পণ্যমূল্য নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করুন।

Razib Ahmed ▶ ‎Digital Skills for Bangladesh

আড্ডা পোস্ট ৪ জুন ২০২০।

বিষয়ঃ পণ্যমূল্য নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করুন।

আড্ডা পোস্টে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি।

 — with Razib Ahmed and 2 others.

20 hrs · 

Public


Sanjida Akter

প্রোডাক্ট প্রাইসিং এর জন্য যা যা কস্টিং ইনক্লুড করবেন।যারা ট্রেডিং করেন অর্থাৎ এক জায়গা থেকে কিনে এনে আরেক জায়গায় সেল করেন তাদের জন্য-
🔸প্রোডাক্টের হোলসেল দাম
🔸যাতায়াত ভাড়া
🔸লিজিস্টিকস এর খরচ(প্যাকিং এর ব্যাগ+স্কচটেপ+ইত্যাদি আনুষাঙ্গিক যা যা লাগে।)
🔸অনলাইনে সেল করলে ইন্টারনেট খরচ+কাস্টমারের সাথে ফোনে কথা বলতে হলে ফোনের খরচ
🔸কুরিয়ার বা ডেলিভ্যারিম্যানের খরচ
🔸শপ থাকলে শপের ভাড়া+ইলেক্ট্রিসিটি বিল+কর্মচারীর স্যালারী
🔸আপনি যে ম্যানজমেন্ট এ সময় দিচ্ছেন তার পারিশ্রমিক 
🔸কিছু আনুষাঙ্গিক সিস্টেম লসের জন্য নূন্যতম মূল্য

এতকিছু হিসাব করে সেটার অ্যাভারেজ একটা অংশ প্রতিটা প্রোডাক্টের সাথে যোগ করে বাকি যতটা প্রফিট রাখা আপনি সমিচিন মনে করেন যোগ করবেন।

যারা ক্রিয়েটিভ বিজনেস চালান-
🔸র-ম্যাটেরিয়াল বা কাচামালের খরচ(ফেব্রিক্স,খাবারের উপাদান বা কেমিক্যাল বা রং যা কিছু আপনার বিজনেসের কাচামাল সেটার প্রোডাক্ট প্রতি খরচ)
🔸ইলেক্ট্রিসিটি/গ্যাসের খরচ
🔸লজিস্টিকসের খরচ
🔸কর্মীদের বেতন
🔸যাতায়াত ভাড়া
🔸অনলাইনে সেল করলে ইম্টারনেটের খরচ+কাস্টমারের সাথে ফোনে কথা বলতে হলে ফোনের খরচ।
🔸কুরিয়ার বা ডেলিভ্যারিম্যানের খরচ
🔸শপ থাকলে শপের ভাড়া
🔸আপনি যে ম্যানেজমেন্টে সময় দিচ্ছেন সেটার পারিশ্রমিক
🔸কিছু আনুষাঙ্গিক সিস্টেম লসের জন্য একটা নূন্যতম মূল্য।


Sharmin Akter

আসুন একটি ছোট অঙ্ক করে দেখি, কিভাবে একটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করবো। ধরুন আমি একটি শার্ট বানিয়ে সেল করবো। আনুমানিক ধরুন

— প্রত্যেকটি শার্টের খরচঃ ১৮০-২২০ টাকা (নির্ভর করে কি পরিমাণ আমি বানাবো মোটামুটি এই টাকার মধ্যে আপনি ভালো একটি শার্ট পেয়ে যাবেন)

— প্রত্যেকটি শার্ট বিক্রির পিছনে মার্কেটিং খরচঃ ১০০ টাকা

— প্রত্যেকটি শার্ট বিক্রির পিছনে ইনভেন্টরি, লজিস্টিকস, ম্যানপাওয়ার খরচঃ ১০০ টাকা

— প্যাকেজিং খরচঃ ১০ টাকা

— ডিজাইন খরচঃ ৫০ টাকা

ডেলিভারি খরচ ঃ ১০০ টাকা

সর্বমোট খরচ ঃ ২২০ + ১০০ + ১০০+ ১০ + ৫০+১০০ = ৫৮০ টাকা। 
এবার আপনারাই বলুন কতো প্রাইজ ধরতে হবে


Tasnia Binte Rashid

আসসালামু-আলাইকুম।
পণ্যের মূল্য নির্ধারন ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এই কাজটাই সবচেয়ে কঠিন বলে আমার মনে হয়।কারণ পণ্য তো কাস্টমারের পছন্দ অনুযায়ী বানিয়ে দেয়া হয়,কিন্তু মূল্য নির্ধারনেই পড়তে হয় সমস্যায়।
যেহেতু আমি ক্রাফটিং করি তাই সে হিসেবেই আমি ব্যাখ্যা করছি।
যেকোনো ক্রাফটিং এর ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারনের জন্য প্রথমেই হিসেবে আসবে কাঁচামালের খরচ(পেপার ক্রাফটিংয়ে পেপার,গ্লু,বিভিন্ন আর্টিফিসিয়েল ফ্লাওয়ার,কাজ অনুযায়ী আরো অনেক কিছুই যোগ হবে)এটা সহজেই হিসেব করা যায়।
এরপর আছে পেপার ক্রাফটিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম মেশিন ইউজ করতে হয়(যেমন : বিভিন্ন রকম পাঞ্চ মেশিন,ডাই কাট মেশিন,আরো অনেক কিছুই)এই মেশিন গুলোর ব্যবহার অনুযায়ী একটা খরচ যোগ করা লাগে।
এরপর যে বিষয়টা হিসেব করতে হয় সেটাই আমার কাছে বেশী কঠিন মনে হয়।সেট হল শ্রম।ক্রাফটিংয়ের ক্ষেত্রে বলতে গেলে সময়টাই বেশী দিতে হয়।অনেকেই দাম শুনে বলে এহ সামান্য কাগজের জিনিস এত্তদাম।তাদেরকেবলব তারা শুধু কাগজটাই দেখেন,জিনিসটা বানাতে যে মাথা খাটাতে হয়,সময় দিতে হয় সেটা অনেকেই বুঝতে চায় না।আপনার শ্রমটাও কিন্তু হিসেব করতে হবে।
তাহলে বলা যায়,পণ্য তৈরীর কাঁচামাল,অনুসাঙ্গিক ব্যবহার্য জিনিস,আপনার শ্রম এই তিনটা বিষয় মাথায় রেখে আপনার লাভের অংশ হিসেব করেই আপনি পণ্যের মূল্য নির্ধারন করতে পারবেন।
ধন্যবাদ।


Arefeen Ahmed

আড্ডা পোস্ট ৪ জুন ২০২০

বিষয় : পণ্যমূল্য নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলো নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করুন।

পণ্যের মূল্য নির্ধারণ অনেক সেন্সেটিভ একটা ব্যাপার। পণ্যের মূল্য নির্ধারণের উপর একটি ব্যবসা বা উদ্যোগের সফলতা বা ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে। 

পণ্যের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে ।
যেমন :- 
Sourcing cost, Production cost , Transport cost Storage cost ,Marking cost, Delivery cost.

এগুলো ছাড়াও পণ্যের মূল্য নির্ধারণের বেশ কিছু কৌশল আছে যেগুলো ব্যবসার প্যাটার্ন অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়। 

যেমন ধরুন আপনি যদি কোনো পণ্য নিজে তৈরি করে বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কাঁচামাল কেনা, শ্রমিকের পারিশ্রমিক ও ডেলিভারি চার্জ এগুলোর ওপর নির্ভর করে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। তবে নিজে তৈরী করে পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিজনেস ফ্যাক্টর মাথায় রাখতে হয় কারণ পণ্য তৈরি করা এবং সেই পণ্য বাজারে বিক্রয় করা দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।

আবার ধরুন আপনি যদি হোলসেলার এর কাছে থেকে পন্য এনে বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য প্রোডাক্ট এর দাম ,প্রোডাক্ট নিজের ইনভেন্টরি মজুদের খরচ ও ডেলিভারি চার্জ এগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রোডাক্ট এর দাম নির্ধারণ করা ও ক্রেতার চাহিদা অনুসারে পণ্য সাপ্লাই দেবার ব্যাপারে আপনার কন্ট্রোল কমে যাবে। 

পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য আপনাকে অবশ্যই আগে একটি প্রফিট মার্জিন নির্ণয় করতে হবে। 

যেমন ধরুন আপনি যদি আপনার প্রফিট মার্জিন 30% রাখতে চান সেক্ষেত্রে আপনার পণ্যের টোটাল কষ্টের উপর 30% যোগ করে বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন।

