পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধির কারণগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন

পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধির কারণগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন 

পণ্যের ফিউশন,কালার কম্বিনেশন সেন্স ক্রেতাদের আগ্রহ সৃষ্টি করে।

প্রডাক্ট উন্নতমানের হলে,ট্রেন্ডি হলে সেল বৃদ্ধি সহজ হয়।

আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী। এটা অনলাইনের বেলায় বেশি প্রযোজ্য।

আগে আমরা প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি দেখি।

সেটা ভালো লাগলে তবেই আমরা কন্টেন্ট পড়ি, তাই ফটোগ্রাফি ভালো হলে পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি পায়

তাছাড়া, যত প্রচার তত প্রসার। এখন সেই সাথে উদ্যোক্তার পরিচিতি অবশ্যই আবশ্যক। তাই,

~ ছোট ছোট গ্রুপে সময় দিতে হবে

~ নিজের আইডিকে কাজে লাগাতে হবে

~ পড়াশোনা করতে হবে ফেসবুক এবং এখানেই আপডেট দিতে হবে নিয়মিত

~ পণ্য সোর্সিং নিয়ে পড়াশোনা করা

পণ্যের উপাদান, কিভাবে নতুনভাবে উপস্থাপন করা যায়,কিভাবে বিদ্যমান পণ্যকে কাস্টমারের কাছে নতুনভাবে তুলে ধরা যায় সেসব কৌশল রপ্ত করতে হবে।এমনভাবে পণ্যটিকে নতুন রূপ দিতে হবে যেম কাস্টমার দেখে মনে করে এটি তার প্রয়োজন।

কাস্টমারের রিভিউ একটা সম্পদ,এটা উদ্যোক্তাদের জন্য শক্তিশালী সম্পদ।

কারণ একটা রিভিউ শখানেক কাস্টমার এনে দিতে পারে।

তাই রিভিউয়ের সত্যিই অনেক বেশি গুরুত্ব। তাই কাস্টমারকে এমনভাবে সার্ভিস দিন, যাতে কাস্টমার নিজ থেকেই রিভিউ দিতে আগ্রহী হয়, এতে আপনার সেল এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে


পন্যের প্যাকেজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।।। প্যাকেজিং আগের আকর্ষণ পরে পণ্য।।কথায় আছে,,, আগে দর্শনধারী পরে...গুণবিচারী।।। তাই ক্রেতাকে আগে প্যাকেজিং এর মাধ্যমেই দর্শনটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে হবে

তাছাড়া, পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি এর জন্য আমরা আরো একটা বিষয়ে দক্ষ হতে পারলে তাতে সফল হওয়া যায়। যেমনঃ

~ কাস্টমার সার্ভিস।

একজন কাস্টমার কখন রিপিট হবে? যখন সে পণ্যের সাথে সাথে,

~ আচরণ ভালো পাবে

~ সার্ভিস ভালো পাবে

পণ্যের কৌশলগত সুন্দর উপস্থাপন। পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারন। একটি পণ্য যতই মানুষের কল্যানে আসুক, প্রয়োজনীয় হোক একজন ব্যবসায়ী যদি তার পণ্যের উপযোগ মানুষকে আকর্ষণীয় উপায়ে বোঝাতে সক্ষম না হয়, তার বিক্রয় বাড়বে না।

বিক্রি বৃদ্ধি করার জন্য, আমাদের নিজেদের পেইজ নিয়ে যেভাবে সচেতন আর সতর্ক হওয়া দরকার তা হলো,

~ উদ্যোগের সাথে মিল রেখে পণ্য উৎপাদন করা

~ সুন্দর সহজ একটা নাম দেয়া

~ পেইজ সাজানো।

~ যে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সবার আগে পেইজে পোস্ট করা

~ কোথাও থেকে কপি পোস্ট না করা

~ গুগুল বা অন্য কোথাও থেকে ছবি ডাউনলোড করে পোস্ট না করা

পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি এর জন্য আমাদের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা দরকার তা হলো,

~ উৎপাদন খরচ কমানোর ব্যবস্থা করা

~ দামে তারতম্য রেখে পণ্য উৎপাদন করা

~ কাস্টমার এর চাহিদামত পণ্য রাখা

~ মার্কেট এর অবস্থা বুঝে পণ্য রাখা

পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, দূরত্ব অনুযায়ী পণ্যের দাম কম বেশি করতে হবে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ অনুযায়ী পণ্যের দাম কম বেশি করতে হবে এবং কি তার ধরন অনুযায়ী পণ্যের দাম কম বেশি করতে হবে, পণ্যের প্রকারভেদ অনুযায়ী পণ্যের দাম কম বেশি করতে হবে একই সাথে দ্রুত অনুযায়ী পণ্যের ডেলিভারি চার্জ কম-বেশি করতে হবে এতে করে পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে

সৃজনশীল বা সৃষ্টিশীল জিনিস কে মানুষ সবসময় ই খুব সাদরে গ্রহণ করে,,,,, সৃজনশীলতা খুব সহজেই মানুষের মনে জায়গায় করে নেয় । সৃজনশীল পন্য মানুষ খুব সহজেই এবং খুব আগ্রহ নিয়ে গ্রহণ করে । এইটা মানুষের একটা সহজাত প্রভৃতি,,,,,কারণ সৃজনশীল পন্য গুলো সবসময় আনকমন ও ইউনিক হয় । আর ইউনিক ও আনকমন কিছু খুব সহজেই মানুষের মনে জায়গা করে নেয় ।

