিটি ও অনেক ভালো। তাদের এসব নীতির জন্যই অনেক সুনাম রয়েছে।
একজন ব্যবসায়ী কে ধৈর্য্যশীল হতে হবে।সব সময় যে পজিটিভ মাউন্ডের কাস্টমার পাবেন,,এমনটা আশা করা ঠিক নয়।কখনো কখনো কিছু নেগেটিভ মাইন্ডের কাস্টমার ও হ্যান্ডেল করতে হয় একজন ব্যবসায়ী কে।কোন কারণ ছাড়ায় ঝামেলা করার মত লোক ও কাস্টমার হয়ে আসতে পারেন।সেক্ষেত্রে ধৈর্য্য ধরে তার কথা শুনে তাকে ম্যানেজ করার কৌশল আয়ত্ত্ব করতে হবে।এই দক্ষতার উপর ও কিন্তু ব্যবসার সুনাম ডিপেন্ড করে।
ব্যবসায় সুনাম অর্জনের লক্ষ্যে কাস্টমারকে নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করতে হবে।কারণ নিয়মিত লেখালেখি করলে কিন্তু আমাদের জন্যই সুবিধা। তাতে কাস্টমার খুশি হয়।
ব্যবসায় সুনাম অর্জন করার জন্য অন্যতম করনীয় ব্যাপার হলো ভালো মানের বিজ্ঞাপন প্রদান করা।
আসলে ভালো মানের বিজ্ঞাপন দিলে সেই কোম্পানি সম্পর্কে পজেটিভ ধারণা জন্মে।
ব্যবসাতে এটি খুবই ভালো বিষয়।
সময়কে গুরুত্ব দিতে পারলে আর কাজে টিকে থাকতে পারলে ভালো কিছু অর্জন করা সহজ হয়ে যায়।
উদ্যোক্তার বড় শক্তি বিজ্ঞাপন বা প্রচার।