Content planning কনটেন্ট প্ল্যানিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

Content planning নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

 কন্টেন্ট এর প্রধান উদ্যেশ্য হওয়া উচিৎ কারো হৃদয়ে টাচ করা, পাঠক যেন পড়ার পর তৃপ্তি পায় সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই কন্টেন্ট এ ফোকাস করা উচিৎ।

কন্টেন্ট প্লানিং সুনির্দিষ্ট প্লান থাকা উচিৎ, প্রত্যেকের লেখার ধরন আলাদা হয়

অন্য কারো লেখার প্যাটার্ন কপি না করে নিজস্ব স্বকীয়তা ধরে রাখতে হবে।

নিজের আইডেন্টিটি ক্রিয়েট করার জন্য কন্টেন্ট রাইটিং সেরা মাধ্যম

যে পণ্য নিয়েই আমরা কাজ করি সেই পণ্য নিয়ে গতানুগতিক লেখা কখনোই গ্রহনযোগ্য হবে না।

সেই পণ্য নিয়ে তথ্য বহুল কন্টেন্ট এর পাশাপাশি গল্প থাকতে হবে।

সব সময় মাথায় রাখতে হবে কনটেন্ট লেখার সময় আমাদের উদ্দেশ্য হবে অডিয়েন্সকে তথ্য উপহার দেওয়া বা তাদের সমস্যার সমাধান তুলে ধরা। সেল করতে হবে বা এই টাইপের মানসিকতা নিয়ে কনটেন্ট লেখা উচিত না। তথ্য সমৃদ্ধ এবং উপকারী কনটেন্ট তুলে ধরলে কাস্টমার নিজ থেকেই আপনার কাছে আসবে।

কন্টেন্ট খুবই ভারাক্কি শব্দ পূর্ন আনকমন ঘটনার অালোকপাত হতে হবে এমন কোন শর্ত নেই।

জিবনে নিত্য ঘটে যাওয়া ঘটানা থেকে যে শিক্ষা আমরা প্রতিনিয়ত পাচ্ছি সেটার উপাস্থাপনে অনেক কন্টেন্ট লেখার সুযোগ অাছে।

এবং এই সাধারণ নিত্য ঘটনাই আমরা অনেক বেশি পছন্দ করি।

একজন উদ্যোক্তা নিজেকে দক্ষ করার জন্য পড়াশোনা করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তাই শুধু বিজনেস এ ফোকাস না করে পড়াশোনা ও একটু ফোকাস দেওয়া উচিত

কনটেন্ট এর হেডলাইন হতে হবে আকর্ষণীয়। প্রথম হেডলাইন টা পড়ে যাতে পুরো লেখা পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়, এমন একটা হেডলাইন বা শিরোনাম হওয়া উচিত।

প্রতিদিন একটা সময়ে তথ্যবহুল কন্টেন্ট লিখলে যেমন অনেকের সেই কন্টেন্ট গুলল পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পায় তেমনি নতুন নতুন মানুষের সাথে সুসম্পর্কও বৃদ্ধি পায়।

একজন ক্রেতা অনেক সময় একটা পণ্য সম্পর্কে আগ্রহী হলেও যেচে জিজ্ঞেস করতে চায় না এটার কেমন, তার চাহিূার সাথে কতোটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই কন্টেন্ট এমন হওয়া উচিত যেখানে একজন ক্রেতা সহজেই তার চাহিদার জিনিসটা খুজে পেতে সক্ষম হয়।

সহজ ভাষায়, সাবলীল শব্দে, আকর্ষণীয় ভাষা শৈলির ব্যবহার কন্টেন্ট কে পাঠকদের কাছে পড়ায় আগ্রহী করে তোলে। তাই এ ব্যপারে বিশেষ যত্নশীল হতে হবে।

কনটেন্ট এর কারন কি হবে?

তাছাড়া কনটেন্ট ঠিক কাদের জন্য তা খুঁজে বের করতে হবে।

এখন, পণ্য নিয়েই যে শুধু লিখতে হবে তা নয়, বরং কাস্টমার বা অডিয়েন্স কিভাবে তা গ্রহন করবে তা রিসার্চ করে কনটেন্ট প্লানিং করতে হবে

কন্টেন্ট প্লানিং এর সময় অনেকে টিম মেম্বার রাখেন, টিম মেম্বারদের সকলকে একটা মতামতের উপর এগ্রি হতে হবে, সবাইকে একই ধাঁচের কনটেন্ট লিখতে হবে

আমি কনটেন্ট লেখার পূর্বে সেই বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করে বা ইউটিউব সার্চ করে প্রায় ১৫-২০ টা আর্টিকেল পড়ি, তারপর সেই অনুযায়ী একটা কনটেন্ট সাজাই। খেয়াল করে দেখেছি এই টাইপের কনটেন্ট অনেক তথ্যবহুল হয় এবং খুব ভালো রিচ পায়।

