যে কোন অনলাইন বিজনেসে কি কি ধরনের ঝুঁকি বা রিস্ক থাকতে পারে?

- যে কোন অনলাইন বিজনেসে কি কি ধরনের ঝুঁকি বা রিস্ক থাকতে পারে? কিভাবে এসব ঝুঁকি এড়ানো যায় বা প্রতিরোধের উপায় কি?

অনলাইন বিজনেস এ অনেক বড় একটা রিস্ক হলো এক সঙ্গে বেশী পন্য স্টক করে রাখা। আমাদের কে অবশ্যই পন্য স্টকিং এ সাবধান থাকতে হবে। প্রয়োজনে অল্প পরিমান পন্য এনে সেল করে আবার পন্য স্টক করতে হবে কিন্তু কোন ভাবেই এক সঙ্গে বেশী পন্য স্টক করা যাবেনা। তাতে লস এ পরতে হবে। কারন সব পন্য সেল না হলে সেটা আমাদের বিজনেস এ ঝুঁকির মধ্যে পরে যাবে.

আমাদের মাঝে অনেকেই টাকা এডভান্স না নিয়ে বা ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পন্য না পাঠিয়ে সরাসরি পন্য পাঠিয়ে দেন। যেটা কোন ভাবেই করা যাবেনা। এতে সেলার হিসেবে আমরা অনেক বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেলি।কারন আমরা হয়তো অজানা কাউ কে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পাঠাতে পারি সেটা আমাদের জন্য নিরাপদ কিন্তু কোনরকম টাকা না নিয়ে বা ক্যাশ অন ডেলিভারিতে না দিয়ে এমনি এমনি পন্য পাঠানো যাবেনা। তাতে অনেকের টাকা লস হয়ে গিয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনা যেন আর নয় হয় সেই জন্য আমাদের কে সচেতন থাকতে হবে.

একটি অনলাইন সেরা সুবিধার এক ব্যবসায় এটি আপনাকে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের পরিবেশন করতে দেয়। তবে আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের সাথে তুলনা করতে আপনাকে আপনার পণ্যগুলি আপগ্রেড করতে এবং তৈরি করতে হবে।

যদিও গ্রাহকরা তাদের পণ্যগুলি ফিরিয়ে দেয় এটি কোনও ব্যবসায়ের জন্য আনন্দদায়ক পরিস্থিতি না হলেও এটি অনলাইন ব্যবসায়গুলির জন্য একটি সাধারণ সমস্যা। যখন গ্রাহকরা বিতরণ করা আইটেমটির সাথে সন্তুষ্ট হয় না, তারা পণ্য ফিরে প্রতিস্থাপন বা ফেরতের জন্য বিক্রেতার কাছে ইন্টারনেট উদ্যোক্তা হিসাবে আপনার পক্ষে যেমন দাবি ও অনুরোধগুলি সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা.

আমাদের কে অবশ্যই আমাদের পন্যের প্যাকেজিং এ গুরুত্ব দিতে হবে। পন্য যতই ভালো হোক না কেনো পন্যের প্যাকেজিং যদি ভালো না হয় তাহলে ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে পন্যের ক্ষতি হতে পারে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে এই ক্ষতির কোন রকম দায় ভার নিয়ে থাকেনা। ফলে আমাদের সেলারদের কে অবশ্যই আমাদের পন্যের প্যাকেজিং এ গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে আমাদের কে অন্য সকল ধরনের প্যাকেজিং উপাদান রাখার পাশাপাশি বাবল র ্যাপ ইউজ করতে হবে। এতে করে পন্যের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কম থাকবে.

একজন উদ্যোক্তা যখন ব্যবসার জ্ঞানার্জন না করে উদ্যোগ শুরু করে তখন সমস্যা হয়ে থাকে বিজনেস শুরু করার প্রাথমিক ধাপে, সঠিকভাবে পণ্যের উপস্থাপনায় ভুল, কাস্টমার কেয়ারিংয়ে ভুল, সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে না পারা, পণ্য ডেলিভারিতে সমস্যা তৈরি করা, সার্ভিস পরবর্তীতে কেয়ারিংয়ে গ্যাপ, ক্রেতাকে সঠিক সময়ে রেসপন্স করতে না পারা,

ব্যবসায়ে আথিক লেনদেনের নিরাপত্তার অভাব আছে।

ক্রেতা বা বিক্রেতা অনেক সময় ই-কমার্সের কার্যক্রমের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে না।

ব্যবসায়ে আইন প্রণয়নকারী এবং প্রয়োগকারী উভয়পক্ষের জন্য আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ অত্যন্ত জটিল এবং কষ্টসাধ্য বিষয়।

যেকোনো অনলাইন বিজনেসে পন্যের কোয়ালিটি শতভাগ খাঁটি নিশ্চিত করতে হবে।

এতে ঝুঁকি এড়ানো যায়। ক্রেতারা পন্যের কোয়ালিটিকে সবার আগে গুরুত্ব দেয় পন্য ক্রয়ের আগে।

