বিভিন্ন ধরনের কাপড় চেনার উপায় বা কৌশলসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
চায়না বয়েল কাপড় আপাতদৃষ্টিতে সফট, আরামদায়ক মনে হলে এই কাপড় পরিধানে গরম অনুভব হয়,,অনেক সময় অস্বস্তি অনুভব হয.
আমরা সাধারণ ব্লকের কাজের ড্রেসের উপর সুতার কাজ দেখতে পাই বাংলাদেশ এর বুটিক্স শোরুম গুলোর যেমনঃ
~ আড়ং
~ অন্জন্স
~ বিশ্বরঙ
~ বিবিআনা
~ দেয়ীআনা ইত্যাদি।।
খেয়াল করে দেখবেন এরা কিন্তু ড্রেসে প্রচুর ব্লক আর সুতার কাজ করায় এবং বাটিক রাখে।
কারন এই তিনটা সেক্টর আমাদের দেশের ঐতিহ্য
আড়ং কটন কাপড় সুতি হলে একটু ভাড়ি মনে হয়। হিজাব হিসেবে পরছি,ডাবল ভাজে গরম অনুভব বেশি হয়।।
সুতি মানেই আরাম কিন্তু ব্যাবহারের কারনে সব সময় আরামদায়ক হয় না।
কাপড় নিয়ে জানার জন্য পড়াশোনা এবং মাঠপর্যায়ে তাঁত ভিজিট অতন্ত জরুরী।যেমন মানিকগঞ্জের শাড়ির চেনার সুযোগ হয়েছে ইডিসি টিমের মাধ্যমে।
মেলায় হরেক রকমের শাড়ি দেখার সুযোগ হয়েছে,,একটি বিষয় কমন তা হল মানিকগঞ্জের শাড়ির সুতার মান ভালো, কালারফুল, বিভিন্ন ক্যাটাগড়ির হলেও প্রতি টাইপ শাড়িই আরামাদায়ক।
সবচেয়ে ভালো মানের সুতি কাপড়কে বলে,
বেক্সি। এটির বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার কারনে মানুষ এটি সহজে চিনতে পারি।
~ অনেক পাতলা এবং স্মুথ হয়
~ সুতার বুণন অনেক নিঁখুত হয় যা হাতে স্পর্শ করলে অনেকটা পিচ্চিল লাগে।
এটি গজে বিক্রি হয় আবার ব্যবসায়ীরা এটি মিটারোও কিনে থাকেন,
মিল্ক মানেই গরম না,,হিজাবে সাধারণত যে ধরনের সিল্ক কাপড় ব্যাবহার হয় তা যথেষ্ট আরাম দায়ক।
সিল্ক মিহি,চকচকে হলেও বায়ু প্রবাহে বাধা দেয় না তাই লম্বা সময় পরে থাকা যায়.
লিনেন কাপড়গুলো পাতলা হওয়ার সুবাদে এই কাপড় গুলো গরমের সময় বেশি প্রচলন দেখা যায়।
গরমের সময় পাতলা টাইপের কাপড় পড়তে পারলে আরাম অনুভব করা যায়।
তাছাড়া এই কাপড় গুলো পরার কারনে আলাদা প্রশান্তি পাওয়া যায়।
কোটা শাড়ি খুব সুন্দর একটি শাড়ি,কোটা শাড়িতে পেইন্টিং খুব ভালো লাগে।
কোটা কাপড়ের কালার গুলো মাইল্ড হয়।এর বুননে সুতি সুতা এবং নাইনল বা পলেস্টারের সুতা দেখা যায়।
তবে সুতি সুতাই সবার কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায়.
বেক্সি কাপড়ের যে কোন ড্রেসের দাম ও বেশি কারন এই কাপড়টি মসলিন এর পরের স্থানে রয়েছেন।
এপি ভয়েল সকল ভয়েল থেকে দামী এবং সুন্দর। বলা যায় এটি বেক্সি এর পরেই রয়েছে এপি। আমার বুটিক্স এর গত ৬মাস আগেও সকল ড্রেস এপি ছিলো।
বর্তমানে আমি কাপড়ের উপর এক্সপেরিমেন্ট করছি তাই সকল ধরনের কাপড় দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি কারম বাজারে খুব একটা এপি ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে না।
বর্তমানে এপির দাম ও কাস্টমার নিতে চায় না কারন অনেক বেশি খরচও হয়ে যায় আমাদের।
কিছু কাজের কিছু ফ্রেবিক অলটাইম বেস্ট,,,যেমর রাজশাহী সিল্কের শাড়িতে হাতের কাজের যে সৌন্দর্য প্রকাশ পায় তা কটনে হয় না।
বিশেষ করে কাথা স্টিচে রাজশাহী সিল্কে অলঅভার কাজ খুবই অার্কষনীয়।আড়ং এ শাড়ি খুব দেখা যায়.