আমরা যে কোন বিষয়ে দক্ষ কাওকে দিয়ে কাজ করাতে চাই, তাই আমাদের কনটেন্ট প্লানিং ও দক্ষ কাওকে দিয়ে করানো উচিত।

কারন একটা বিজনেস এর জন্য কনটেন্ট রাইটিং করা এবং সেই সাথে প্লানিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কনটেন্ট হতে হবে শিক্ষনীয়, তথ্য নির্ভর এবং আকর্ষণীয়। কখনো লেখা উচিত না যে আমার কাছ থেকে কিনুন, আমার পণ্য খুব ভালো, অন্যেরটা ভালো না ইত্যাদি। এই টাইপের কিছু লিখলে আগ্রহ তো বাড়বেই না উল্টো অডিয়েন্স আগ্রহ হারাবে।

কনটেন্ট এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সৃজনশীলতা বজায় রাখতে হবে।

কখনও কপি-পেস্ট করে যে কন্টেন্ট গুলো দেয়া হয় সেগুলো কখনো গ্রহণযোগ্যতা পায় না সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অল্প হলেও নিজের ভাষায় শ্রুতিমধুর ভাবে লিখতে হবে যাতে করে অন্যের কোন কিছু কপি না করা হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

নিয়মিত কনটেন্টে নতুনত্ব রাখতে হবে। একই টাইপের কন্টেন্ট বারবার লিখলেও অডিয়েন্স আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। সেজন্য প্রত্যেকটা কনটেন্টের নতুনত্ব থাকা জরুরি।

অনেকে কনটেন্ট লেখার সময় অগোছালো কনটেন্ট লিখে ফেলেন। অর্থাৎ কনটেন্ট এর ভিতরে মূল বিষয়বস্তু থাকে না, অগোছালো কিছু কথা তুলে ধরেন। এতে করে অডিয়েন্স বিরক্ত বোধ করতে পারে। এ জিনিসটা মাথায় রাখা জরুরী।

আমরা অনেক সময় লিখতে লিখতে বিশাল বড় করে ফেলি। মূল প্রসঙ্গের বাইরে ও চলে যাই।কনটেন্ট প্লানিংয়ে কনটেন্ট কখনো অতিরিক্ত বড় না লিখে ছোট আকারে গুছিয়ে উপস্থাপন করলে শ্রোতারা আগ্রহ সহকারে পড়ে।এজন্য বেশি বড় না লিখে সহজভাবে উপস্থাপন করা উচিত কনটেন্ট।

কনটেন্ট বেশি বড় হওয়া যাবে না কারণ বড় ধরনের কনটেন্ট গুলো মানুষ তেমন একটা পড়তে চায় না।

তাই কনটেন্ট এমন হতে হবে যাতে অল্প কথায় বেশি জিনিস বোঝানো যায় এজন্য প্রচুর পরিমানের কনটেন্ট পড়তে হবে এতে করে খুব কম সময়ের মাঝে কিভাবে সুন্দর কনটেন্ট লেখা যায় সেটা বুঝতে পারা সম্ভব হবে।

কনটেন্টের লিখা হবে একদম নিজের ভাষায় এবং সুন্দর এবং গুছানো।

কারণ কনটেন্ট যত গুছিয়ে লিখবো ততোই কাস্টমার আমার প্রতি আকৃষ্ট হবে।তখন আমার সেলও বৃদ্ধি পাবে।

আমরা সবার প্রথমে একটা ছবির প্রতি আকৃষ্ট হই। তারপরে আমাদের চোখ যায় সেই ছবির কন্টেন্ট বা লেখার দিকে। সেজন্য কনটেন্ট এর পাশাপাশি অবশ্যই একটা ভালো মানের ফটোগ্রাফি হওয়া অতীব জরুরী।

কনটেন্ট প্লানিং করার সময় ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিতে হবে।এবং ভবিষ্যতে মূখী কনটেন্ট রাইটিং করতে হবে।

কারন কনটেন্ট এমন এক হাতিয়ার যা দিয়ে আমরা ~কাস্টমার কে আকৃষ্ট করতে পারি

~ সঠিক তথ্য জানতে পারি

~ কোথায় কি পাওয়া যায় তা জানা সহজ হয়

~ কোন ধরনের পণ্যের উপস্থাপনা কি ধরনের উপকার পাওয়া যায় তা জানা সহজ হয়।

কন্টেন্ট প্লানিং এর সময় অবশ্যই নিয়মিত কনটেন্ট লেখার শিডিউল তৈরি করতে হবে। সে জন্য অনেকে কনটেন্ট শিডিউল দিয়ে রাখেন বা ক্যালেন্ডারের মত করে শিডিউল করে রাখেন। সেটা অটোমেটিক আপলোড হতে থাকে এর ফলে কাস্টমাররা অলওয়েজ আপনার সাথে আপডেটেড থাকতে পারে।