বিষয়টি কিছু টা এরকম,

cost of product + 30% on cost price = selling price 

=tk.300 + (300×30%)
=tk.300 + tk.90
= tk.390

অর্থাৎ আপনার প্রোডাক্টের সেলিং প্রাইস হবে 390 টাকা।

পণ্যের মূল্য নির্ধারণে কিন্তু ওভার প্রাইসিং একটি বড় ফ্যাক্ট। আপনি যদি আপনার পণ্যের মানের চেয়ে সেল প্রাইস বেশি করেন তাহলে আপনার ধ্বস নিশ্চিত। 

আবার কোন পণ্যের মূল্য যদি বাজারদর থেকে কম রাখেন বা আন্ডার প্রাইসিং করেন সেক্ষেত্রে ক্রেতারা আপনার পণ্যের মান সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে পারে। 

আমি মনে করি পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য ওপরের বিষয়গুলোর সাথে মার্কেট রিসার্চ করাটাও অনেক প্রয়োজন ।


Mou Mahjabeen

প্রোডাক্টের প্রাইজ বা পণ্যের দাম কতো হবে সেটার অনেকটাই নির্ভর করে প্রোডাক্টটির পেছনে আপনার কত খরচ হয়েছে সেটার উপর। তাই কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন সেটা ঠিক করার জন্য প্রোডাক্টটি তৈরী করতে বা সংগ্রহ করতে কেমন খরচ পড়বে সেটার উপর আপনি কিভাবে দাম নির্ধারণ করবেন তা পর্যালোচনা করে দেখা জরুরি। 

১. কাঁচামাল খরচ ঃ প্রোডাক্ট কাঁচামাল কেনার যা খরচ হয়, তা হিসাবে খাতায় তালিকা রাখলেন, অথবা প্যাকেটের গায়ে পার্মানেন্ট কলম দিয়ে লিখে রাখতে পারেন, পরবর্তীতে দাম নির্ধারণ সহজ হয়।
এতে আপনার পুরো প্রোডাক্ট তৈরী করতে কত খরচ হলো আবার লাভ ক্ষতি হিসাব টাও রাখা যায়।

২. পরিবহন খরচঃ আপনার প্রোডাক্ট কাঁচামাল সংগ্রহ করবেন। সেটা কোন কুরিয়ার অফিস থেকে সংগ্রহ করেন আবার পাইকারি ভাবেই সংগ্রহ করেন না কেন যাতায়াত খরচ টাও আপনার বিজনেস এর সাথে এড হবে। যাতায়াত খরচ টা আপনার প্রোডাক্ট এ সাথে এভারেজ এ এড করতে হবে।

৩. মেধা, শ্রম ও সময়ের মূল্য ঃ আপনার একটা প্রোডাক্ট এ ডিজাইন তুলছেন, সেখানে আপনি আপনার মেধা/বুদ্ধি খাটাচ্ছেন, শ্রম দিয়ে কাজ করছেন, আর মেধা আর শ্রম কে সাথে নিয়ে লম্বা সময় নিয়ে একটা পারফেক্ট প্রোডাক্ট দাড় করালেন। এই প্রোডাক্ট দাড় করানোর আগে কতবার খুলে আবার রিম্যাক করতে হচ্ছে! ফিনিশিং করে পন্য রেডি করছেন। কোন কোন সময় একটা পণ্য রেডি করে সারাদিন পার হয়ে যাচ্ছে। সেটার কি কোন মূল্য দেবেন না? আপনার দেয়া মেধা শ্রম সময়ের একটা নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

Mou Mahjabeen

৪. দোকান বা শো-রুম থাকলে তার খরচঃ আমরা যেহেতু অনলাইন এ কাজ করি, আর বাহ্যিকভাবে কাজ করার জন্য প্লেস দরকার, যেটাকে আমরা আমাদের কর্মস্থল বা অফিস বা বাসার রুম যেভাবেই বলি না কেন, সেটার একটা আলাদা এবং নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করা উচিত। 

৫. মার্কেটিং খরচ ঃ মার্কেটিংয়ের ৪নং থিওরিকে ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং বলে। 
4Ps বলতে Product, Price, Place ও Promotion-কে বুঝায়। ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিংয়ের বিজ্ঞাপন চ্যানেলগুলো হলো- টিভি-রেডিও বিজ্ঞাপন, ট্রেড ফেয়ার, মুদ্রিত বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। এখনও ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং একটি গ্রহণযোগ্য বিজ্ঞাপন মাধ্যম, কিন্তু কার্যকারিতার তুলনায় এটি এর ডিজিটাল মার্কেটিং চেয়ে পিছিয়ে। তাই এখনকার মার্কেটারেরা ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।
🍂 পণ্য : ভোক্তাসাধারণ কি চাচ্ছে, তাদের চাহিদা কোথায়, পণ্য
Tahmina Chowdhury

আ‌মি merchandising ছিলাম, আমারা যখন পোষা‌কের মুল্য নির্ধারণ কনতাম তখন মে‌কিং চার্জ ধরতাম (SMV) Standart munite value এর উপর, কিন্তু নি‌জে যখন নামলাম কাজ কর‌তে তখন দেখলাম এই চার্জ ধর‌তেই পার‌ছি না, নি‌জের শ্রম ও সম‌য়ের মুল্য পু‌রোপু‌রি বাদ দি‌তে হ‌চ্ছে


Tahura Sultana Rekha

আড্ডা পোস্ট ৪ জুন ২০২০।

বিষয়ঃ পণ্যমূল্য নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করুন। 

আমি যেইভাবে পণ্যের দান নির্ধারণ করি তা শেয়ার করলাম।

১/প্রথমে পণ্যের কাচামালের দাম।
২/যাতায়াত খরচ পণ্য আনা নেওয়ার। 
৩/ইন্টারনেট এর জন্য মাসিক নির্দিষ্ট একটা একাউন্ট এমবি কেনার।
৪/পণ্যের প্যাকেজিং এর জন্য আলাদা একটা এমাউন্ট।
৫/যেহেতু আমার কুরিয়ার সার্চ ফ্রী তাই ওই হিসেবে অল্প কুরিয়ার খরচ এড করি।
৬/ নিজের পারিশ্রমিক হিসেবে অল্প টাকা মাসিক বেতন হিসেবে হিসেব করি😁
৮/ আমি প্রত্যেক টা কাস্টমারকে গিপ্ট করি পণ্যের সাথে তাই ওইটার জন্য আলাদা একটা একাউন্ট এড করি।

সব মিলিয়ে যা আসে এইটা টোটাল হিসেব করে যত পার্সেন্ট লাভ করতে চাই ওইটা বাইর করি।

এইভাবেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করি।


S M Mehdi Hassan

সবাইকে আজকের আড্ডায় স্বাগতম। পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে টার্গেট কাস্টমার। অর্থাৎ আপনার পণ্যের সম্ভাব্য ক্রেতা কারা? তাদের জীবন-যাত্রা, আয় কেমন? এগুলো বিবেচনা করতে হবে? যদি পণ্যটি ৩০ বছর বা তার কম বয়সী তরুণ-তরুণীদের জন্যে হয় তাহলে তার দাম বেশি রাখা যাবে না কারণ এ সব তরুণ-তরুণীদের আয় খুবই সীমিত। তারা অধিক দাম দিতে পারবে না। আবার যদি চাকুরিজীবিদের জন্যে হয় তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার। 

এসব কারণে পণ্যের দাম নির্ধারণ করার আগে মার্কেট স্টাডি করা উচিত। যদি অন্য কোন প্রতিষ্ঠান একই জাতের পণ্য বিক্রি করছে সেগুলো দেখা উচিত। মার্কেটে গিয়ে বিক্রেতাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে হবে। 

তবে প্রথম বারেই যে উদ্যোক্তা একদম সঠিক দাম নির্ধারণ করবে তা কিন্তু হবে না। সে ভুল করবে, ভুল থেকে শিখবে, আস্তে আস্তে সময় ও অভিজ্ঞতার সাথে সে এটা বুঝতে পারবে। আমি বলব পণ্যের মূল্য নির্ধারণ একটা চলমান বিষয়। ক্রেতার অবস্থা, সংখ্যা, জীবনযাত্রা, দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের ফলে পণ্যের দাম ওঠানামা করতে পারে। 

যদি আমরা গ্রামীণফোন কোম্পানির দিকে তাকাই। ২০০১, ২০০২ সালের দিকে যখন বাংলাদেশে মোবাইল ফোন অপারেটর বেশি ছিল না তখন গ্রামীন ফোনের কলরেট অনেক বেশি ছিল। ফোনে বেশি কথা বলা যেত না। এরপরে ২০০৫ সালে বাংলালিঙ্ক আসার পরে কলরেট কমতে থাকে এবং এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে মোবাইল কোম্পানি গুলো আর টকটাইম দিয়ে টাকা আয় করে না। তারা এখন ডাটা বিক্রি করে টাকা আয় করে। কারণ মানুষ ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার, স্ন্যাপচ্যাট এর মাধ্যমে ফ্রি কল দেয়। এই অবস্থায় গ্রামীণফোনের কলরেট বেশি রাখলে তারা কিন্তু বাজার হারাবে।


