বাংলাদেশের কিছু লাভজনক ব্যবসা নিয়ে আলোচনা--
*আমাদের দেশীয় শাল গুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি আরামদায়ক।
দেশীয় শালের চাহিদা বেশি থাকার কারণে এটা অনেক বেশি লাভজনক হবে।
*কাঠের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে।
যেমন কাঠ কে খোদাই করে নাম, ছবি ইত্যাদি দিয়ে গিফট আইটেম তৈরি করতে পারলে অনেক ভালো করা যায়।
ফলে এ ধরনের পণ্য নিয়ে বিজনেস করা লাভজনক
*বিভিন্ন ধরনের কৃষিজ পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারলে ভালো করা যায়।
কারণ এগুলো মানুষের চাহিদার মধ্যে থাকে সবসময়ই। যেমন নারিকেল, সুপারি, সয়াবিন ইত্যাদি
*রাঙামাটি এলাকার বম শাল পুরো বাংলাদেশ জুরেই চাহিদা আছে।পিনান একধরনের সেলাই করা কাপড় চাহিদা অাছে, এক্ষেত্রে কাজ করলে লাভবান হবার সুযোগ তৈরী
*ফ্রোজেন আইটেম এর চাহিদা স্কুল গোয়িং বাচ্চার মায়েদের অনেক বেশি সময় সাশ্রয় করে।
এক্ষেত্রে আইটেমে ফিউশন আনা যেতে পারে,মাংসের সাথে সবজির ব্যাবহারে হেলদি ফুডের ব্যাবস্থা করা যেতে পারে
*এলাকায় তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা, দুঃস্থ পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করতে পারে,,অনেকেই ফ্লাট বাসা থেকে চাইলেও তাদের বাড়তি খাবারটা গরিবদের মাঝে বিলাতে পারে না।
।এলাকায় সবাই মিলে সংগঠন করে, সম্পদের সুষম বন্টন করতে পারে,বাড়িত খাবার, শীতের পোষাক দিয়ে সাহায্য করতে পারে।।।এসব কাজের মাধ্যসে তরুন শ্রেনী নিজেদের ইমেজ তৈরী করতে পারে, যা তাদের ক্যারিয়ার সহায়ক হব
*পাট পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারি ।পাটের তৈরি বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে আমরা খুব অল্প পরিসরে আমাদের এলাকায় উৎপাদিত পাট পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারি এবং অল্প পরিসরে লাভবান হতে পারি।
*আমরা দেশীয় হারিয়ে যাওয়া তাত শিল্প কে তুলে ধরতে পারি। তাতের শাড়ি,থ্রিপিচ সম্পকে ভালো মানের কনটেন্ট লিখে প্রকাশ করতে পারি। কনটেন্টের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে সহজে উপস্থাপন করা যায়। এবং আমরা বিজনেসে লাভবান হই
*বিভিন্ন রকমের অনলাইন সার্ভিস এর ব্যাবস্থা করার সুযোগ অাছে।
পড়াশোনা সংক্রান্ত টপিকে নিয়ে কন্টেন্ট অনেক চাহিদা অাছে।
*কাঁথা নিয়ে কাজ করতে পারি। হাতের সেলাই করা কাঁথা গুলো সব সময় অনেক সুন্দর এবং আরামদায়ক হয়ে থাকে।তাই চাহিদা থাকলে বিজনেসে ভালো করা সম্ভব।
*ছাদ বাগান ঢাকা শহরের মানুষের জন্য সখের এবং ভালো লাগার।নার্সারি সার্ভিস নিয়ে কাজ করতে পারে।
কয়েকজন নার্সারী ম্যানকে নিয়ে গ্রুপ করে কাজ করা যেতে পারে।অনলাইনে ছাদ বাগানের প্রয়োজনীয়, মাটি সার,টব,চারার অর্ডর নিয়ে নার্সারী থেকে সাপ্লাই দিতে পারে,হোম সার্ভিস এখন সবাই পছন্দ করে।
এছাড়া গাছের পরিচর্চা এবং যত্নের জন্য সার্ভিস দিতে পারে
