Tanvir Ahmed ▶ Women and e-Commerce forum ( WE )
আড্ডা পোষ্ট ঃ ১৭ অক্টোবর ২০১৯
বিষয়- জামদানী নিয়ে আপনার ভাবনা
— with Razib Ahmed and Kamrul Hasan.
Yesterday at 9:56 PM ·
Public
Md Tuhin Islam Asif
আমি মনে করি জামদানী উদ্যোগতা ও ব্যবসায়দের জন্য যথেষ্ট আজকের আড্ডা পোস্ট, এটার মাধ্যমে তাদের পরিচিতি বাড়বে জামদানীর পরিচিতি বাড়বে।অনেক গুণ এগিয়ে গেলো জামদানী।
Röwshön Ârâ
আমাদের দেশে অতীতে প্রচুর সমৃদ্ধ ছিল হস্তশিল্প এ , সবচেয়ে ক্ষতি হয় বিট্রিশদের শাসনামলে আর ব্রিটেনের শিল্পবিপ্লবের জন্য
Sifat Mahdi Nilima
জামদানী মূলত এক প্রকার মসলিন এবং দেশীয় কৃষ্টি তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম । সেই মুঘল আমল থেকে এর প্রচলন। এই বস্ত্র তৈরীর সুতা সংগ্রহ, সুতা পড়ানো, জামদানী বুনন ইত্যাদি খুবই কষ্টসাধ্য বিধায় এর দাম ও বেশী পড়ে যায়। এই দাম নিয়েই মানুষের মাথা ব্যথা। যদিও অনলাইনের প্রচারের কল্যাণে জামদানীক এখন মানুষ আবারো কিছুটা বেশী মূল্যায়ন শুরু করছে। এই ধারা বজায় রাখতে জামদানী নিয়ে প্রচারণা ও জামদানী নিয়ে কাজের প্রতি উৎসাহ আরো বাড়াতে হবে।
Taslima Siddika Siddika
জামদানি শুধু শাড়ীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিয়ের লেহেঙ্গা তার সাথে কারচুপির কাজ করা যেতে পারে, জামদানি লেইচ,আরো না দিক থেকে ব্যবহারের প্রসার ঘটানো দরকার। জামদানির জন্য উদ্যোক্তাদের একটু ঝুকি নিতেই হবে।
Röwshön Ârâ
জাম মানে কাপড় আর দানি মানে বুটিদার আবার জাম অর্থ উত্তম শারাব আবার দানি অর্থ পেয়ালা । যে শরাব পরিবেশন করত তার পোশাক নাকি সুক্ষ্ম ছিল এই সব থেকে নাকি নামকরণ
Taslima Siddika Siddika
যারা প্রতিষ্ঠিতো ডিজাইনার হয়েছেন তারা যদি ফ্যাশন শো টা শুধু জামদানির উপর করে তাহলেও অনেক কাজে দিতে পারে বলে মনে হয়।
Arobe Mariam
শুধু পোশাক হিসাবে নয় গৃহসজ্জা সামগ্রী হিসাবে ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়াও আরও অনন্য ব্যবহার ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে।
Nupur Sharker
শুধু ইভেন্ট দিয়েই জামদানিতে সবাই আগ্রহি হবেনা,ইভেন্টের বাইরে এর প্রচার প্রসারের দরকার,যেনো সবাই জামদানি সম্পর্কে জানতে পারে
Miraz Ahmed
নকশা অনুযায়ী জামদানি বিভিন্ন ধরনের হয়,,যেমন,তেরছা,জলপাড়,বলিহার শাপলা ফল,আংগুরলতা বাঘনল কলমিলতা চন্দ্রপাড় ঝুমকা বুটিদার ময়ুরপাখা জবাফুল ইত্যাদি
Sumaiya Akter
জামদানি পাড়ের নকশাভেদে পাড়ের নামও ভিন্ন হয় ; যেমন : ইঞ্চি পাড়,কলকা পুইলতা, দুবলা, করলা, কাঠি, সিক, কাঁচি, সাল, শ্যামুক, চাদ মরালী, টাঙ্গাইলা গাছ ইত্যাদি।
Eshat Ara
জামদানি আমাদের ঐতিহ্য। অন্যান্য দেশের মানুষ নিজেদের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে কতরকম চিন্তাভাবনা করে এবং সেটার প্রসার ঘটায়। কিন্তু আমরা আমাদের নিজেদের দেশীয় শিল্পকে অবহেলা করে বিদেশী শিল্পের দিকে বেশি অগ্রসর হই।