Rajib Saha

আসসালামু আলাইকুম ভালো আছেন সবাই আজকের আড্ডা পোষ্টে স্বগতম সকলকে। আজকের আড্ডা পোষ্টের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন উদ্যোক্তার জন্যে। আমার দৃষ্টিকোন থেকে পল্যের মূল্য নির্ধারনের জন্য যে বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত তা হলো। আমাদের দেশে হরহামেশাই দেখা যায় একই প্রোডাক্টের দাম একেক অনলাইন শপে একেকরকম। বেশিরভাগ অনলাইন ব্যাবসায়ী সব দিক চিন্তা না করে নিজের মনের মতো একটা দাম ঠিক করে থাকেন। অনুমান করে দাম ঠিক করার বড় অসুবিধা হলো সব রকম কস্ট ফ্যাক্টর প্রোডাক্টদের দামের মধ্যে যুক্ত হয় না, ফলে অনেকসময় এমন হতে পারে যে আপনার বিজনেস পরিচালনার খরচই উঠে আসছে না। প্রোডাক্ট সোর্সিংয়ের খরচ এবং প্রোডাক্টের দাম নির্ধারণের ব্যাসিক কিছু কৌশল জেনে নিন এই আর্টিকেল থেকে।

প্রোডাক্টের দাম বা বিক্রয়মূল্য কতো হবে সেটার অনেকটাই নির্ভর করে প্রোডাক্টটির পেছনে আপনার কত খরচ হয়েছে সেটার উপর। তাই কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন সেটা ঠিক করার জন্য প্রোডাক্টটি তৈরী করতে বা সংগ্রহ করতে কেমন খরচ পড়বে সেটা পর্যালোচনা করে দেখা জরুরি। মূলত দুইভাবে প্রোডাক্ট সংগ্রহ করা যাবে:

• নিজে তৈরী করা: আমাদের দেশে অনলাইন সেলারদের মধ্যে যারা ক্র্যাফট বা ঘর সাজানোর জিনিস নিয়ে কাজ করেন তারা নিজেরা প্রোডাক্ট উৎপাদন করে থাকেন। এখানে মূল খরচ হচ্ছে কাঁচামাল কেনা, শ্রমিকের পারিশ্রমিক ও ডেলিভারি চার্জ।

• হোলসেলার বা সাপ্লাইকারীদের থেকে সংগ্রহ করা: আমাদের দেশে হোলসেলারদের থেকেই বেশিরভাগ অনলাইন ব্যবসায়ী প্রোডাক্ট সোর্স করে থাকেন। এখানে মূল খরচ হচ্ছে প্রোডাক্টের দাম, প্রোডাক্ট নিজের ইনভেন্টরিতে মজুদের খরচ আর ডেলিভারি চার্জ।
প্রোডাক্টের পেছনে আপনার খরচের পাশাপাশি কিভাবে আপনি প্রোডাক্টটি সোর্স করছেন তার উপর অনলাইন বিজনেসের সফলতা অনেকখানি নির্ভর করে। যদি আপনার ট্যালেন্ট ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকে তাহলে নিজে প্রোডাক্ট তৈরী করে অনলাইনে বিক্রি করলে আপনার কাস্টমার থেকে পণ্য এবং আপনি নিজে প্রশংসা পাবেন। নিজে প্রোডাক্ট উৎপাদন করলে কতগুলো বানাবেন, দাম কত রাখবেন, প্রোডাক্টের গুণগত মান কেমন হবে সেগুলো সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। টি-শার্ট, ঘর সাজানোর জিনিস, ছেলে/মেয়েদের ড্রেস এই ধরণের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চাইলে নিজে উৎপাদন করা সম্ভব। তবে নিজে উৎপাদন করলেও কিছু বিজনেস ফ্যাক্টর অবশ্যই মাথায় রাখা জরুরি:

• আপনার কাঁচামাল কার থেকে সংগ্রহ করবেন এবং সেগুলো কিভাবে সংগ্রহ করবেন?
• কাঁচামালের দাম কত পড়বে আর কাঁচামালের দামের উপর তৈরী করা প্রোডাক্টের দামের কতটা প্রভাব থাকবে?
• প্রোডাক্ট তৈরী করতে কত সময় লাগে? মার্কেট চাহিদা অনুযায়ী আমি প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরী করতে পারবো তো?
• যদি কাস্টমার কাস্টম বানিয়ে দিতে বলে তাহলে ঠিকভাবে দিতে পারবো তো?


Shanta Rahman

আড্ডা পোস্ট ৪ জুন ২০২০
বিষয় পন্য মূল্য নির্ধারনে বিবেচ্য বিষয়গুলো নিয়ে বিশদভাবে আলচনাঃ
পন্য মূল্য হচ্ছে সেই মূল্য যে মূল্যে একজন বিক্রতা তার পন্যকে ক্রেতার নিকট উপস্থাপন করে।
পন্যের মূল্য নির্ধারন করার পদ্ধতি সাধারনত দুইটি।
১)মূল্যমান পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতিতে ক্রেতা পন্যটি ক্রয় করে তা থেকে যে পরিমান ভ্যালু পাবে অর্থ্যাৎ সুবিধা ভোগ করবে তার ওপর ভিত্তি করে পন্যের মূল্য নির্ধারন। এটা সাধারনত বড় বড় ব্র্যান্ড ভ্যালু সম্পন্ন কোম্পানি গুলো এ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। আমাদের দেশে এ পদ্ধতির ব্যবহার নেই বললেই চলে। 
২) ব্যয় পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতিতে পন্যের উৎপাদন বা ক্রয় খরচ এর সাথে অন্যান্য যাবতীয় খরচ যোগ করে তার সাথে শতকরায় লাভ যোগ করে পন্যের মূল্য নির্ধারন করা হয়। এ পদ্ধতিই আমাদের দেশে ব্যবহার করা হয়।
✅বিবেচ্য বিষয়ঃ
১) উৎপাদন সম্পৃক্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ খরচ।
যেমন- কাঁচামাল খরচ, কারখানা খরচ, শ্রমিক খরচ, বিদ্যুৎ খরচ ইত্যাদি।
২)যাতায়ত খরচ। 
৩)কর্মচারী খরচ।
৪)শক্তি খরচ।
৫)সময় খরচ।
৬)পরিবহন খরচ।
৭)ডোমেইন খরচ, ইন্টারনেট বিল (যদি আপনি ই-কমার্স উদ্যোক্তা হোন)
৮)দোকান খরচ (যদি অাপনার দোকান থাকে)
৯)বিজ্ঞাপন খরচ।
১০)সম্ভাব্য ঝুঁকি খরচ।
১১)লাভ অন্তর্ভুক্তকরন ইত্যাদি।


Deepika Chakraborty

পণ্যমূল্য নির্ধারণ এ যে কটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ এগুলো কিছুটা পণ্যের ধরণের উপর নির্ভর করে।তারপর ও কমন কিছু বিষয় তুলে ধরছি।

*সোর্সিং এর খরচঃমোবাইল ও যাতায়াত ইত্যাদি বাবদ খরচ হয় এক্ষেত্রে

*কাঁচামাল খরচ

*পণ্য প্রস্তুত করতে শ্রমিকের মজুরি।নিজে প্রস্তুত করলেও নিজের শ্রমের মূল্য নির্ধারণ করতে হয়।

*পণ্য কারখানা থেকে আনানোর খরচ

*স্টক করার কারণে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে আপনার অর্থ খাটাচ্ছেন। তাই এক্ষেত্রে সময় কেও অর্থমূল্যে কনভার্ট করতে হয়।

*তারপর অনলাইন এ বিজনেস করলে যোগ হয়,ওয়াইফাই বিল,পেজ/গ্রুপ মেন্টেইন করার খরচ,মোবাইল চার্জ ইত্যাদি।

*পণ্য প্রস্তুতিতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করলে ইলেক্ট্রিসিটি বিল।গ্যাস ব্যবহার করলে গ্যাসের বিল।

*পণ্যের জন্য অফলাইন প্রচারণা করলে তার খরচ।দোকান থাকলে দোকানের খরচ।বিজনেস এর জন্য কোন ফার্নিচার,প্রোডাক্ট কিনতে হলে তার খরচ।

সব খরচের একটা শতকরা ভাগ, তা যত ছোট ই হোক পণ্যের মূল্যে এড করলে তা হয়ে উঠে আদর্শ প্রাইস।এতে ক্রেতা, বিক্রেতা উভয়ের উপকারে আসে।