*শীতের পিঠা এর পাশাপাশি যদি ১২ মাস ঘরে রেখে খাওয়া যায় এমন পিঠা নিয়ে কাজ করা যায় তাহকে লাভবান হওয়া যায় কারন শীত কাল কয়দিনই থাকে তাই সবসময়ই মানুষের চাহিদা ধরে রাখতে পিঠার মধ্যে ও ভ্যারিয়েশান আমতে পারলে লাভবান হওয়ার যায়
*আপনি যদি বড় কোন শহরে থাকেন এবং ব্যাচেলর হন৷ তাহলে একটা বড় বাসা ভাড়া নিয়ে তাতে লোক উঠিয়ে, বুয়া রেখে, ওয়াইফাই সহ সকল বেসিক দৈনন্দিন সুবিধা দিয়েও বিজনেস করতে পারেন৷ ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে এধরনের সার্ভিস দিনকে দিন অনেক বেশি জনপ্রয়িতা অর্জন করছে৷
*পাখির পালন করে তা নিয়ে বিজনেস করতে পারলে ভালো করা যায়।
আমাদের মধ্যে অনেকেই শখের বশে পাখি পালন করে থাকেন।তাদের চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন জাতের পাখির।ফলে পাখির বিজনেসে লাভ করা যায়
*ছোটো ছোটো কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মাধ্যমে বিজনেসে ভালো করা যায়।
এ ধরনের বিজনেসের মাধ্যমে দেশোর সেবা করার পাশাপাশি বিজনেসেও অভাবনীয় সাফল্য আনা যায়
*কিছু কাজের প্রফিট দ্রুত পাওয়া যায় না কিন্তু দীর্মেয়াদে বিভিন্ন ভাবেই লাভবান হবার সুযোগ অাছো।
যেমন জেলা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করা।নিজ জেলার পণ্য,স্থান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভিডিও কন্টেন্ট,আর্টিকেণ, ইউটিউব, ওয়েবসাইট দেয়া যেতে পারে।একটা পর্যায়ে অনেকেই তথ্যের জন্য ভিজিট করবে আপনার সাইট, ভিডিও,
*বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর জিনিসের শপ দিতে পারি এবং এর মাধ্যমে আমরা খুব লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারি । কারন ঘর সাজানোর জিনিস এর চাহিদাও অনেক বেশি বেড়ে গেছে এবং মানুষ তা কিনতে অনেক বেশি তার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে
*আমরা হোমমেড শেম্পু তৈরী করতে পারি।
বিশেষ করে যারা ওয়েল নিয়ে কাজ করপন।
শ্যাম্পু তৈরী করে সহজে বিজনেসে লাভবান হই। ঘরে তৈরি শেম্পু সবাই পছন্দ করে। এক্সটা কেমিক্যাল না থাকার কারণে ক্রেতা থেকে ক্রেতা সৃষ্টিকরা যায়
*স্কিন কেয়ার রিলেটেড বিভিন্ন ন্যাচারাল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করা অনেক লাভবান একটি বিজনেস।
কারন এখন সবাই অনেক সচেতন সেই সাথে চায় ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট।
যেগুলো বেশ চড়া দামে বিক্রি করা হয় এটি একটি লাভজনক বিজনেসের আওতাভুক্ত
*সার্ভিস একদম নতুন করে অাবিষ্কার হযনা পুরোন বিজনেস ই নতুন ভাবে নতুন ধারার করা যায়।।
হোম সার্ভিসের আওয়াতায় আনতে পারলে অনেক ধরনের কাজেরই সুযোগ থাকে। অনেক বয়স্ক মানুষ কাজের লোকের অভাবে বাজার করতে পারে না,,খুজে খুজে তাদের তালিকা করে হোম সার্ভিস দেয়া যেতে পারে,,একই ভাবে তাদের প্রয়োজনীয় মেডিসিন এর ব্যাবস্থা করা যেতে পারে।
তাদের ছেলেমেয়েরা হয়ত বিদেশে অাছে,তাদের টাকার সমস্যা না লোকের সমস্যা এসব মানুষকে সার্ভিসের আওয়াতায় আনা যেতে পারে।
