ছোট বিজনেসে কোয়ালিটি ও গ্রোথ এর মধ্যে ব্যালেন্সিং নিয়ে আলোচনা-

 ছোট বিজনেসে quality ও growth এর মধ্যে  balancing নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।-


বিজনেস গ্রোথ এর জন্য এখন সেল পোস্ট এর কোন ভ্যালু নাই,,,

পণ্যের উপাস্থাপনে অনেক বেশি ভিন্নতা আনতে হয়,,

ছোট ব্যাবসায়ীকে নিজ উদ্যোগ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ হতে হবে,,এতে করে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরী হয় যা বিজনেস গ্রোথে ভুমিকা রাখে।

বিজনেস গ্রোথ এর জন্য অবশ্যই উদ্যোক্তাকে নৈতিকতা ধরে রাখতে হবে,রিপিট ক্রেতাদের ক্ষেত্রে আন্তরিক থাকতে হবে।

সুযোগ বুঝেই কাষ্টমারদের কাছ থেকে বেশি দাম আদায় করা ঠিক না বরং সব সময় ন্যায্য মুল্য ধরে রাখতে হবে এতে করে ক্রেতা সন্তুষ্ট বজায় থাকবে,,বিজনেস গ্রোথ হবে

ছোট বিজনেস সাধারণত ব্যাক্তি একাই সব নিয়ন্ত্রণ করে,, কোয়ালিটির দিকেই সর্বোচ্চ ফোকাস দিয়ে একটি ছোট বিজনেস আগায়।

এক্ষেত্রে ব্যালেন্সিং করা অনেক কঠিন,,কারন উদ্যোক্তাদের আবেগ এখানে বেশি এক্টিভ থাকে।

ছোট বিজনেস ব্যালেন্স এর সব দিক একজন উদ্যোক্তাকেই মেইনটেইন করতে হয়,,অনেক কিছু চাইলেও তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন,অনেক ক্ষেত্রেই ছাড় দিতে হয় যা বিজনেস গ্রোথ এর অন্তরায়

ছোট বিজনেস নজরদারি রাখা সহজ আবার কঠিন।

কঠিন হবার কারন হল সময়ের অভাব,

ক্ষুদ্র বিজনেসে উদ্যোক্তা কোয়ালিটি ইনসিউর করতে পারলেও অন্যান্য দিক সময়ের অভাবে অনেক সময় স্কিপ করে বা হয়ে যায়।

যার প্রভাব পরে ডেলিভারিতে, প্যাকেজিং, সময়মত ডেলিভারি।।ফলাফল ক্রেতা অসন্তুষ্টি।

কোন বিজনেসে কোয়ালিটি এবং গ্রোথ ধরে রাখার জন্য প্রপার পরিকল্পনা থাকতে হবে,,এবং তা বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে

অতিরঞ্জিত করে পণ্যের ফটোগ্রাফি এবং কন্টেন্ট লেখা ঠিক না। সঠিক তথ্য দিলে ক্রেতার আস্থা তৈরী হয়

ছোট বিজনেস পলিসি থাকতে হবে,,বিজনেস গ্রোথ এর জন্য টার্ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিজনেস কতটুকু এক্নপান্ড করার সক্ষমতা অাছে বা বৃদ্ধি করা সম্ভব সেটা বুঝতে হবে

বিজনেসে ঝুঁকি থাকবেই।তবে ছোট বিজনেসের জন্য ঝুঁকি টা অনেক।

তাই ঝুঁকি গ্রহন করার মত মনমানসিকতা তৈরি করেই বিজনেস করতে হবে।

অনেক বেশি সেল হলেই বিজনেস গ্রোথ হবে এমনটা অনেক ক্ষেত্রেই হয় না।

ছোট বিজনেসে সঠিকভাবে হিসেব না রাখলে ব্যায় সংকোচন করা সম্ভব হয় না।

অনেক সময় দেখা যায় আয় ব্যায় সমান হয়ে যাচ্ছে কারন উদ্যোক্তার সচেতনতার অভাব

বিজনেস ছোট হলেও কাজে সিরিয়াস হতে হবে, কারন বিজনেস এর আয়তন ছোট হলেও এর কাজগুলোকে গুরুত্ব দিলে পরবর্তী তে এটি বড় হতে সাহায্য করে