বিক্রেতাকে লোকসান গুণে বিজনেস গুটিয়ে নিতে হয়না।ক্রেতা ও একটা মানসম্মত পণ্য পেয়ে যান,সঠিক দামে। 


Amina Binte Zia

প্রথমটা হল প্রোডাক্টের ভ্যালু এড করা।আপনি যদি ভাল প্রাইস চার্জ করতে চান তাহলে আপনাকে কাস্টমার কেয়ার এক্সট্রা ভ্যালু অ্যাড করে প্রোডাক্টে দিতে হবে। আপনি যা সেল করছেন তা অন্য কেউ একই জিনিস হয়তো সেল করছে আপনি কিভাবে আলাদা হবেন?আপনাকে আপনার সেই রেগুলার প্রোডাক্ট এর সঙ্গে এক্সট্রা ভ্যালু এড করতে হবে যা কাস্টমারকে কমফোর্ট দিবে অথবা এক ধরনের স্যাটিসফ্যাকশন দিবে। তাহলে আপনি একটা ভ্যালু অ্যাড করতে পারবেন। আর যখন আপনি ভ্যালু এড করতে পারবেন তখনই আপনি আপনার পছন্দমত প্রাইস ধরতে পারবেন। কারণ মার্কেটে হয়তো অন্য কেউ সেম প্রোডাক্ট দিচ্ছে কিন্তু সিম্বেল এড করছে না যেটা আপনি আপনার ক্রেতাকে দিচ্ছেন তাহলে প্রাইস একটু বাড়ালে সমস্যাই বা কোথায়?


Amina Binte Zia

দ্বিতীয়তঃ আপনি আপনার ক্রেতা এবং তাদের বাজেট সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা রাখুন। ধরেন কেউ ফেরারী বানায় আবার কেউ প্রবক্স বানায়। ফেরারি কোম্পানির কাস্টমার হলো খুবই কম এবং লাক্সারি লাইফ লিড করে এমন লোক যাদের বাজেট অনেক বেশি হাই থাকে এবং প্রবক্স কোম্পানির টার্গেট অডিয়েন্স হল মধ্যবিত্ত অথবা উচ্চ মধ্যবিত্ত ক্রেতারা যারা সংখ্যায় অনেক বেশি থাকে কিন্তু বাজেট অনেক কম। আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি কোন ধরনের ক্রেতাকে টার্গেট করছেন।আপনার অডিয়েন্স টার্গেট কি সংখ্যায় কম এবং বাজেট বেশি নাকি সংখ্যায় অনেক বেশী এবং তাদের বাজেট কম। সেই ভাবে আপনাদের প্রোডাক্ট তৈরি করতে হবে এবং প্রোডাক্ট প্রাইস ইন করতে হবে।


মাদিহা মৌ

পণ্যের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে যা যা করণীয়

অনলাইন ব্যবসায় অনেকেই একটা ভুল স্ট্র‍্যাটেজি অনুসরণ করছেন। আর তা হলো, বিচার বিবেচনা না করে, সঠিক উপায় অবলম্বন না করে, দুম করে একটা দাম নির্ধারণ করা। 
কেউ হয়তো দামটা সঠিক হিসেবের চেয়ে কম নির্ধারণ করছেন, কেউ করছেন বেশি। এতে করে কিন্তু আপনি নিজের ক্ষতি তো করছেনই। সেই সাথে অন্যান্যদের বাজার নষ্ট করছেন, তা কি জানেন? 

ব্যবসা আর উদ্যোগের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে৷ 

ব্যবসা হলো, উৎপাদক বা তার পরের কোনো মাধ্যমের কাছ থেকে পণ্য পাইকারি দরে এনে বিক্রি করা। 

আর উদ্যোগ হলো, পাইকারি দরে কাঁচামাল কিনে তা সৃজনশীল প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত করে তার পর বিক্রয় করা। 

‘উদ্যোগ’ বিষয়টি সর্বপ্রথম উত্থাপন করেন ক্যানটিলন। ক্যানটিলন -এর দেওয়া উদ্যোক্তার সংজ্ঞাটি হলো: ‘উদ্যোক্তা হচ্ছেন একজন প্রতিনিধি, যিনি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট মূল্যে উপকরণসমূহ সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে পণ্য প্রস্তুত করেন, যার বিক্রয়মূল্য অনিশ্চিত।’

তাই উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণে কিছু সাধারণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলো হলো

১. কাঁচামালের খরচ।
২. পরিবহন খরচ।
৩. নতুন কোনো ডিজাইন আবিষ্কার করলে সেই ডিজাইনের একটা দাম।
৪. পরিশ্রম ও সময়ের মূল্য।
৫. মার্কেটিং খরচ।
৬. প্যাকেজিং খরচ।
৭. লাভের হার।
৮. দোকান বা শো-রুম থাকলে তার খরচ। শুধু অনলাইন সেলারদের ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য যেটুকু জায়গা বরাদ্দ থাকে, তার ভাড়ার খরচ। 
৯. বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, মোবাইল বিল সহ অন্যান্য বিল বা ভাড়া। 

এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। 

এই খরচগুলো ছাড়াও সমজাতীয় পণ্যের বাজারমূল্য বিশ্লেষণ ও বিবেচনা করতে হবে। এই ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করি৷ 

মনে করুন, আপনি যে পণ্য বিক্রি করছেন, একই পণ্য অন্য আরেকজন তার পেজে বিক্রি করছে আপনার চেয়ে কম দামে। আপনি উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করেই দাম নির্ধারণ করেছেন। তবুও কী করে আপনার চেয়ে কম দামে প্রায় একই ধরনের পণ্য দিচ্ছে সেই পেজের সত্ত্বাধিকারী? এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ব্যাপার ঘটতে পারে। তারা হয়তো আপনার চেয়ে কম দামে কাঁচামাল সংগ্রহ করছে। কিংবা আপনার চেয়ে কম খরচে অন্যান্য কাজগুলো করিয়ে নিচ্ছে। অথবা আপনার চেয়ে লাভের মার্জিন কম ধরেছে।

একই ঘটনা বিপরীতভাবে ঘটতে পারে দাম বেশি ধরা কোনো পেইজের ক্ষেত্রে। তারা হয়তো আপনার চেয়ে বেশি দামে কাঁচামাল সংগ্রহ করছে। কিংবা আপনার চেয়ে বেশি খরচে অন্যান্য কাজগুলো করিয়ে নিচ্ছে। অথবা আপনার চেয়ে লাভের মার্জিন বেশি।


Amina Binte Zia

তৃতীয়তঃ আপনি এখন আপনার বিজনেস এর কোন স্টেজে আছেন তা বুঝা?আপনি যদি নতুন হন তাহলে আপনার প্রাইসিং একরকম হবে এবং আপনি যদি কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন এরকম হয় তাহলে প্রাইসিং অন্যরকম হবে।ধরেন আমি যদি আপনার ক্রেতা হই এবং আপনি যদি নতুন মার্কেটে আসছেন তাহলে অবশ্যই আপনার কাছ থেকে আমি কম দামে প্রোডাক্টটি প্রত্যাশা করব। কেন? কারণ হলো আমি জানিনা আপনি মার্কেটে থাকবেন কিনা যদি না থাকে তাহলে আমি পরবর্তী ফিডব্যাক গুলো অথবা পরবর্তী সার্ভিসিং গুলো কার কাছ থেকে করাবো? কিন্তু আপনি যদি কয়েক বছর ধরে মার্কেটে আছে তাহলে আপনাকে কাছ থেকে আমি বেশি দাম হলেও কিনব কারণ আপনি অনেকদিন ধরে মার্কেটে থাকার কারণে অভিজ্ঞতা আছে এবং আপনি হঠাৎ করে মার্কেট থেকে গায়েব হয়ে যাবেন না।তারমানে আমার সার্ভিসিং অথবা কোন হেল্প দরকার হলে আপনাকে পাব।তাই আপনার কাছ থেকে আমার একটু বেশি দাম দিয়ে কিনতে আপত্তি হবে না। অতএব আমাদেরকে প্রাইসিং ঠিক করার সময় আমরা বিজনেসের কোন স্টেজে আছি সেটা মাথায় রেখে প্রাইসিং করতে হবে।


Shathi Shahida

ই-কমার্স ইন্ড্রাস্টিতে বিজনেসের মান ধরে রাখতে পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে হবে সঠিকভাবে।

কস্টিং প্রাইস বেশি হলে বায়িং প্রাইস বেশি হবে কিন্তু পণ্যের মানের সাথে কোন রকম কম্প্রোমাইজ করা যাবে না।তাই বলে ইচ্ছামত প্রাইস ধরা যাবে না।মার্কেট পর্যবেক্ষণ করে নির্ধারণ করতে হবে।