*ঘরে বসে ব্লক ও বাটিকের কাজ করতে পারি এবং আমরা সেই ব্লক ও বাটিকের কাজ করে অল্প বিনিয়োগে অনেক বেশি পরিমাণে লাভ করতে পারি যার মাধ্যমে আমরা অনেকেই স্বাবলম্বী করতে পারি।
*ড্রাই ফ্রুটস নিয়ে কাজ করতে পারলে বিজনেসে ভালো করা যায়।
কারণ ডায়েটের জন্য আজকাল অনেকেই এটা বেছে নিচ্ছে। তাই চাহিদা রয়েছে বলে বিজনেস লাভজনক হয়ে ওঠে
*ড্রাইওয়াশ এর বিজনেস করে লাভ করা যায়।
আমাদের এলাকায় একটা রয়েছে ড্রাইওয়াশ এর দোকান।ওখানে সবাই কাপড় দিয়ে ভালো করতে পারে ফলে লাভজনক হয়ে ওঠে বিজনেস
*বেবিড্রেস নিয়ে কাজ করতে পারলে বিজনেস লাভজনক হয়ে ওঠে
*আমরা নারিকেলের নাড়ু তৈরী করতে পারি। এটা লাভজনক বিজনেস।নারিকেলের নারু ছোট থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য প্রযোজ্য। নারিকেল নাড়ুতে অনেক পুষ্টি গুণ থাকার কারণে সবাই আগ্রহী হয় খাওয়ার জন্য। এবং ক্রেতাদের চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারি।
*বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে চামড়া পাওয়া যায়। কোরবানির সময় প্রচুর চামড়া কালেক্ট করা হয় এবং যারা এ বিজনেসে যুক্ত থাকেন তারা বেশ লাভবান হন।
কারণ কোরবানির সময় কম দামে চামড়া সংরক্ষণ এবং চামড়া প্রসেসিং করে বিভিন্ন ধরনের উন্নত মানের পণ্য তৈরি হয় যেগুলো দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।
আমাদের দেশে চামড়ার বিজনেস একটি লাভজনক বিজনেস এর অন্তর্ভুক্ত
*সুন্দরবনের মধুর সুখ্যাতি মোটামুটি সবারই জানা। এগুলোর চাহিদা এতোই বেশি যে অনেক সময় গাছ থেকে সংগ্রহের পর প্রসেসিং করার আগেই বিক্রি হয়ে যায়।
সুন্দরবনের মধু নিয়ে কাজ করে অনেক বেশি কাস্টমার পাওয়া সম্ভব। কারন এই মধু অনেক বেশি সুস্বাদু এবং উপকারী।
*শুঁটকি নিয়ে কাজ করলে বিজনেস লাভজনক হয়ে ওঠে।
যেমন আমাদের দেশে শুঁটকি প্রায় সব জেলাতেই পছন্দ করে মানুষেরা।তাই এদিকটায় ভালো ভাবে মন দিয়ে কাজ করতে পারলে ভালো করা যায়
*ইভেন্ট প্লান নিয়ে কাজ করা একটা প্রফিটেবল ব্যবসা এখন ৷ তবে সেই বিষয়ে একটা পরিবেশ অনুযায়ী প্যাকেজ বা ছাড় সেই কাজকে আরো গ্রহণযোগ্য করতে পারে
*চা পাতা নিয়ে বিজনেস করে লাভ করা যায়।
সিলেটের চা পাতার সুনাম অনেক আগের। এ পণ্য নিয়ে কাজ করলে চা প্রেমীদের চা এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিজনেস লাভজনক করা যায়
*বাশ ও বেতের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে কাজ করতে পারি এবং বাশ ও বেত যেহেতু সহজলভ্যতা । তােই খুব অল্প পরিসরে এবং অল্প বিনিয়োগে আমরা অধিক লাভজনক করতে পারি। বাশ ও বেতের জিনিসের চাহিদা বর্ধমান।
*বাচ্চা দের জন্য ছোটো ছোটো কার্টুন দিয়ে স্টিকার তৈরি করে সেল করতে পারলে অনেক ভালো করা যায়।
স্টিকার আমিও পছন্দ করি।
তাই ছোটো বড় সকলেরই এর চাহিদা রয়েছে
*ক্লে দিয়ে তৈরি শোপিসের অনেক চাহিদা রয়েছে। কারন শোপিসগুলো যেমন ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তেমনি এগুলো গিফট করার জন্য পারফেক্ট।
