অনলাইন শাড়ি ব্যবসা সম্পর্কে বলুন-

 অনলাইন শাড়ি ব্যবসা সম্পর্কে বলুন-


অনলাইনে শাড়ি নিয়ে কাজ করতে হলে অবশ্যই পণ্যের মান নিয়ে সচেতন হতে হবে। রুচিশীল ও সময়োপযোগী থাকতে হবে। ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে চেষ্টা করতে হবে। এটি সম্ভাবনাময় একটি পণ্য, যা বাংলাদেশের ঐতিহ্যে বিশেষ একটি অংশ ও বিশ্বে সমাদৃত।

অনলাইনে শাড়ির বিজনেস করাটা সহজ মনে হলেও সহজ না।

অনেক ধৈর্য নিয়ে টিকে থাকার লড়াই করতে হয়।

এ লড়াইয়ে জেতার জন্য পরিশ্রম করতে হবে বেশি

অনলাইনে শাড়ি নিয়ে কাজ করার ফলে লাভ টা ভালো করতে পারা যায়।

কারণ প্রায় সব শাড়ির দামই ৮০০/১০০০ এর মতো।এর কমদামে হয়না।তাই ভালোভাবে বিজনেস করে টিকে থাকা যায়

ফিক্সড দাম রাখার ব্যাপারে আপনাকে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। অনলাইনে শাড়ির ব্যবসাতে আপনি যখন সবার জন্য একই ব্যবস্থা গ্রহন করবেন,

তখন আপনি আপনার কাজে ভালো করার সুযোগ পাবেন।

ব্যবসাতে ভালো করার জন্য সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে পারলে অনেক ভালো করা যায়।

আর নিজের সাফল্য ও আনয়ন করা সহজ হয়।

বর্তমানে দোকানে তুলনায় অনলাইনে শাড়ি ব্যবসা অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ এই ভাবে একজন নারীর সংসার সামলানোর পাশাপাশি ঘরে বসে শাড়ি নিয়ে কাজ করতে পারছে। এইভাবে অনেক বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে যারা নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এই পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

প্রতিনিয়ত শাড়ি নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে এবং মানুষের মধ্যে নির্দিষ্ট শাড়ি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করার ফলে আমাদের দেশীয় শাড়ি সবার কাছে ছড়িয়ে পড়ছে।

শাড়ি নিয়ে অনলাইনে কাজ করতে হলে কাস্টমার সন্তুষ্টি অর্জন করতে হয়।

কাস্টমার কে সঠিকভাবে সন্তুষ্ট করার জন্য শাড়ির সাথে রিলেটেড কিছু যেমন কানের দুল অথবা চুড়ি গিফট দেয়া যেতে পারে

আপনি যখন অনলাইনে শাড়ি বিজনেস করতে যাবেন তখন আপনার সাথে সাথে আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হবে।

অনেক তাঁতী আছে যারা কাস্টমার এর অভাবে নিজেদের কাজ বন্ধ করে রেখেছিল। অনেক কর্মী আছে যারা পরিবারের খরচ যোগাতে না পেরে এই কাজ থেকে সরে এসেছে।

তাই অনলাইন উদ্যোক্তা যারা আছে তারা এই তাঁতিদের কাছে ভরসার জায়গা হিসেবে পরিণত হয়েছে অনলাইনে।

শাড়ি বিজনেস করতে এসে এইসব উদ্যোক্তারা তাঁতিদের জীবিকার জন্য একটি ভরসার জায়গা তে পরিণত হয়েছে।

অনলাইনে শাড়ির ব্যবসার ক্ষেত্রে আমাদের প্রেজেন্টেশনে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কেননা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই যেকোন শাড়িকে খুব সাবলীলভাবে ক্রেতাদের নিকট উপস্থাপন করতে পারব এবং ক্রেতাদেরকে সেই শাড়ি কিনতে অনেক বেশি আগ্রহী করে তুলতে পারব।

শাড়ির ক্রেতাদের বুঝতে হবে তাদের ডিমান্ড এবং বাজেট অনুযায়ী শাড়ি প্রপোজ করলে সেল বৃদ্ধির সুযোগ বেশি।

ক্রেত হয়ত ৩ হাজার টাকার মধ্যে জামদানী কিনবে কিন্তু আপনি দেখাচ্ছেন ১০/১২ হাজার টাকা দামের, এতে করে ক্রেতার তিন হাজার জামদানী কখনোই ভালো লাগবে না।তিনি হাই প্রাইসের শাড়ির সাথে কম্পায়ের করবে।

কম্পায়ার করতে হয় নূন্যতম কম দামী পণ্যের সাথে তখন ক্রেতার সন্তুষ্টি অর্জনে সহজ হয় কিন্তু বেশি দামের পণ্যের সাথে কম্পেয়ার করলে ক্রেতা হতাশ হবে

আমাদের দেশের প্রথম জিআই পণ্য হল জামদানি শাড়ি।

আমরা এই জামদানি শাড়ি নিয়ে যারা কাজ করছি তারা দেশের ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতেও পৌঁছে দিতে পারছি। তাই আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি নিয়ে বিভিন্ন মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করা উচিত এবং শাড়িগুলো যাতে ভালোভাবে প্রচারণা পায় তার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

এই ভাবে অনলাইনে বিজনেস করার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

শাড়ি নিয়ে অনলাইনে কাজ করার ফলে আমরা,

~ কাস্টমার এর হাতে পৌছে দেয়ার জন্য কুরিয়ার ম্যান এর দরকার হয়।

~ শাড়ি তৈরি করার জন্য তাতির দরকার হয়।

~ অনলাইনে বিজনেস এর জন্য একজন ভালো ই-কমার্স সেক্টর জানে এমন কারও পরামর্শ নেওয়ার দরকার হয়।

~ বিকাশ, ব্যাংকিং সুবিধা গুলো বৃদ্ধি পায়

রাজশাহী সিল্ক আমাদের জিআই পণ্য, অনেক চমৎকার এই শাড়ি।

আড়ং এই শাড়িতে যশোরে স্টিচ করে চাহিদা ক্রিয়েট করছে,এক্সপেন্সিভ শাড়িই যা সবাই এর্ফোট করতে পারে না,

এই. শাড়ি নিয়ে কাজ করার সুযোগ অাছে অনলাইনে।

কাজের পরিমান বাড়িয়ে কমিয়ে দামে তারতম্য আনা যায়,এছাড়া বিবিন্ন ক্যাটাগড়ির শাড়ির বাজারে আনা সম্ভব।

এই শাড়ি অনেক ক্লাসি,,

No comments:

Post a Comment