আবার একই পণ্যের একাধিক সেলার থাকবে কিন্তু সবার পণ্যর মূল্য এক হবে না।ট্রান্সপোর্ট খরচ,কারিগর খরচ ইত্যাদির ভাত্তিতে মূল্য নির্ধারন হবে।

তারপর কাস্টমার সার্ভিস ভালো হতে হবে।ভালো কাস্টমার সার্ভিসের মাধ্যমে ক্রেতার মনে জায়গা করে নেয়া যায়। আর কাস্টমার ভালো জিনিস ভালো সার্ভিসে পেলে পণ্যের দাম নিয়ে চিন্তা করেনা পরম শান্তিতে রিভিও কাস্টমার হয়ে যায়।


Amina Binte Zia

চতুর্থত সব সময় একটা টেস্ট করুন নিজের প্রাইসিং নিয়ে। কিভাবে?আপনি যদি নতুন শুরু করে থাকেন তবে আপনি একটা প্রাইস ধরার পর আপনার কাস্টমার কিরকম ফিডব্যাক দেয় সেটা লক্ষ্য করুন।আপনি যদি অল্প ট্রফিতেও ব্যবসা টা শুরু করে থাকেন কিন্তু আপনি আপনার বেস্ট টা দিচ্ছেন কাস্টমারকে তাহলে যথাসম্ভব কাস্টমার এর কাছ থেকে সেই ফিডব্যাক গুলো নিন। তাদের রিভিউগুলো কালেক্ট করুন। এরপর একটা টাইম নির্দিষ্ট করে প্রাইস নির্ধারণ করতে পারেন। আপনার প্রোডাক্ট প্রাইস নিয়ে কন্টিনিউয়াসলি পরীক্ষা চালায় যেতে হবে।আপনি যদি ভাল ফিডব্যাক পান এবং ভ্যালু অ্যাড ভালো হয় এবং রিভিউ ভালো পাচ্ছে তাহলে দাম বাড়াতে ভয় পাবেন না এবং সর্বদা পরীক্ষা চালাতে থাকুন।


Rubi Afroz

সব খরচ এর দাম হিসেব করলে পন্যের যে দাম হবে তা ২০% মানুষ কিনতে পারলেও ৮০% মানুষের সাধ্যের বাহিরে যাবে বা তারা কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।তাই দাম নির্ধারণ এর ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।তাহলে কি লস দিয়ে সেল করবো? 
না অবশ্যই না।এক্ষেত্রে আমার হিসাব টা হচ্ছে 

১/যেহেতু ঢাকাতে থাকি তাই গ্যাসের বিল প্রতি মাসে ৯৭৫ এমনি তেই দিতে হবে।তাই এই বিল টা আমার ক্রেতার কাছ থেকে না নিলেও চলবে।
২/ওয়াইফাই বা নেট আমি এমনিতেও আগেও নিতাম।তখন ওটা অকাজে ব্যায় হতো আর এখন কাজে ব্যবহার হয়।তাই এই খরচ টাও আমি না নিলেও পারি।
৩/আমি যেমন আচার নিয়ে কাজ করি তাই আমি কাচামাল আমার কাছাকাছি বাজার থেকে সংগ্রহ করার চেষ্টা করি।যেখানে যেতে হয়তো পরিবহন খরচ ৪০ টাকা যেত,সেখানে আমি হেটে যাই।কাজেই আমি একটু কষ্ট করি কিন্তু এই খরচ টা কাস্টমার এর কাছ থেকে না নিলেও পারি।
এরকম আরও অনেক ক্ষেত্রে আমি চেষ্টা করি নিজে একটু কষ্ট করে কাস্টমার কে মানসম্মত,স্বাস্থ্যসম্মত, ভালো পন্য দেয়ার চেষ্টা করি তার সাধ্যের মধ্যে।


Joya Bhowmick

পন্যের মূল্য নির্ধারনে প্রথমে যে বিষয়টি প্রভাব ফেলে তা হল-পন্যের উৎপাদনের মোট খরচ। এর মধ্যে আসবে-
কাঁচামালের খরচ,শ্রমিকের মজুরি,বৈদ্যুতিক বিল,পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া, মার্কেটিং খরচ,প্যাকেজিং খরচ। পন্য নিজে তৈরি করলেও নিজের শ্রম ও সময়ের মূল্য ধরতে হবে। ডেলিভারি চার্জ ফ্রি দিলে তার কিছু অংশ পন্যের দাম এর সাথে যোগ করতে হবে।
এই মোট খরচ যত কমিয়ে আনা যায় পন্যের দাম ও তত কম নির্ধারন করা যায় বা মুনাফা বাড়ানোর সুযোগ থাকে। তবে পন্যের গুনগত মান এর সাথে আপোষ করা যাবে না।

দ্বিতীয়ত, মুনাফা কত শতাংশ করা হবে তার উপর দাম নির্ভর করে। অনেকে বেশি মুনাফা লাভ করে কম প্রোডাক্ট সেল করতে চান আবার অনেকে কম মুনাফা লাভ করে বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে চান। সবদিক বিবেচনা করেই দাম নির্ধারন করতে হবে।
অধিক মুনাফা লাভের আশায় খুব বেশি দাম বা অধিক সেল এর আশায় খুব কম দাম দুটিই ব্যবসার জন্য বিপদজনক।


সানজিদা ইসলাম

প্রথমে টার্গেট ক্রেতার আয় সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকতে হবে। তারপর সেই অনুসারে মূল্য নির্ধারণ করা উচিত।পন্যের মান রক্ষা করতে গেলে খরচ বেশি পরে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতাও চিন্তা করতে হবে।আর তাছাড়া আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একজন নিজে উৎপাদনকারী এবং আরেকজন উৎপাদনকারী থেকে নিয়ে পন্য বিক্রি করেন দুইজনের ই পন্যের মূল্য নির্ধারণ আলাদা।তবে সব খরচ মাথায় রেখে পন্য মূল্য নির্ধারণ করা উচিত। এমনকি অবশিষ্ট রয়ে যাওয়া পন্য ও এই খরচে অন্তর্ভুক্ত।আর লভ্যাংশ যার যার নিজস্ব পদ্ধতি।কেউ ১পন্য এ লভ্যাংশ চিন্তা করে আর কেউ চিন্তা করে আমি ৫টা পন্য বিক্রি করবো ক্রেতার কাছে।


Mousumi Datta Mou

আড্ডা পোস্ট ৪ জুন ২০২০।

বিষয়ঃ পণ্যমূল্য নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো।

একজন ব্যবসায়ীকে অবশ্যই পন্য মূল্য নির্ধারণ সঠিক ভাবে করতে হবে। একজন উদ্যেক্তার জন্য পন্যেরমূল্য নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

১ম মতো উদ্যেগ শুরু করার জন্য আমরা যে কাঁচামাল সংগ্রহ করি সেটা পন্যেরমূল্য নির্ধারনের প্রথম পর্যায়ে আওতামুক্ত রাখতে হবে।
ডেলিভারি খরচ যোগ করতে হবে মূল্য নির্ধারণের সময়।
যাতায়াত খরচ যোগ করতে হবে মূল্য নির্ধারণের সময়।
পন্যের প্যাকেজিং খরচ যোগ করতে হবে।
ওয়াইফাই বিল, ইন্টারনেট বিল, বিদ্যুৎ বিল এগুলো সব যোগ করে পন্যের দাম নির্ধারিত হবে।
নিজের পারিশ্রমিক এর ও মূল্য নির্ধারিত হবে।
ফটোগ্রাফি,মডেল খরচ এগুলো ও যোগ‌ করে দাম নির্ধারণ করা হয়।
বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে দাম নির্ধারণ করা হয়।
পোশাকের ক্ষেত্রে হাতের কাজের পোশাক/হ্যান্ডপেইন্ট পোশাক ব্লক ড্রেস ইত্যাদি লনডিজাইন, নকশা এবং সেলাইয়ের কাজ যে কর্মী দিয়ে করানো হয়/যদি নিজে করা হয় তবে তাদের মজুরি অবশ্যই যোগ করতে হবে পন্যের মূল্য নির্ধারণের সময়।
পন্যের কখনো বাজারমূল্যের থেকে খুব কম/খুব বেশি রাখা অনুচিৎ।সেই দিকটা মাথায় রেখে সোর্সিং করতে হবে।
ভোক্তার মান অনুযায়ী ক্রয় ক্ষমতার সঠিক মূল্য যদি নির্ধারণ করা হয় তবে ক্রেতা সন্তুষ্ট হবে।আর ক্রেতা সন্তুষ্ট হওয়ার মানেই রিপিট কাস্টমার আসবে।
যদি পন্যের মূল্য মাত্রাতিরিক্ত রাখা হয় তবে কাস্টমার অসন্তুষ্ট হয়।
পরিবহন খরচ যোগ করতে হবে।
যে মূলধন বিনিয়োগ করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে পন্যের মূল্য নির্ধারণ করা দরকার।
আর একটা দিক লক্ষ্য রাখতে হবে একটা পন্য /একটা শাড়ি,থ্রী পিস এর ক্ষেত্রে প্রতিটি পন্যে যেন ২৫০-৩০০ টাকা প্রফিট থাকবে এমনভাবে দাম নির্ধারণ করতে হবে।