পন্যের গুনগত মান শতভাগ খাঁটি নিশ্চিত করতে হয় ক্রেতাদের।

এতে ক্রেতা নিজে থেকে বারবার রিপিট হয়।যা ক্রেতাদের সন্তুষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সবাই শুধু পণ্যের গুনগান করে। কিন্তু এর ব্যবহারবিধি বা সাবধানতা সম্পর্কে খুব কম উদ্দোক্তাই ক্রেতাকে জানায়।

ধরুন আমার থেকে একটা জামদানি শাড়ি কেউ নিল। এর ব্যবহারবিধি যদি তাকে না বলি তাহলে সে এটা সাধারণ পোশাকের মত পানিতে ওয়াশ করতে পারে। এতে শাড়িটা নষ্ট হলে ক্রেতা ভাববে আমি তাকে খারাপ শাড়ি দিয়েছি এবং আশেপাশের সবাইকে তা জানাবে।

এতে বিজনেসের রেপুটেশন তো নষ্ট হবেই ক্রেতা হারানোর ঝুকিও তৈরি হবে।

অনলাইন বিজনেসে বাজার সঠিকভাবে এনালাইসিস করতে হয়।

বিজনেসে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। পাশাপাশি হাল ফ্যাশানের সাথে তাল মিলিয়ে পণ্যের সংযোজন করতে হয়।

পণ্যের সংযোজন মার্কেটের উপর অনেক বেশি রিসার্চ করতে হয় ।

এতে আমাদের বিজনেসের ঝুঁকি এড়ানো যায়।

অনলাইন বিজনেসে এক ক্রেতাকে নিয়ে অন্য ক্রেতার কাছে সমালোচনা করা যাবে না।

ক্রেতাদের নিয়ে কোনোরকম সমালোচনা বা ক্রেতা অসন্তোষ হয় এমন আচরণ করা যাবে না।

ক্রেতা অলওয়েজ বস এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।ক্রেতাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক রাখতে হবে।এবং নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতে হবে।

এতে ক্রেতার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকবে এবং ঝুঁকি এড়ানো যাবে।

অফলাইন জগতের মতো, অনলাইন ব্যবসায়ের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হল সফল উদ্যোগ হওয়ার জন্য গ্রাহকের আনুগত্য বজায় রাখা। একটি ইকমার্স ব্যবসায়, একজন ক্রেতা এবং বিক্রেতা একে অপরকে চেনে না, সুতরাং লেনদেন বিশুদ্ধরূপে এবং সরবরাহিত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটে। চমৎকার গ্রাহক সমর্থন এবং পরিষেবা সরবরাহ করে এই বিশ্বাস তৈরি করা অপরিহার্য।

অনলাইন বিজনেসের ঝুকি থাকে যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করা সঠিকভাবে না শিখে।

অনেকে আছে যারা অনেক কিছুআ ছানে ইন্টারনেট সম্পর্কে। অনেক সময় বিজনেস

পেইজ হ্যাক হয় যায়। বিছনেস আইডি হ্যাক হয়ে যায় না বুঝার কারনে। এজন্য অবশ্যই

ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে কি করলে কি হতে পারে এই সাধারণ জ্ঞান অর্জন ঈরতে হবে।

তাহলে অনলাইন বিজনেসের ঝুকি গুলোকে সহজেই এ ড়িয়ে চলা সহজ হবে।

অনলাইনে বিজনেসে পন্য উপস্থাপন বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন স্কিলড না হওয়ার কারনে ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।

উদ্যোক্তাদের প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা জানি যে উদ্যোক্তার বিজনেসকে প্রসারিত করতে হলে বিনিয়োগ আনা দরকার।

উদ্যোক্তা যদি দক্ষতার সাথে তার বিজনেসের প্রেজেন্টেশন করে,

বিনিয়োগীকারীদের সন্তুষ্ট করতে চান তাহলে তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে।

যে কোন অনলাইন বিজনপসে ঝুকি একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।

এই চ্যালেঞ্জ কে মোকাবলা করার জন্য উদ্যোক্তাকে কৌশলী হতে হয় এবং অতি সাধানতার সাথে ডিল করতে হয়।

কেননা এটা করতে না পারলে অনলাইন বিজনেসে ভালো করা যায় না.

পারসোনাল ব্রান্ডিং বিজনেসের জগতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন পারসোনাল ব্রান্ডিং কে পুজি করে একজন উদ্যোক্তা যে কোন বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করলে তা সফল হবেই৷ তার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকবে অন্যরকম। বিজনসেকে যদি কেউ বিনা পয়সায় মার্কেটিং করার কাজ করতে চায় তাহলে তার নিজের পারসোনাল ব্রান্ডিং কে শক্তিশালী করতে হবে। লেগে থাকার মাধ্যমে তা করা সম্ভব হবে।

আর অনলাইন বিজনেসের জন্য পারসোনাল ব্রান্ডিং তৈরী করতে পারলে ঝুঁকি এড়ানো যায়।


No comments:

Post a Comment