ই - কমার্সের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া জামদানির ঐতিহ্য পুনরায় ফিরে আসুক৷ আমাদের দেশীয় পণ্যের জয়লাভ হোক। সেজন্য শুধু উদ্যোক্তাদের নয়, এগিয়ে আসতে হবে আমাদের মতো সকল সাধারণ মানুষ দের। আমরা বিদেশী পণ্যের আগে যদি নিজের দেশের শিল্পকে বেশি প্রাধান্য দেই। তাহলে দেশের জামদানি শিল্পের নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
সেই দিন বেশি দেরি নয়।
Kakoly Russell Talokder
জামদানীর ব্যাপারে আমার ভাবনা হলো প্রথমত, সবার আগে অরিজিনাল ঢাকাই জামদানী এবং ইন্ডিয়ান জামদানীর পার্থক্য বুঝতে হবে।চিনতে হবে। যেন পিক দেখেই শাড়ি চেনা যায়,ধরে দেখার প্র্যয়োজন না হয়। দ্বিতীয়ত,এই পণ্যটি শুধুমাত্র উচ্চ বিত্তের জন্য না,মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে এই বিশ্বাস টা ক্রিয়েট করতে হবে।
তৃতীয়ত,জামদানী একটা ক্লাস রিপ্রেজেন্ট করে এই জিনিসটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে।
Tasmia Tazan
শাড়ি, জুয়েলারি সম্পর্কে আমি একেবারে আনাড়ি। আজ অবধি কখনো শাড়িই পরলাম না ভালোমতো
Rup Jaman
ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি থ্রীপিচের প্রচারে বাঙালি শাড়ি পরাই এক রকম ভুলে গেছে।তাই আমরা যারা বিজনেস করি বিভিন্নরকম মিটিং বা প্রোগ্রামে জামদানী শাড়ি পরার মাধ্যমে প্রচার করতে পারি। পাশাপাশি আরও যুগোপযোগী ডিজাইনের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য করতে পারি।
Niger Fatema
জামদানি নিয়ে আমার প্রথম ভাবনা মানুষকে জামদানির সৌন্দর্য বোঝানো। কারণ আমাদের একটি সমস্যা হচ্ছে আমরা ইন্ডিয়ার সব্যসাচীর ডিজাইনার লেহেঙ্গা কিনতে অনেক টাকা ব্যয় করি কিন্তু নিজেদের জামদানি কিনতে অনীহা করি দাম বেশি বলে।
দ্বিতীয়তঃ জামদানি ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আমাদের এখন জামদানি নিয়ে অনেক কাস্টমাইজ ডিজাইন করতে হবে যেমন পাঠ ও জামদানি দিয়ে মেয়েদের বেল্ট বানানো যায়। মেয়েদের জিন্স প্যান্টের নিচে বা পকেটে জামদানির দিয়ে কিছু নতুন করা যায়। বিয়েতে বড় ও কনে দুই জনেই জামদানি র পোশাক পরতে পারে। জামদানি দিয়ে বরের শেরানি বা পাগ্রি করানো যায়।
তৃতীয়তঃ জামদানির কাঁচামাল খরচ কমানো চেষ্টা করতে হবে। অনেক সময় ব্যবসার খাতিরে অনেক ১৯/২০ করে বানানো হয়। কিন্তু বিক্রি করানো হয় মিথ্যা বলে। এটা বন্ধ করতে হবে।
Razib Ahmed
জামদানী নিয়ে আমার ভাবনা হল এটির ভাল প্রচার দরকার। গুগলে সার্চ করে খালি নেগেটিভ ইনফরমেশন পাবেন। জামদানী চলে না, বিক্রি হয় না, তাঁত বন্ধ ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে করে কোন দিন বিক্রি বাড়বে না, আগ্রহ বাড়বে না।
Naima Jannat
অনেকের ধারণা জামদানী তো বড়লোকের শাড়ী, এত দাম এ শাড়ীর।কিন্তু আমি মনে করি জামদানী সকলেরই প্রিয় এবং সবার গর্বের বস্তু।একে টিকিয়ে রাখতে হবে।তাঁতীরা যে পরিমাণ সময় ও শ্রম দিয়ে জামদানী বুনে তার যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে হবে।
Farzana Munni
জামদানী বলতে শুধু শাডি এটা থেকে ও বের হতে হবে আমাদের এটা আমার মত।আপনারা কি বলেন?