সর্বপরি অবশ্যই নিজের সময় এবং নিজের শ্রমের মূল্য যোগ করতে হবে।


আফসানা সুমী

পণ্যমূল্য নির্ধারণ একটি জটিল বিষয় আর এই একটা বিষয়ে ভুল হলেই যে কেউ বিশাল লসের সম্মুখীন হতে পারে, এমনকি তার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুধু খরচ নয়, বাজার মূল্যও গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসার শুরুতে ভুল সোর্সিং, ঠকে যাওয়াসহ নানান কারণেই খরচ বেশি হতে পারে, কিন্তু সে অনুযায়ী প্রাইসিং করা যাবে না। অন্যদের তাল মিলিয়েই প্রাইসিং করতে হবে। তবে নিজের খরচের হিসেবটা নিজের অন্তত রাখা চাই একদম শুরু থেকেই। হতে পারে কিছু খরচ শুরুর দিকে তিনি ধরবেন না, যেমন শ্রমের মূল্য নাও ধরা যেতে পারে কিন্তু যাতায়াত খরচ বাদ দেওয়া যাবে না। আবার বাসার কারেন্ট বিল নাও ধরতে পারেন কিন্তু প্যাকেজিং খরচ অবশ্যই ধরতে হবে। মানে নগদে যা খরচ হচ্ছে তা হিসেব করতে হবে। তবে আমি মনে করি শ্রমের মূল্যও ছোট করে ধরা জরুরি। বাজার মূল্যের সাথে তাল মিলাতে আপনার লাভ কমে আসবে, কিন্তু নিজেকে মূল্যায়ণ করা থেকে কখনোই সরে আসা উচিত নয় আর এই টাকা আপনার কাছেই আয় হিসেবে ফিরে আসে। 
যেমন: একটা শাড়ি কিনলেন। দাম ১০০০/-, যাতায়াত ২০০/-, শাড়িতে কিছু করা বা এর মার্কেটিং ছবি তোলা ইত্যাদি বাবদ নিজের শ্রমমূল্য ২০০/-, (ধরে নিচ্ছি কারখানা নেই নিজের বাসা, আপাতত এই খরচটুকু ধরলাম না যেহেতু ব্যবসা না করলেও বাসায় তো থাকতামই, তবে ব্যবসার জন্য বড় বাসা বা আলাদা রুম নিলে কিন্তু খরচ ধরতে হবে), নেট বিল ৫/-, প্যাকেজিং ৫০/-। তাহলে মোট খরচ ১৪৫৫/-। শাড়িটির বাজার মূল্য ১৮০০/-। এখন আপনি ৩৪৫/- লাভ ধরতে পারেন বা নিজের শ্রমমূল্য বাদ দিয়ে ৫৪৫/- টাকা লাভ হিসেবে ধরতে পারেন। ৩৪৫/- লাভ ধরলে ২০০/- আপনি রাখলেন পকেটে আর ৩৪৫/- আবার ইনভেস্টমেন্টে দিলেন। এই ২০০/- আপনার একান্ত আয়। এটা না নিলেও আপনি খরচ করবেনই, কারণ চলতে তো হবে। প্রডাক্ট আন্তে বের হয়ে এক কাপ চা তো খাবেন। এছাড়া বন্ধুকে একটা উপহার তো দিতে ইচ্ছে হতেই পারে বা টুকটাক খরচ থাকেই। এটা যখন আপনি না নেবেন তখন ব্যবসাটা এক্টা কৃষ্ণ গহবর মনে হবে, যেখানে ঢেলেই যাচ্ছি কিন্তু কিছু ফেরত পাচ্ছি না। অথবা আপনি আপনার প্রাপ্য থেকে বেশি খরচ করে বসবেন। 
যতদিন পর্যন্ত সোর্স ফিক্সড না হচ্ছে, কাচামালের সবচেয়ে ভালো ডিলার আপনি না পাচ্ছেন আপনার লাভ কম ধরতে হবে, শূণ্যও হতে পারে। আর নতুন ব্যবসায় ভুল খরচ বড় ব্যাপার, এগুলোও ভুল হতে হতে শিখে যাবেন। তখন এই ১৮০০/- টাকার মধ্যেই আপনি বিদ্যুত বিল ও অন্যান্য খরচ ধরতে পারবেন। এরপর যখন আপনি বেতন দিয়ে লোক রাখবেন তার খরচও যোগ করতে পারবেন 
:)
আমার মতো যারা নকশাকর, তাদের নিজের শ্রমমূল্য ধরাটা আরও বেশি জরুরি। নইলে কিছুদিন পর আত্মবিশ্বাস ভেংগে যায়। তাই নিজেকে পুরষ্কৃত করা থেকে কখনোই বিরত থাকবেন না। আপনি নিজের মূল্য না দিলে আপনাকেও কেউ মূল্য দিবে না। আর নতুন ব্যবসায় অদক্ষ্য আপনার শ্রমের মজুরি ২০০/- হলেও দক্ষতার সাথে সাথে নিজেই এর দামা বাড়াবেন, নিজের মূল্যায়ন করবেন সঠিকভাবে ❤


Farjana Yasmin Mousumi

আমি দেশীয় হাতের কাজের ওয়ান পিস, টু, পিস, থ্রি পিস ছাড়াও দেশীয় বিভিন্ন ধরনের সুতি,লোন থ্রিপিস নিয়ে কাজ করি।
পণ্যমুল্য নির্ধারনে আমি সর্বপ্রথম যেটি খেয়াল রাখি সেটা হলো ক্রয়মুল্য। কারণ, কেনা দামের উপর কাপড়ের গুনাগুন নির্ভর করে। কম দামের কাপড়ে কম লাভ ও বেশি দামের কাপড়ের গুনাগুন যেহেতু বেশি থাকে তাই একটু বেশি লাভ করা যায়। তারপর ক্রয় করার সময় যে খরচ আমার হয় আর যত পিচ কাপড় আমি ক্রয় করি সেটি দিয়ে ভাগ করে ক্রয় মুল্যের সাথে যোগ করি। 
এরপর কাপড়ের ক্রয়মুল্য ও গুনাগুনের উপর নির্ভর করে পণ্যমুল্য নির্ধারন করি। 
সবসময়ই আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখি সেটা হলো, পণ্য হাতে পাওয়ার পর ক্রেতার যেন কখনোই মনে না হয়, " এই পণ্যের এই দাম??" ক্রেতা যেন খুশি থাকে এবং বলে যে না মুল্য একদম ঠিক আছে, ঠকিনি।


Anika Alam

পণ্যের মূল্য নির্ধারণে যে বিষয়গুলো যোগ করতে হবে তা হলো: 
-> পণ্যর কাঁচামাল খরচ
-> পণ্যের গুণাগুণ
-> পণ্যের চাহিদা ও যোগান কেমন এটাও দেখতে হবে
-> পরিবহন খরচ
-> বিদ্যুৎ খরচ
-> পণ্যের ডিজাইন
-> শোরুম থাকলে শোরুমের খরচ
-> নিজের সময়ের মূল্য
-> শ্রমের মূল্য
-> শ্রমিক থাকলে সে খরচ 
-> অনলাইনে বিজনেস করলে ইন্টারনেট খরচ 
-> প্যাকেজিং খরচ
-> ডেলিভারী খরচ
-> এ সকল বিষয় যোগ করার পর কত পারসেন্ট লাভ করতে চান তা যোগ করতে হবে

পণ্য সঠিক মূল্য নির্ধারণ কঠিন কাজ। উপরোক্ত বিষয়গুলো যুক্ত করতে হবে এছাড়া আরো বিষয় থাকলে সেগুলোও যোগ করতে হবে।
এভাবে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। 

একি পণ্য বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে সে দাম থেকে বেশি কমালে ক্রেতা আপনার পণ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে এ কাজটা করা যাবে না। 

নিচের বিষয়টা উইয়ের অনলাইন আড্ডার পোস্ট থেকে জেনেছি : 
একটা পণ্যের খরচ ৫০০ টাকা সেটা ৫৫০ টাকায় বিক্রি করলে ব্যবসা করা যাবেনা। কমপক্ষে ১৫০ টাকা যোগ করতে হবে।