তাই একজন উদ্যোক্তা যদি তার পন্যে সৃজনশীল কিছু যোগ করে বা সৃজনশীল কিছু দিয়ে , ভিন্ন কিছু দিয়ে শুরু করে তাইলে খুব সহজেই তার পন্যের বিক্রি বৃদ্ধি পাই ।

বিজ্ঞাপন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্যের বিক্রয় অনেক গুণ বৃদ্ধি পায় বর্তমান অনলাইনে যুগে ঘরে বসেই ক্রেতারা ফোনে বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করে থাকে পণ্যের মানসম্মত ও আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন প্রচারের চেষ্টা করতে হবে।

পণ্য বিক্রি করাই আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়।

আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত কাস্টমার কে তার সমস্যার সমাধান দেওয়া।

সেলের চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে কাস্টমারকে সমাধান দিতে হবে এমন চিন্তা ধারা বজায় রাখলে সেল বৃদ্ধি পায়।

পণ্যের সকল গুণাগুণ চমৎকারভাবে প্রেজেন্ট করতে হবে। মানুষ যাতে সহজেই তা বুঝতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে আমার পণ্যের উপস্থাপন যেন সাধারণের বিরক্তির উদ্রেক না ঘটায়।

অনলাইনে এবং অফলাইনে এখন উভয়ে কাজ করা যায়।তবে শুরুতেই উভয় পাশে কাজ করাটা একটু কঠিন তাই আগে এক পাশ সেট করে নিতে হয়।

যদি আমি অনলাইনে কাজ করিতাহলে অনলাইনে কিভাবে পণ্য বিক্রি হবে বা বিক্রি বৃদ্ধি করব সেই নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে

আমরা যে পণ্য নিয়ে কাজ করছি তা মানুষদেরকে জানাতে হবে। জানানোর একটাই উপায় - কন্টেন্ট। নিয়মিত কন্টেন্ট লিখতে হবে, একদিনও বাদ দেয়া যাবে না। পণ্য নিয়ে লিখিত কন্টেন্ট, ছবি, পডকাস্ট, ভিডিওক্লিপ সবই কন্টেন্ট। আমাদেরকে সব ধরণের কন্টেন্টেই জোর দিতে হবে। একই ধরণের কন্টেন্ট এ মানুষের মাঝে বিরক্তি আসতে পারে যেটা মোটেও কোনো ভালো ব্যাপার নয়।

পণ্যের কোয়ালিটির সাথে দামের ভারসাম্য যেন বজায় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য সঠিক প্রাইসিং জানা জরুরি। এটাও একটা দক্ষতা। আপনার পণ্যের কোয়ালিটির সাথে দাম যদি যৌক্তিক হয় তাহলে সেল বৃদ্ধি পাবে

পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য একজন বিক্রেতাকে কাজের প্রতি ডেডিকেশন হতে হবে

।।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রচুরপরিমানে ধৈর্য নিয়ে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে।।। এবং ক্রেতার সকল চাহিদার পূরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

অনলাইন এবং অফলাইন ও ভাই ভাবি পণ্য বিক্রয় করা যায় অফলাইনে পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধি করতে হলে আপনার দোকানটি কোথায় আছে এটির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে যেমন বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স যদি একটি দোকান থাকে তাহলে বিক্রয় অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে কারণ এটি একটি জনপ্রিয় কমপ্লেক্স এখানে সব সময় মাল ক্রেতাদের আনাগোনা থাকে এজন্য আপনাকে অবশ্যই এমন একটি জায়গা বেছে নিতে হবে যেখানে আপনার পণ্যের প্রতি ক্রেতারা বেশি আকর্ষণ হবে এবং আপনার পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে।

পণ্য সবসময় কোয়ালিটি সম্পন্ন হতেনহবে।

ভোক্তারা সবসময় চায়... কম দামে ভালো পণ্য যা একজন বিক্রেতাকে দিতে হলে প্রচুর পরিমানে বাজার গবেষনা করে তেরি করতে হবে।

বাজার গবেষনা না করলে একজন ক্রেতার চাহিদামত পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব নয়... ক্রেতার রুচি ফ্যাশনও জানা সম্ভব নয়।।। তাই ক্রেতার চাহিদামত এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন পণ্য দিতে পারলেই বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে।

সঠিক পণ্য নির্বাচন করে, কাস্টমার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য নিয়ে এসে এবং ভালো মানের পণ্য তুলে ধরলে, ভালো মানের ফটোগ্রাফি করলে কন্টেন্ট বা স্টোরিটেলিং লিখলে, ভাল কাস্টমার সার্ভিস দিলে,

কাস্টমারকে খাতির করলে আপনার সেল এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে

এটা প্রমাণিত।

তাই এগুলোর প্রতি যারা মনোযোগী হবেন এবং সচেষ্ট থাকবেন তাদের সেল দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাবে

No comments:

Post a Comment