নরমাল ভয়েল কাপড়ে ব্লক করার পর কিছাুটা ভারি বা মোটা হয়েযায় তাই আমরা সবসময়ই ই অলওভার ব্লক করার সময় পালতা মর্সিন কাপড়টাই সিলেক্ট করি.
সুতি কাপড় বা কটন ফেব্রিকস আমাদের জন্য খুবই আরামদায়ক আমরা সারাবছর এটির উপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশের এর প্রায়৯৯% মানুষ সুতিকে গুরুত্ব দৈনন্দিন পোশাক হিসাবে.
বাটিকের গজ কাপড়ে অনেক সময় রঙ ওঠে,এছাড়া অনেক রঙিন কাপড়ে রং ওঠার প্রবনতা দেখে যায।
এসব ক্ষেত্রে।খাবারে লবন পানিতে মিশিয়ে কাপড় ভিজিয়ে রাখলে রং পাকা হয়।
বাটিক করার পর অনেক সময় লবন পানিতে কাপড় ভিজিয়ে রাখা হয়.
সুতি কাপড়ের চওড়াকে টেইলারিং বা গার্মেন্টস এর ভাষা বলে বহর। আর এই বহরা যত বড় হবে কাপড়ের দামও ততই এবং কাপড়ের মানের উপর নির্ভর করে।
উলের কাপড় পরিধান করার কারনে শীত নিবারন করা যায়।
উলের কাপড়ের ভিতরের অংশের কারনে তা চেনা যায়।
প্রকৃত উলের কাপড়ে হাত দিলে গরম অনুভব করা যায় বেশি।
আর মেশিনের সাহায্যতে অন্য ভাবে বানানো হলে তা সহজেই টের পাওয়া যায়।
তাছাড়া বেক্সির পর হলো এপিভয়েল আমরা অনেকেই ভয়েল কাপড়ের কথা শুনি তবে এই ভয়েলের মধ্যে ও অনেক ধরন বা ধারাবাহিকতা আছে। যেমনঃ
~ এপি ভয়েল
~ অরবিন্দু ভয়েল
~ অরগিন্ডি ভয়েল
~ মদিনা ভয়েল
~ কাকলি ভয়েল
~ ভয়েল
জামদানী শাড়ি কারখানায় এবং হাতে বোনা উভয় প্রক্রিয়া বোনা হয়।
মিলের শাড়ির দাম তুলনা মুলক কম কিন্তু ক্রেতা না জানার কারনে বেশি দাম দিচ্ছে।
জামদানী হাতের বুননে মিহি থাকে আর নিচের দিকে সুতা থাকে মিলের বুননে হয় না
রেয়ন টাইপের কাপড়ে সাধারণত ভাঁজ পড়েনা।
এই কাপড় গুলো পরিধান করলে ভালো লাগে।
আর এই কাপড় গুলো অতিরিক্ত আয়রন করতে হয়না।
এটি খুবই ভালো ব্যাপার।
\সুতির কাপড় গুলো ভেলাতে পাকা রং হলে তা থেকে রং বের হবেনা।
সুতি কাপড় ভেজানোর পর তা রোদে শুকালে টান টান একটা ভাব আসে।।এক্ষেত্রে এই কাপড় গুলো বেশি পরিধান করতে পছন্দ করে মানুষেরা।
প্রাইড সুতি শাড়িতে এপ্লিকের কাজ খুব ভালো মানায়,,আলগা কাপড় কেটে নকশা করে হেমসিলি দিয়ো ডিজাইন করা হয়
এই কাপড়ে অন্যরকম অাভিজাত্য ফুটে ওটে,,মাঝবয়সী নারীদের অসাধারণ লাগে.
No comments:
Post a Comment