Bhabna Afrin Eshita

পন্যের দাম অবশ্যই সোর্সিং এর উপর নির্ভর করে রাখতে হবে।
আপনার সোর্সিং যেমন খরচ দায়ক হবে ঠিক তার উপর নির্ভর করে।

ধরুন ১হালি কলা আপনি আপনার ১ম সোর্সিং থেকে কিনলেন ৫টাকা দিয়ে সেক্ষেত্রে আপনার যাতায়াত খরচ ভাগ করবেন মোট কত হালি কলা কিনেছেন তার মাধ্যমে।
ধরুন আপনি ১০ হালি কলা কিনেছেন। আপনার যাতায়াত খরচ হলো ২০ টাকা।
তাহলে হালি প্রতি আপনার যাতায়াত খরচ যোগ হলো ২টাকা।তাহলে কলার মূল্য এখন ৭টাকা হালি।
এইবার আপনার কষ্ট অর্থাৎ নিজ বাজেটের মধ্যে কলাওয়ালা কে খুঁজে বের করা আবার তার সাথে সময় দিয়ে কথা বলে পন্য নেয়া সব মিলিয়ে আরো ৩টাকা যোগ হলো।
আবার আপনি পলিথিন কিনলেন কলা পলিব্যাগে দিবেন তাই।ধরলাম ০.৫টাকা এক্সট্রা খরচ।
মোট হলো ১০.৫টাকা।
এইতো গেলো খরচ।

এইবার আসি লাভের হিসাবে।যেহেতু কলার মূল মূল্য ছিল ৫টাকা আপনি সেই হিসবে লাভ যোগ করলেন ২টাকা বা ২.৫টাকা ।
অর্থাৎ এইবার কলার হালি হলো ১৩ টাকা😊।
এভাবে সব কিছু মাথায় রেখে পন্যের মূল্য রাখতে হবে।

আপনি ১ম শুরু করেছেন বা নতুন উদ্যোক্তা সেজন্যে সব পন্যের মূল্য অনেক কম ধরলেন অথবা আপনার প্যাকেজিং তেমন উন্নত না সেজন্যে আপনি কম ধরলেন, এতে সমস্যা এক সময় আপনার হবে।

কারণ আপনার যখন সেল বাড়বে স্বভাবতই আপনাকে হেল্পিং হ্যান্ড রাখতে হবে এবং তখন প্যাকেজিং ও উন্নত করতে হবে।
প্যাকেজিং খুব বেশি মূল্য যোগ হয়না তাই এক্ষেত্রে একটু বাড়ালেও আপনি কাস্টমার কে বোঝাতে পারবেন কিন্তু যখন আপনি লোক নিয়োগ দিবেন তখন স্বাভাবতই আপনার ১মের কম রাখা মূল্য টি বৃদ্ধি করতে হবে নয়তো আপনি হয় লসে পরবেন নয়তো নাম মাত্র লাভ থাকবে।
এই নাম মাত্র লাভ রাখলে কিন্তু আপনি খুব বেশিদিন উদ্যোগ টা ধরে রাখতে পারবেন না।
কারণ অনেক কষ্টের পরে যদি আপনি নিজের জন্যেই কিছু না রাখতে পারেন অথবা সামান্য রাখেন তাহলে আর ইচ্ছা থাকবেনা সামনে এগোনোর।

আবার বার বার বাজারের নিত্য পন্যের মতো আপনি মূল্যও বৃদ্ধি করতে পারবেন না😊।

সেজন্যে আগেই আবেগপ্রবণ হয়ে নাম মাত্র লাভ ভা সামান্য কিছু লাভ দিয়ে সেল করবেন এটা ধরে নিয়ে পন্যের মূল্য রাখলে পরে গিয়ে ভুক্তভোগী আপনাকেই হতে হবে এবং আপনার ব্রান্ডের নামও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এতে।
এটা আমার মতামত।


Tasmima Rahman

আড্ডা পোস্ট ৪জুন 
বিষয় : পণ্যমূল্য নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা

একজন ব্যাবসায়ীকে অবশ্যই অবশ্যই অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। মূল্য নির্ধারণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকেই অনেক রকম করে মূল্য নির্ধারণ করে নির্ধারণ থাকেন। তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যা পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সময় মূল্যের সঙ্গে এড না করলেই নয়। সেগুলো কিছু নিম্নে তুলে ধরা হলো :-

১. প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে আপনার পণ্য কেমন , পণ্যের মান কেমন। পণ্য অনেক জনপ্রিয় হোক বা না হোক। 

২. তারপর যেটা এটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে বাজারে আপনার পণ্যের ভ্যালু কতটুকু , এর উপরও পণ্যের মূল্য অনেকটা ডিপেন্ড করে। 

৩.পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সময় আরেকটি যে বিষয়ে লক্ষ্য দিতে হবে সেটা হলো সকল প্রকার যাতায়াত। মানে পণ্যটা উৎস হতে আপনার কাছে আসতে কতটুকু যাতায়াত খরচ হলো আবার আপনার নিকট হতে কাস্টমারের নিকট যেতে কত খরচ হবে সব মিলিয়ে মূল্য এডজাস্ট করতে হবে। 

৪. এইসব কিছু করতে আপনাকে তো আপনার শ্রম ব্যায় করতে হয়েছে সেক্ষেত্রে আপনার একটা তো এর মধ্যে আছেই। তারপর যদি এক্ষত্রে আপনার কোনো হেল্পার থেকে থাকে তারও একটা অংশ থেকেই যায়। এগুলোকেও তখন আপনার নির্ধারিত মূল্যের মধ্যে বিবেচিত হতে হবে। 

৫. আর পণ্য যদি আপনি সোর্সিং করেন তাহলে তো কথা ই নেই। আপনার যেমন শ্রম তো আছেই সঙ্গে জ্ঞান , ধৈর্য্য , অক্লান্ত পরিশ্রম ইত্যাদি সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে এগুলোর জন্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। 

৬.তারপর আসছে প্যাকেজিং খরচ। এক্ষেত্রেও আপনি খরচ করেছেন যেহেতু খরচ করেছেন সেহেতু যেমনেই হোক টাকা উসুল করতে হবে। হি হি হি 

৭. যদি আপনার শপ থেকে তাহলে তো আরিব্বাস সে আরেক নুতন ধান্দা। চিন্তা করেন সঙ্গে তাহলে আরও কত কী অ্যাড করা যায়। তাই না ?

সত্যি বলতে আর পারছি না চোখ খোলা রাখতে। ৭টা থেকে আড্ডা তে থেকে আড্ডা পোস্ট আর দিতে পারিনি। এটা শেষ না করে ঘুমুতেও পারবো না কি যে জ্বালা!!!! ভাই - বোন যে বা যারা এটা দেখবেন সরি পড়বেন আরকি কোনো ভুল গেলে বুঝে নিয়েন পিলিজ। চোখ পুরা ঝাপসা। শুভরাত্রি উঃ সরি সরি সুপ্রভাত। 


Tasmima Rahman

আড্ডা পোস্ট ৪জুন 
বিষয় : পণ্যমূল্য নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা

একজন ব্যাবসায়ীকে অবশ্যই অবশ্যই অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। মূল্য নির্ধারণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকেই অনেক রকম করে মূল্য নির্ধারণ করে নির্ধারণ থাকেন। তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যা পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সময় মূল্যের সঙ্গে এড না করলেই নয়। সেগুলো কিছু নিম্নে তুলে ধরা হলো :-

১. প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে আপনার পণ্য কেমন , পণ্যের মান কেমন। পণ্য অনেক জনপ্রিয় হোক বা না হোক। 

২. তারপর যেটা এটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে বাজারে আপনার পণ্যের ভ্যালু কতটুকু , এর উপরও পণ্যের মূল্য অনেকটা ডিপেন্ড করে। 

৩.পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সময় আরেকটি যে বিষয়ে লক্ষ্য দিতে হবে সেটা হলো সকল প্রকার যাতায়াত। মানে পণ্যটা উৎস হতে আপনার কাছে আসতে কতটুকু যাতায়াত খরচ হলো আবার আপনার নিকট হতে কাস্টমারের নিকট যেতে কত খরচ হবে সব মিলিয়ে মূল্য এডজাস্ট করতে হবে। 

৪. এইসব কিছু করতে আপনাকে তো আপনার শ্রম ব্যায় করতে হয়েছে সেক্ষেত্রে আপনার একটা তো এর মধ্যে আছেই। তারপর যদি এক্ষত্রে আপনার কোনো হেল্পার থেকে থাকে তারও একটা অংশ থেকেই যায়। এগুলোকেও তখন আপনার নির্ধারিত মূল্যের মধ্যে বিবেচিত হতে হবে। 

৫. আর পণ্য যদি আপনি সোর্সিং করেন তাহলে তো কথা ই নেই। আপনার যেমন শ্রম তো আছেই সঙ্গে জ্ঞান , ধৈর্য্য , অক্লান্ত পরিশ্রম ইত্যাদি সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে এগুলোর জন্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। 

৬.তারপর আসছে প্যাকেজিং খরচ। এক্ষেত্রেও আপনি খরচ করেছেন যেহেতু খরচ করেছেন সেহেতু যেমনেই হোক টাকা উসুল করতে হবে। হি হি হি 

৭. যদি আপনার শপ থেকে তাহলে তো আরিব্বাস সে আরেক নুতন ধান্দা। চিন্তা করেন সঙ্গে তাহলে আরও কত কী অ্যাড করা যায়। তাই না ?

