মৃত্যুর মুখোমুখি - শিক্ষনীয় গল্প

" শিক্ষনীয় পোস্ট "
এক ভদ্র মহিলা একটি মাংস ডিস্ট্রিবিউশন কারখানায় কাজ করতেন। একদিন রুটিন কাজ শেষে তিনি ফ্রীজার রুমে গেলেন কিছু পরীক্ষা করতে, কিন্তুু দূভাগ্যবশতঃ রুমের দরজাটি ভিতর থেকে আপনা আপনি বন্ধ হয়ে গেলো।
তিনি চিৎকার করে, সমস্ত শক্তি দিয়ে দরজায় শব্দ করতে লাগলেন, কিন্তুু কেউ তাঁর ডাকে সাড়া দিলেন না কারণ সব কর্মচারী চলে গেছেন। তাছাড়া ফ্রীজার রুমের ভিতর থেকে বাহিরে শব্দ শোনানো অসম্ভবই বটে। ৫ ঘন্টা পর তিনি যখন মৃত্যুর মুখোমুখি,ঠিক তখনই কারখানার নিরাপত্তা রক্ষী দরজা খুলে দিলেন, কাকতালীয়ভাবে সেদিন ভদ্র মহিলা প্রাণে বেঁচে যান।
পরবর্তীতে ভদ্র মহিলা যখন নিরাপত্তা রক্ষীকে জিজ্ঞেস করলো সে কিভাবে এখানে আসলো, কেনো দরজা খুললো, এটাতো তাঁর রুটিন কাজ ছিলো না, তখন সে উত্তরে বললো আমি এই কারখানায় ৩৫ বছর যাবত কাজ করছি, এখানে ১০০ জনেরও বেশি শ্রমিক কাজ করে কিন্তুু অনেকের মধ্যে আপনিই একজন যিনি প্রতিদিন আমাকে সকালে শুভেচ্ছা জানাতেন আর বিকেলে বিদায় জানাতেন।
অনেকের কাছে আমি কিছুই না, একজন নিরাপত্তা রক্ষী ব্যতীত। যাই হোক, অন্যান্য দিনের মতো আপনি আজকে কাজে যোগদানের সময় যথারীতি স্বাভাবিক সৌজন্যতা স্বরুপ আমাকে 'হ্যালো' বলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, কিন্তুু কৌতুহল বশতঃ খেয়াল করলাম প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে যাওয়ার সময় 'বাই, সি ইউ টুমোরো' বলেননি। আমি আপনার এই মূল্যায়নটাকে সম্মান করি, কারন এই শব্দ গুলো আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে, নিরাপত্তা রক্ষী হলেও আমিও একজন মানুষ।
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম কারখানাটা সার্চ করবো, আমার মন বলছে আপনার কোন একটা বিপদ হয়েছে বা হতে পারে এবং এভাবেই কারখানা বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করতে থাকি।
এখান থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে, আমাদের প্রত্যেককে আমাদের আশে পাশের মানুষ গুলোর প্রতি বিনয়ী হওয়া উচিত, সম্মান করা উচিত, কারণ আমরা জানি না আগামীকাল কি ঘটবে আমাদের জীবনে, কাকে প্রয়োজন হবে বিপদের দিনে আমাদের পাশে।

No comments:

Post a Comment