Naima Jannat
অনেকেই ভয় পায় এই ভেবে যে, এত টাকা দিয়ে জামদানী কিনব তা আসল জামদানী হবেতো? নাকি নকল টা পায়।এই বিষয়ের সমাধান টাও জরুরী।
KM Hasan
নিজের ব্যবসায় ক্ষেত্রটা বড় করতে পারলে এলাকার চাহিদা পূরণে কাজ করব
Miraz Ahmed
জামদানীকে সাধারণ মানুষের আওতায় আনার মাধ্যমে তৃণমুল সাধারনের নাগালে নিতে হবে।গ্রামের সাধারণ মানুষ, বধু ও তরুণীদের উদ্বুদ্ধ করে বেকারত্ব হ্রাস করে অর্থনীতির চাকা সচল করা যাবে।
Rafiq Islam
জামদানী তৈরি হয়। খটখটি, পিতলোম তাত, যাপানি তাত এই যন্ত্র দিয়ে হাতে তৈরি হয় জামদানী । বর্তমানে বেশি তৈরি পাললোম যা মেশিন বলে থাকি।
Miraz Ahmed
ঢাকাকে জামদানিরর আদিঘর বলা হলেও এখন তার তেমন জনপ্রিয়তা নেই।আর তার একমাত্র কারণ হল, পরিশ্রম বেশি,আর সাধারণ ক্রেতাদের ধরাছোঁয়ারর বাইরে।তাই জামদানীর মুল্য সাধারণ এর নাগালে আনা আবশ্যিক।
Tanin Saroare
আমাদের সুতা কিনতে হয় অনেক বাহিরে থেকে,এই জিনিসটার চাহিদা দেশে মেটানো যাতো তাহলে সবরকমের পোশাক দাম কমতো আরো।
Rafiq Islam
সবাই বলছে জামদানী মূল্য অনেক বেসি। জামদানী দাম নেই বল্যে চলে। এক ভাল মানের জামদানী ১০০০ থেকে ৩ হাজার টাকা এটা সর্বাচ্য দাম
Röwshön Ârâ
ঢাকাই আর টাঙ্গাইল হচ্ছে বাংলাদেশের আর শান্তিপুরি আর ধনিয়াকালি হচ্ছে ভারতের
Asrafi Shah
বিয়ের সময় বর পক্ষকে বলে দিবো জামদানী চাই
Tanzeela Omi
জামদানী অনেক সম্ভবনাময় খাত।কারন বাংলাদেশে এখন এক্টা উচ্চবিত্ত শ্রেনী দ্রুত তৈরি হচ্ছে মধ্যবিত্ত থেকে।সাথে দেশীয় পন্য ব্যবহার আস্তে আস্তে হলেও বাড়ছে ফেসবুকের কারনে।
আর এক্টা ব্যাপার সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা জামদানী নিয়ে আগ্রহী।তাই যারা এদিকে কাজ করছে শুধু বেচাকিনিতে মন না দিয়ে যদি বড় আকারে কিছু করতে চায় সুযোগ আছে আমার মতে।☺
ঝুমা হোসেন
জামদানি আমাদের দেশীয় পন্যের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী পন্য। মুঘল আমলে জামদানীর গ্রহনযোগ্যতা রাজকীয় ছিল। জামদানীর মূল্যমান সবসময় একটু বেশী ।যার কারনে সাধারন মানুষ ইচ্ছা থাকলেও জামদানী ক্রয়ের সাহস করতে পারে নি।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখনকার মানুষরা পোশাক সম্পর্কে খুবই সচেতন ।তারা জানে পোশাকেই মানুষের গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।তাই তারা পোশাকের তালিকায় জামদানীকে রাখতে চায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জামদানী পরতে পছন্দ করে।
Miraz Ahmed
সাধারণত জামদানী বলতে শাড়িকে বুঝালেও, জামদানি দিয়ে নকসী ওড়না, রুমাল, কুর্তা চাদর ও তৈরি করা হয়।
Naima Jannat
জামদানী নিয়ে যারা কাজ করছে এবং করতে চাই তাদেরকে সম্মান দিতে হবে, উৎসাহ দিতে হবে,পুরস্কৃত করতে হবে।তাহলে আরো মানুষ জামদানী নিয়ে কাজ করার আগ্রহ পাবে।
Röwshön Ârâ
বুটিদার, তোরসা, ময়ূরপঙ্খী, কলমিলতা, আঙ্গুরলতা, সোনা ঝুরি, কটিহাতা, কচুপাতা, চন্দ্রপাড়, জুঁই বুটি, পান্নাহাজার, দুবলিজাল, ঝালর, পুঁইলতা, কলকাপাড়, নীলাম্বরী, কঙ্কাপাড়, প্রজাপতি, শাপলাফুলি, শবনম, পাল্কিছাপ, ঝুমকালতা, লক্ষ্মীবিলাস, মধুমালা, ঝুমকা, জবাফুলি, হংসবলাকা—নকশার ভিন্নতা থেকে শাড়ির বিচিত্রসব নাম।
Rokeya Haider Nila
আমার ভাবনা হলো আমি ফিউশন করতে চাই জামদানি আর সিল্ক কম্বিনেশন জামদানি আর মসলিন কম্বিনেশন ।যেমন একটা শাড়ি হাফ হবে জামদানি আর হাফ সিল্ক অথবা মসলিন । এই সিল্ক বা মসলিনে কারচুপি, ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্টের, হ্যান্ড পেইন্টিং হবে। আমি এমন করেছিলাম কাস্টমাইজড ডিজাইন ছিল