কন্টেন্টে ভাষার প্রায়োগিক ব্যবহার করতে হবে। গুরুচণ্ডালী দোষ পরিহার করতে হবে, সহজ সাবলীল ভাষায় তুলে ধরতে হবে।

কনটেন্ট প্লানিং আমরা আমাদের পণ্যের উপর করতে পারি,

~ বাজার গবেষণা করে

~কাস্টমার এর রিভিউ থেকে

~ কাস্টমার এর চাহিদা থেকে

প্রতিটি কন্টেন্ট কে নিবিড় ভাবে আামদের পযবেক্ষন করা প্রয়োজন কেননা তার মাধ্যমে আমরা সেই কন্টেন্ট কে সফল ভাবে আমাদের বিজনেসের মার্কেটিং এর কাজে লাগাতে পারি। আর এজন্য কন্টেন্ট প্লানিং করা প্রয়োজন।

ভিডিও কন্টেন্টের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে৷ আলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেই সাথে ভয়েজ যাতে ক্লিয়ার হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।

অনেকেই উচ্চারণগত সমস্যা দূর না করে ভিডিও তৈরি করেন এগুলো অনেক নেগেটিভ ফিডব্যাক নিয়ে আসে।

একটি কন্টেন্টের উপরেই নির্ভর করে থাকে একজন বিক্রেতা কতোটুকু সফলতা অর্জন করবে। এবং গ্রাহকের আস্থা কতোটুকু অর্জন করতে সক্ষম হবে।

নির্বাচিত পণ্য সম্পর্কে কন্টেন্ট লিখা উচিত। সেই সম্পর্কে নতুন নতুন কিছু লিখলে গ্রাহকরা তা নতুন করে জানবে। তাই কন্টেন্টে সৃজনশীলতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কনটেন্ট প্লানিং হতে পারে যে কোন বিষয়ের উপর।

~ বিজনেস এর পণ্য

~ কোন বিষয়

~ কোন রাজনৈতিক টপিক

~ কোন চিকিৎসা বিষয়

~ এছাড়া কোন ব্যক্তিও

মূল কথা যখন যে কোন বিষয়ের উপর তথ্য মূলক কিছু গুছিশে উপস্থাপন করা হয় তাই কনটেন্ট আর সেইবিষয়ে অনেক মতামত নেওয়া বা পরিকল্পনা করাই কনটেন্ট প্লানিং

যারা কপি করে কন্টেন্ট দেন তারা একটা সময় ঝরে যায় বা হারিয়ে যায়। নিজেদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে হবে, সৃজনশীলভাবে প্রত্যেকটা কনটেন্ট উপস্থাপন করতে হবে।

একজনকে দেখেছিলাম যিনি তার পণ্য সম্পর্কে বাড়িয়ে বাড়িয়ে বা বানিয়ে অনেক কিছু লিখেছেন। এতে করে সেই সেলার অডিয়েন্সের আ"ক্রম'ণের শি'কার হয়েছিলেন. কারণ সবাই ধরে ফেলেছিল যে এগুলো অতিরঞ্জিত বা বাড়িয়ে লেখা। তাই এগুলো প্রত্যাহার করে জেনে শুনে পড়াশোনা করে তথ্য তুলে ধরা উচিত।

কনটেন্ট লেখার সময় বানান শুদ্ধ হওয়া খুব জরুরি। বানান ভুল বা শুদ্ধ চলিত ভাষার মিশ্রণ দেখলে সত্যিই খুব বিরক্ত লাগে। সেটা আমরা বরাবরই এড়িয়ে যাই। তাই এই ভাষার বানানটা সঠিক ভাবে তুলে ধরা উচিত।

ভালো কন্টেন্ট এর উপর বয়বসায়ের প্রসার বা পরিচিত অনকটা নির্ভর করে থাকে। তাই আমাদের কন্টেন্ট প্লানিং এর উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত

একটা কনটেন্ট এর মাধ্যমে প্রকাশ পায় যে আপনি কতটুকু সেই পণ্য সম্পর্কে দক্ষ বা আপনি আসলেই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কিনা। সেজন্য বুঝেশুনে কনটেন্ট তুলে ধরা উচিত।

কন্টেন্ট একটি সৃজনশীল বিষয় সেই সাথে এটিতে নিজস্বতা থাকতে হবে। কারন নিজের মতো করে লেখার ক্ষমতা থাকলেই ভালো রেসপন্স পাওয়া সম্ভব হয়।

No comments:

Post a Comment