সত্যি বলতে আর পারছি না চোখ খোলা রাখতে। ৭টা থেকে আড্ডা তে থেকে আড্ডা পোস্ট আর দিতে পারিনি। এটা শেষ না করে ঘুমুতেও পারবো না কি যে জ্বালা!!!! ভাই - বোন যে বা যারা এটা দেখবেন সরি পড়বেন আরকি কোনো ভুল গেলে বুঝে নিয়েন পিলিজ। চোখ পুরা ঝাপসা। শুভরাত্রি উঃ সরি সরি সুপ্রভাত। 

ধন্যবাদ


Mst Arzumand Any

আড্ডা পোস্ট ৪ জুন ২০২০।

বিষয়ঃ পণ্যমূল্য নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করুন। 

আড্ডা পোস্টে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি☺️
একজন ব্যাবসায়ী বা উদ্দোগতার ব্যবসার জন্য অন্যান্য সকল কাজের পাশাপাশি পন্যের সঠিক মুল্য নির্ধারন খুব জরুরি।পন্যের মুল্যের নির্ধারণের ওপর নির্ভর করে ব্যবসায়ের লাভ-লস এবং ব্যবসায়িক উন্নতি।তাই নিম্নোক্ত পয়েন্টগুলো মথায় রেখে পন্যমূল্য নির্ধারন করা জরুরি।
আমি আমার হাতের কাজের উদ্দোগের পন্যমূল্য নির্ধারণ খেত্র গুলো তুলে ধরলাম👉
১.পণ্যের কাচামালের সোর্সিং এর খরচ
২.কাচামাল খরচ
৩.কাচামাল সংগ্রহের জন্য যাতায়াত খরচ
৪.পণ্য আদান -প্রদানের খরচ কর্মীর কাছে
৫.কর্মীর মজুরীর খরচ
৬.প্রস্তুতকৃত পন্যের ধৌতকরন এবং আয়রন খরচ
৭.প্যাকেজিং খরচ
৮.কাস্টমার ডিলিংস খরচ(মোবাইল বিল)
৯.ইন্টারনেট সংযোগ খরচ
১০.ইলেক্ট্রিসিটি খরচ
১১.ডেলিভারি যাতায়াত খরচ
১২.গিফ্টের খরচ( আমি দেই)
১৩.ডেলিভারি ফ্রী দেই সেই খরচ কিছুটা এ্যাড করলে সেই খরচ
১৪.পেজ সেটিংস বা তৈরির খরচ
১৫.বুস্ট করলে তার খরচ 
১৬.ব্যাগ,মেমো,কার্ড,ব্যানার খরচ
১৭.দোকান বা শোরুম থাকলে👉কর্মচারির বিল,ইলেকট্রিক বিল,দোকান ভাড়া,ডেকোরেশন ,বিনিয়োগ ইত্যাদি খরচ।
১৮.নিজের সময়,মেধা,শ্রমের পারিশ্রমিক হিসেবে খরচ
১৯.মেলায় অংশগ্রহণ করলে সেই খাতে খরচ
২০.মার্কেট রিসার্চ করার সময় যাতায়াত খরচ
২১.অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ।

উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও আরো কিছুটা খরচ যোগ হয় খেত্র বিশেষে।তবে সমজাতীয় পন্য হলে মার্কেট রিসার্চ করে সবকিছু মিলিয়ে পন্যের কোয়ালিটি অনুযায়ী পন্যের মূল্য নির্ধারন করতে হবে।।সেখেত্রে পন্যের কোয়ালিটি ভালো রাখলে বাজার দরের তুলনায় খরচ অনুযায়ী মূল্য বেশি হলেও ক্রতা কিনবে।।


Nondini Alam

মূল্য নির্ধারণ বেশ কঠিন কাজ নতুনদের জন্য। সেল এর চিন্তায় কস্টিং এর বেশ কিছু পয়েন্ট তারা যোগ করেন না, সেটা আসলে ভুল। এতে করে মার্কেট নষ্ট হতে পারে।
অনলাইন এবং অফলাইন দুটোর ক্ষেত্রে কস্টিং এর ভিন্নতা রয়েছে। আবার উৎপাদনকারী এবং রিসেলার দুজনের কস্টিং এও রয়েছে ভিন্নতা।
তবে পণ্য উৎপাদন/সংগ্রহ থেকে একেবারে ক্রেতার হাতে পৌছানো পর্যন্ত সব খরচ এবং সঠিক মাত্রার প্রফিট যোগ করলে পণ্যের বিক্রয় মূল্য কত হবে তা বেরিয়ে আসে। এক্ষেত্রে একটু ক্ষেয়াল রাখা দরকার নির্ধারিত মূল্য যেন মার্কেটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

এদিকে অফলাইন শপের দোকান ভাড়া, কর্মীবিল, ইলেকট্রিসি বিল এসব থেকে অনলাইন শপের খরচ গুলো তুলনামূলক কম। এখানে ওয়েবসাইট, ডোমেইন, হোস্টিং এবং ক্ষেত্র বিশেষ এ বুস্টিং এরও প্রয়োজন আছে। 

উৎপাদনকারীর রয়েছে কাঁচামাল, কর্মী বেতন। রিসেলার এর রয়েছে ট্রান্সপোর্ট, রিস্ক ফ্যাক্টর।

এভাবে প্রতিটি পণ্যের জন্য প্রত্যেক সেলার এর মূল্য নির্ধারণ এ ভিন্নতা থাকতে পারে। ক্রেতার সন্তুষ্টি র সাথে সাথে বাজারদর খেয়াল করে মূল্য নির্ধারণ করা উচিৎ।


Ummey Fatima Siddiquea

পণ্য বাজার থেকে এনে লাভের অংশ রেখে বিক্রি করে দিলাম তা কিন্তু না। বরং এর সাথে আরো অনেক কিছু জড়িয়ে আছে। আমার পথ চলা বেশি দিনের না। তারপরও যা শিখেছিঃ
১. কাচামাল ক্রয়
২. যাতায়াত খরচ
৩.বিদ্যুৎ বিল
৪.ফোন বিল
৫.ইন্টারনেট বিল
৬.রুমের বিক
৭.প্রপস এর খরচ
৮.সময়ের মূল্য ,,,,আপাতত এগুলো মাথায় আসছে। আর হ্যা, সবগুলো একটা পণ্যের সাথে যুক্ত হবে না। সব গুলো পণ্যের মাঝে ভাগ করে নিতে হবে।


Tabia Binte Arshad

আড্ডা পোস্ট -৪ জুন ২০২০
বিষয়ঃ পণ্যমূল্য নির্ধারণ বিবেচ্য বিষয়গুলি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা!
আসসালামু আলাইকুম 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সঠিক
পণ্য নির্ধারন করা জরুরি। তার জন্য অনেক কিছুর দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
যেমন:পণ্য তৈরি বা আনতে কত টাকা আপনার খরচ গিয়েছে, যথা যাতায়াত বাবদ,প্যাকেজিং,কারখানা বা যেখানে রাখবেন সে জায়গার ভাড়া, নিজের শ্রম যথা নগত যা খরচ হয় সব খরচের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পণ্যের সব সময় মধ্যম মূল্য ধরতে হবে।কেননা বেশীর ভাগ ক্রেতা টাকার জন্য বেশী টাকার পণ্য নিতে পারে না।আবার বেশী কম দামি পণ্য ভালো পরে
না তাই নিতে চায় না।তাই পণ্যের দাম মধ্যম 
নির্ধারন করতে হবে।যাতে সবার পছন্দ হয়।কিনতে সহজ হয়। 
আমি যা বুঝি লিখলাম
এ রাস্তায় আমি কয়েকমাস যাবত মাত্র হাঁটছি।বেশীর ভাগ এখানে সবাই আমার থেকে বড়।তাদের বুঝ ও অনেক।তাদের লেখা দেখে আমার লিখতে ভয় হয়।কিন্তু 
ভয় হলে চলবে না তাও জানি।
একদিন লিখতে বা পড়তে পড়তে আমিও সবার মতো জেনে যাবো।
ধন্যবাদ সবাইকে।

No comments:

Post a Comment