ই-কমার্সে স্টোরি টেলিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

স্টোরি টেলিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।  


স্টোরি টেলিং বর্তমান বিশ্বে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। স্টোরি টেলিং এর মাধ্যমে অডিয়েন্সদের কাছে পন্য সম্পর্কে জানানো যায়।  

ই-কমার্স বিজনেসে যাদের স্টোরি টেলিংয়ে দক্ষতা রয়েছে তারা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে।


স্টোরি টেলিং এ দক্ষ হলে পার্সোনাল ব্রান্ডিং সহজেই হয়ে যায়।

আজকের যুগে স্টোরিটেলিং এর তাৎপর্য একে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিভিন্ন উপায়ে স্টোরিটেলিং করা হয় এখন। যেমনঃ

১. ভিডিও প্রেজেন্টেশন 

২. ভিজ্যুয়াল লাইভ প্রেজেন্টেশন 

৩. অডিও রেকর্ড বা পডকাস্ট

৪. লাইভ অডিও প্রেজেন্টেশন 

৫.লেখালেখির মাধ্যমে।

স্টোরি টেলিং :স্টোরি টেলিং অনেক ধরনের হতে পারে।তবে ব্যবসায় উদ্যেগের জন্য স্টোরি টেলিং হল সুন্দর সুন্দর গল্পের মাধ্যমে নিজেকে পরিচিতি করানো,নিজের পন্যকে কাস্টমারের কাছে তুলে ধরা।

গল্পটা হবে-

-নিজের পন্যের উৎপত্তি

-পন্যেটা পরলে কেমন লাগতে পারে

-স্বাদ কেমন

-স্বাদের ভিন্নতা আনতে আপনি কি কি করেছেন

-পন্যটাকে ইউনিক করতে আপনি আপনার সৃজনশীলতা কিভাব৷ প্রয়োগ করেছেন

-কোন দিবসে কোন জিনিস বা কালারকে প্রাধান্য দেয়া হয়;

এসব বিষয় গুলো গল্প আকারে তুলে ধরাই হল স্টোরি টেলিং।

স্টোরি টেলিং কেনো গুরুত্বপূর্ণ -

১/বিজনেস গ্রোথের জন্য 

২/কম্পিটেটিভ মার্কেটে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা

৩/মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাটেজি

৪/কাস্টমারদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা যায়

৫/কাস্টসার আকৃষ্ট করার সুন্দর ও সহজতম মাধ্যম

৬/নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা স্টোরির মাধ্যমে তুলে ধরে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করা।

৭/কাস্টমারদের সাথে কনভারসেশন সুন্দর করে স্টোরির মাধ্যমে সবার সামনে প্রেজেন্ট করা 

৭/স্টোরি টেলিং যত স্ট্রং তত ই কমার্স বিজনেস স্ট্রংলি স্টে করতে পারবে।

২০০৭সালে স্টিভ জব বাজারে আইফোন নিয়ে আসে,সে তার পন্য গুলার সুযোগ সুবিধা নিয়ে গল্প আকারে সবার মাঝে তুলে ধরে।

আইফোন কেন ব্যবহার করবে মানুষ এর কি বৈশিষ্ট্য আছে,কি এমন আলাদা সুবিধা দিবে এটা।


এসব গল্প আকারে শোনার পর ক্রেতার আগ্রহ বাড়ে আইফোন কিনতে



No comments:

Post a Comment