ক্লে নিয়ে করা কাজের জন্য খরচ কম এবং এগুলোর চাহিদা অনুযায়ী যোগান দেয়া হলে বেশ ভালো দামে বিক্রি করা যায়।
*বিজনেস কার্ড,লোগো,ব্যানার এসব তৈরি করে বিজনেস করতে পারলে ভালো করা যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করতে পারলে এদিকটায় ভালো করা যায়।
অনেকেই এদিকটায় ভালো করছেন
* ব্যগঃ যে কোন ধরনের ব্যগ হতে পারে। যারা শুধু ব্যগ বা পার্টস নিয়ে কাজ করেন নানান ধরনের অনেক সুন্দর সুন্দর ইউনিক কালোকশন নিয়ে কাজ করতে পারেন।
এটি খুবই লাভজনক এবং চাহিদাপূর্ণ
* মগ গ্লাস এসবে পেইন্ট করে অনেক ভালো করা যায়।
অনেকেই এসব নিয়ে কাজ করে৷ ভালো করছেন ইদানীং
* ঘি,মাখন নিয়ে কাজ করতে পারলে বিজনেস লাভজনক হয়ে ওঠে।
আমাদের যদি এসব খাঁটি ও ভালো নিশ্চয়তা দেয়ার সক্ষমতা থাকে তাহলে অনেক ভালো করা যায়।
বিজনেসে এদিকটায় উন্নতি করছেন অনেকেই
*ফুলের বিজনেস নিয়ে কাজ করলে বিজনেস লাভজনক হয়ে ওঠে।
যেমন আর্টিফিশিয়াল ফুলের গাজরা তৈরি করে তা সেল করতে পারলে অনেক লাভ করা যায়।আজকাল মেয়েরা ফ্যাশনের জন্য এসব পছন্দ করে থাকেন
* অনেকে ছাত্র অবস্থায় ছবি তোলা পছন্দ করে,বন্ধুদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে ছবি তুলে নিজেদের কাজের সুযোগ তৈরী করতে পারে
* রেন্ট কার সার্ভিস আমাদের দেশে এখনো যথেষ্ট বিভিন্ন অকেশনে ক্রাইসিস দেখা যায়,, এি সেক্টরে কাজ করা সুযোগ অাছে ক্যাপটাল িনভেস্ট না করে যোগাযোগ দক্ষতার মাধ্যমে, ব্যাক্তিগত গাড়ি, বিভিন্ন মেকানিজ থেকে গাড়ির সার্ভিস করা যেতে পারে।
অনেকের ব্যাক্তি গত একাধিক গাড়ি অযাথাই গ্যারেজে থাকে,,এসব গাড়ির খোজ খবর নেযা যেতে পারে,,বিশনেসের আওয়াতায় আনা সম্ভব
* বগুড়ার দই নিয়েও কাজ করে লাভবান হতে পারবেন।
কারন এই পণ্যের আলাদা চাহিদা আছে।
আর ক্রেতারা ভালো পণ্যের জন্য মুখিয়ে থাকে।
ভালো দইয়ের ব্যবস্থা করতে পারলে আপনি লাইফটাইম ক্রেতা পাবেন।
আর ভালো করার সুযোগ পাবেন।
* ফ্রোজেন রুটি, পড়োটা নিয়ে কাজ করতে পারি। ফ্রোজেন খাবার ঝটপট বের করে প্রসেসিং করে খাওয়া যায় বলে সবাই ক্রয়,করতে চান।কারণ ব্যস্ততায় সবাই চায় দ্রুত সময়ে কাজ করতে। এতে করে আমরা বিজনেসে লাভবান হই
* মোটরযান রিপিয়ারিং বা মেরামত শপ তৈরি করতে পারি । যার মাধ্যমে আমরা অন্যদের সেবা প্রদান করতে পারি এবং সে কাজটি যেহেতু দক্ষতার ওপরই নির্ভর করে তাই খুব অল্প বিনিয়োগ হলেও আমরা অধিক পরিমাণ লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
* ইউটিউবার হিসেবে কাজ করা যায় ভালোভাবে।কারণ ইউটিউবে ভালো উপস্থাপন করতে পারলেই সেই বিজনেসের চাহিদা বৃদ্ধি পায়।ফলে ভালো করতে পারা যায় সহজেই
*ল্যাপটপ,মোবাইল, হেডফোন সহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারলে বিজনেসে ভালো করা যায়।
কারণ অনলাইন এ এসব নিয়ে কম লোকই কাজ করে।
আমরা পরিচিত এক ভাইয়া অনেক লাভ করছেন এদিক টায়