বিজনেস ছোট করে শুরু করলে সুবিধা এতে করে কোন ভুল হলে বিশাল ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং বিজনেস গ্রোথ হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়

দ্রুত বিজনেস বড় করতে হলে আমাদের নিদিষ্ট দিনে হিসাব টানতে হবে এবং এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চল্লে বিজনেস গ্রোথ করতে সহজ হয়

তবে গুনগত মান ঠিক রেখে যদি কোয়ালিটি বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে কিন্তু বিজনেসে আসলেই টিকে থাকা এবং লাভবান হওয়া সহজ।

বিজনেস শুরু করার জন্য আমরা যখন দক্ষতা নিয়ে কাজ শুরু করি তবুও কাজ শুরুর পর বুঝা যায় আমার কোথায় গ্যাপ আছে,

তাই ছোট থেকে শুরু করে আসৃতে আস্তে গ্রোথ করতে হয়

অল্প সময়ে আমরা ভালো কিছু করতে পারি যখন আমরা বিজনেস এর কাজগুলো নিজে করি, নিজের আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে পারি।

ছোট বিজনেস মেইনটেইন করা, কাজ হ্যান্ডেল করা, কাস্টমার কে যত্ন নোওয়া সব কাজ কম থাকায় যত্নশীল হওয়া যায় এতে করে আমরা বিজনেস একটু একটু করে বড় হতে থাকে,

বিজনেস গ্রোথ বৃদ্ধির জন্য কোয়ালিটি মাস্ট এবং সেই সাথে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বা লক্ষ্য থাকতে হবে,,নির্দিষ্ট সময় পর বিজনেস আমি কোথায় দেখতে চাই।

অনেক সময় দেখা যায় কোয়ালিটি সম্পূর্ণ পণ্য এবং সার্ভিস প্রদান করেও বিজনেস গ্রোথ করছে না,,

বেহেসি খরচ নির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাবে।

আয়ের চেয়ে ব্যয় যেন বেশি না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।

শুরুতেই বেশি পণ্য স্টক না করে আগে কাস্টমারের চাহিদা বুজার চেষ্টা করতে হবে।

আমরা যখন বিজনেসের পণ্যের কোয়ালিটি ঠিক রাখার কথা চিন্তা করবো তখন কিন্তু তার মধ্যে অনেক কিছু ওঠ আসে।

তবে দাম বৃদ্ধি পেলেও কোয়ালিটিকে ধরে রাখতে হবে।

ছোট বিজনেস এরআরেকটা সুবিধা হলো, যখন আমি বিজনেস সম্পর্কে পূণাঙ্গ না জেনে কাজ শুরু করি তখন বিজনেস সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়, পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া যায়

পন্যকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হয় যাতে ক্রেতা স্পষ্ট ও সাবলীল ভাবে ধারণা লাভ করতে পারে।এতে বিজনেসের গ্রোথ এবং সফলতা বৃদ্ধি পায়।

বিজনেস করার জন্য যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক। তারজন্য শুরুতে বিজনেস এ সময় না দিয়ে ছোট বিজনেস হলে পড়াশোনা করা যায়

বিজনেস গ্রোথ এর জন্য উদ্যোক্তাকে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে,,বর্তমানে কম্পিটিটিভ মার্কেটে উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে পণ্যের প্রচার করতে হয়,,

ডিজিটাল মার্কেটিং নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য অনেক বেশি দক্ষ হকে হবে।

ছোট বিজনেসে কোয়ালিটি ও গ্রোথ এর মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার জন্য সব সময় সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

একটি কাজে যত ভালো পরিকল্পনা গ্রহণ করা যাবে তত সাফল্যের সাথে কাজে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

ছোট বিজনেসে কোয়ালিটি ও গ্রোথ এর মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার জন্য সব সময় সময়ের উপর নির্ভর করে কাজ করতে হবে।

এতে করে কাজের সাফল্য লাভ করা সম্ভব হবে।

No comments:

Post a Comment