কাস্টমার খাতিরের বিভিন্ন উপায় বা কৌশল সমূহ নিয়ে আলোচনা

কাস্টমার খাতিরের বিভিন্ন উপায় বা কৌশল সমূহ নিয়ে আলোচনা করুন।


কাস্টমার খাতিরের ক্ষেত্রে আমি কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করে থাকি। 


১/ কাস্টমার কে নিজে থেকে আগেই কল দিয়ে ডেলিভারি সংক্রান্ত ব্যাপারে কথা বলি। কোন বিষয় নিয়ে যদি উনি সংসয় প্রকাশ করেন তা দূর করি কথা বলে।

২/ অনেক কাস্টমার পন্যের মূল্য কম দিতে চায়। সেক্ষেত্রে আমি ডেলিভারি চার্জ টা বাদ দিয়ে দেই। রিপিড কাস্টমারের ক্ষেত্রে সবসময় চেষ্টা করি ১০% ছাড় দেয়ার।

৩/কাস্টমার প্রোডাক্ট পাবার পর ও তার সাথে যোগাযোগ রাখি। অনেক কাস্টমার আছে যারা নিজে থেকে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকে। তাদের সাথে টুকটাক কথা বলি।

৪/ কাস্টমার খাতির করতে গিয়ে একটা জিনিস আমি সর্বদা মাথায় রাখি তা হল বিনয়। 


৫/ প্রোডাক্টের আপডেট দেয়া ছাড়াও, গিফট হিসেবে কিছু এবং সাথে শুভেচ্ছাবার্তার চিরকুট দিতে কখনোই ভুলি না।

অনেকে মনে করে যে কাস্টমার খাতির করার ব্যাপারটি অনেক ব্যয়বহুল, বা সামর্থ্যর বাইরে । কিন্তু মোটেও নয়, একজন উদ্যোক্তা সুন্দর বুদ্ধি খাটিয়ে অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করে তার সামর্থ্য অনুযায়ী কাস্টমার খাতির করতে পারেন। এর জন্য কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই।

কাস্টমার খাতিরের সবচেয়ে ভালো উপায় গুলো হল:

১/ভালো ব্যবহার করা

২/তাদের প্রোয়জন বুঝে সার্ভিস দেয়া।

৩/মাঝে মাঝে তাদের খোঁজ নেয়া

৪/রিপিট কাস্টমারকে মাঝে মাঝে খোজ খবর নেয়া।

৫/ফোন করার আগে মেসেজ দিয়ে অনুমতি নেয়া।

৬/যতটা সম্ভব ডেলিভারি চার্জ কম রাখা বা ফ্রি করা।

৭/ডেলিভারি চার্জ ফ্রি করতে না পারলে বিকাশ চার্জ ছাড় দেয়া 

৮/ভালো আর্নিং মানি থাকলে,কাস্টমারদের নিয়ে বাহিরে আউটিং করা।

9/Razib Ahmed বলেছেন,কাস্টমারকে বাফেট লাঞ্চ বা ডিনার করানো।এটা বেষ্ট ওয়ে কাস্টমার খাতিরের।


১০/সর্বোপরি নিজের পন্যের মান ভালো রেখে এগুতো হবে।

আমি একটা জুয়েলারির দোকানে যায় সবসময় সেখানে তারা ঢুকার সাথে সাথেই আগে বলবে কি খাবেন - চা,কফি,কোল্ড ড্রিংকস।এবং তারা চা কফি কিছু না খেলে আসার সময় হাতে কোল্ড ড্রিংকস এর বোতল টা একটা প্যাকেটে দিয়ে দিবে। এটা কিন্তু তারা সম্ভাব্য কাস্টমার ভেবে করে।শুধু কাস্টমার দের না। এটা করে তাহলে বছরে অনেক টাকা লস হচ্ছে আপাত দৃষ্টিতে কিন্তু আসলেই কি তাই হচ্ছে। তবে তারা স্বনামধন্য একটা মার্কেটে স্পেস নিয়ে টিকে আছে কি করে?আসলে আমাদের জ্ঞানের অভাব অথবা বেশি চালাক তাই Razib Ahmed স্যারের কাস্টমার খাতির করাকে লস হিসেবে ঘোষণা করি।

কাস্টমারদের বিভিন্ন ভাবে খাতির করা যায়। এর মধ্যে কয়েকটি তুলে ধরার চেষ্টা করলামঃ

💥কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দেওয়া।

💥কাস্টমারদের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করা।

💥কাস্টমারদের মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে খবর নেওয়া যায়।

💥কোন ইভেন্টে দাওয়াত করা যায়। 

💥 কোন বিশেষ দিনে গিফট পাঠানো বা উইশ করা।

💥ডেলিভারি চার্জ ফ্রি করে দেওয়া। 

💥ডেলিভারি চার্য ফ্রি করতে না পারলে কোন গিফট দেওয়া।

💥বিকাশ চার্য মওকুফ করে দেওয়া।

💥কাস্টমারদের নিয়ে বুফেতে কেতে যাওয়া।

💥ভালো মানের পন্য দেওয়া।

💥পন্যের মূল্য যেনো সহনীয় হয়।

মালয়েশিয়াতে অনেক সাইট থেকে শপিং করলে উনারা একটা ফর্ম পূরণ করতে দেন‌। নানা ইনফরমেশন জানতে চান। জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী। তারপর তারা দেখে আপনি কত কেনাকাটা করছেন। বেশি হলে গিফট পাঠায় আর কম হলে উইশ করে মেসেজের মাধ্যমে। অনেকেই আবার কম্পানির বাৎসরিক ডিনারে আমন্ত্রিত করে থাকে।

কাষ্টমার খাতির বড় একটা বিষয়। কাষ্টমার সব সময়ই লক্ষী। কাষ্টমারদের বড় মনে কারনো তাদের সম্মান করা উচিৎ। তাদেরকে স্পেশাল ফিল করানো উচিৎ। তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে তাদের সাথে ভালো একটা বন্ডিং তৈরি করতে হবে। কাস্টমারদের ভালো ভালো পোস্ট লিখতে হবে। রেস্টুরেন্টে বসে এক সাথে খেতে হবে। পণ্যের পাশে উইশনোট দেওয়া, স্পেশাল দিনে উইশ করা গিফ্ট পাঠানো এইসব বিষয় গুলো কাস্টমা সেলারের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক তৈরি করে। ১০০ জন কাস্টমারকে ডেলিভারি চার্জ ফ্রী করে দিলে তারা রিভিউ দেওয়ার কথা চিন্তা করবে।রিপিট কাস্টমার যারা অনেক কাস্টমার এনে দেয় তাদের ডিসকাউন্ট দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

No comments:

Post a Comment